পিতা মাতার ভালোবাসা।
ছোট বেলায় যখন বড়দের দেখতাম তখন মনে মনে ভাবতাম বড়রা কতই না স্বাধীন। যখন যেখানে ইচ্ছা সেখানে চলে যাচ্ছে , যখন যা ইচ্ছা করছে সেটাই করছে। সেই ছোট থেকেই ভাবতাম কবে বড় হবো। মানে মনের মধ্যে বিশাল একটা ইচ্ছা ছিল বড়দের মতো করে স্বাধীন ভাবে চলার। কিন্তু তখন এতটাই ছোট ছিলাম , দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলতে কি সেটাই ভালো ভাবে বুঝে উঠতে শিখিনি। সত্যি বলতে , শুধু ছেলেদেরই নিজেদের পরিবার নিয়ে চিন্তা থাকে এইটা ভুল। পরিবারের খারাপ অবস্থায় সকলেই চিন্তা এবং টেনশন করে । আর তখন অর্থাৎ ছোট বেলায় এইসব কি জিনিস সেটা জানতামও না।
ছোট বেলার যে জীবন সেটা সত্যিকারের স্বাধীন ছিল। যদিও তখন নানান নিয়ম কানুন এর মধ্যে চলতে হতো তখন মনের মধ্যেই সত্যি করে স্বাধীনতাটা ছিল। কিন্তু বড় হওয়ার পর পরিবার থেকে স্বাধীনতা পেলেও তখন মনের স্বাধীনতাটা আর থাকে না। তখন চিন্তা থাকে জীবনের সুখ খুজার । জীবনের সকল সমস্যা গুলোর সমাধান খুজার উদ্দেশ্য। আগে যেমন আমাদের মনের মধ্যে একটা ইচ্ছা আকাঙ্খা ছিল এখানে যাবো ওখানে যাবো , এখন সেটা চিন্তা আর ভাবনার কারণে ধামা চাপায় পরে গিয়েছে। জীবনের শুধু এখন একটাই লক্ষ নিজের পরিবারের এবং নিজের সুখ এবং শান্তি।
এবং আমি এটা মনে করি ছেলে মেয়ে উভয় এরই এমন মনোভাব থাকা উচিত। কেননা একটা সংসার সুন্দর ভাবে গড়ার জন্য উভয়েরই সমান অবদান থাকা উচিত। আর তাছাড়া সত্যি বলতে , নিজের সন্তানদের সঠিক ভাবে গড়ে তুলার পিছনে সব থেকে বড় অবদান বাবা এবং মা দুইজনেরই। এবং আমার মতে একটা মা ই সব থেকে বেশি ভূমিকা রাখে কেননা মা ই একমাত্র যিনি সব সময় উনার সন্তানদের পাশে থাকেন। এবং মায়ের সকল কাজ কর্ম গুলোই মূলত সন্তানেরা ফলো করে থাকে। সেই হিসাব করলে মায়েরাই বেশিভাগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি মূলত বুঝতে চেয়েছি যে বাবা এবং মায়েদের পুরো জীবনটাই কেটে যায় মূলত নিজেদের সন্তান এবং পরিবারকে সুখে শান্তিই রাখার ইচ্ছা নিয়ে। উনারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন তাদের সন্তানদের ভালো রাখার জন্য। এই কথা গুলো সত্যি বলতে তারাই হয়তো বুঝতে পারবে যারা কিনা এখন বাবা অথবা মা হয়েছে। আমিও আগে এইসব মায়া মোহাব্বত বুঝতাম না , কিন্তু মা হওয়ার পর থেকে আমিও এখন বুঝতে পারি যে নিজের সন্তানের সুখই তো আমার কাছে এখন সব। যাই হোক , আজকে এই পর্যন্তই। আপনাকে সকলকে ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আপু আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বাবা মা সন্তানের জন্য তাদের সবকিছুই বিসর্জন দেয়। একটা সংসারে বাবা এবং মায়ের সমান দায়িত্ব থাকলেও আমার কাছে মনে হয় মায়ের দায়িত্ব অনেক বেশি। সংসারের ভালো-মন্দ সবকিছুই সন্তানেরা মায়ের কাছেই বেশি শিখে। আমি এতকিছু বুঝি না কারণ আমি এখনো ছাত্রী। তবে যতটুকু বুঝি মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে মা-বাবা নিজের সন্তানের সুখের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিতে পারে। যখন ছোট ছিলাম তখন খুব বড় হতে ইচ্ছা করত কারণ বড়রা অনেক স্বাধীন কিন্তু এখন বড় হয়েছি তাও ছোট হতে ইচ্ছা করে। এটা সত্যি বলেছেন আপু একটি সংসার করার পিছনে ছেলে মেয়ে উভয়ের অবদান থাকে। প্রতিটি সন্তানের জন্য পিতা-মাতার ভালোবাসা আশীর্বাদ স্বরূপ। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু পৃথিবীতে বাবা মা বিনা স্বার্থে তার সন্তানকে ভালোবেসে থাকেন।আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ছোট বেলার মতো জীবন আর কখনো পাওয়া যায় না। আপনি ঠিক বলেছেন ছোট বেলায় ভাবতাম বড় হলেই স্বাধীন। আর দুজন ছাড়া কখনো কোন সংসারে শান্তি আসে না। ধন্যবাদ আপু।
আসলে ছোটবেলায় এসব কিছু ভাবলেও বড় হওয়ার পর আমরা এগুলো ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। আর সন্তানের জীবনে তো মায়ের গুরুত্বটাই সবথেকে বেশি থাকে। বাবা তো সবসময় সন্তানের কাছাকাছি থাকে না। অনেক কাজে হয়তো অনেক সময় অনেক দূরে ব্যস্ত থাকে। বড় হওয়ার পর আমাদের মনের স্বাধীনতাটা একেবারেই হারিয়ে যায়। কিন্তু ছোটবেলার সেই স্বাধীনতাটাই বড় স্বাধীনতা। একটা পরিবারে বাবা-মায়ের গুরুত্বটা সবসময় বেশি। সবাইকেই পরিবারে ভালো থাকতে হয়। তাহলেই পরিবারটা অনেক সুন্দর থাকে।
নিজের সন্তানকে ভালো রাখার জন্য প্রত্যেকটা পিতা-মাতা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে থাকে। আর তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম কম সংখ্যক সন্তান মূল্যায়ন করতে জানে। যদি পিতা-মাতার এই কঠোর পরিশ্রম নিয়ে তারা একটু চিন্তা করে তাহলে কখনোই পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না। যাই হোক অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপু। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট।
একটি সংসার ভালোভাবে গোছাতে গেলে দুজনেরই মনোভাব ভালো হওয়া উচিত। সে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। তবে আপু এটা ঠিক ছোটবেলায় আমরা ভাবতাম কবে বড় হবো। কিন্তু বড় হওয়ার পর বুঝতে পারি ছোটবেলার সেই সময় গুলোই ভালো ছিল। আপনার লেখা পোস্ট পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো আপু।
আমাদের সমাজে একটি সন্তান বড় করার ক্ষেত্রে মা-বাবা দুইজনের অবদান অনেক বেশি। আমি মনে করি সন্তানের জন্য মা-বাবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। ছোট থাকতে বুঝতাম না বড় হয়ে বুঝি মা-বাবারা কত মূল্যবান সম্পদ। এখন যেহেতু নিজের হাতে বাচ্চাদেরকে বড় করতেছি বেশ বুঝতে পারি। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার এত সুন্দর শিক্ষনীয় লেখা গুলো পড়ে।
সন্তান গড়ার কারিগর হচ্ছে প্রতিটি মা। আর বাবা তো নিজের ভোগ বিলাসিতা ত্যাগ করে,সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে সঞ্চয় করার চেষ্টা করে। মা বাবার ভালোবাসার মূল্য কোনো সন্তান কখনোই দিতে পারবে না। কারণ তাদের ভালোবাসা একেবারে স্পেশাল। তাই আমাদের উচিত বৃদ্ধ বয়সে মা বাবার খেয়াল রাখা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছেলেমেয়ের জন্য মা-বাবার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না।বড় হয়েই বুঝেছি মা-বাবা কতো কষ্ট করে ছেলে-মেয়ের জন্য। এখন মা হয়ে আরো বেশী বুঝি।মা-বাবার ছায়া না থাকলে ছেলে-মেয়েরা অসহায় হয়ে পরে।মা-বাবার সারা জীবন ই কাটিয়ে দেন সন্তানের সুখের কথা ভেবে।তাদের এই অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আপনি খুব সুন্দরভাবে লেখার মধ্যে সেটা ফুটিয়ে তুলেছেন।
এখন তো স্বাধীন। সন্ধ্যার পরে বাসার বাইরে থাকলে কেউ রাগ করে না প্রতিটা কাজের জবাবও তো চাই না। কিন্তু এখন মনের মধ্যে সেই শান্তি টা আর নেই। যে শান্তিটা ছিল বাবা মায়ের শাসনে থাকার সময়ে। এখন বুঝি উনারা কেন ঐসময় শাসন করত। কেন ঐসব কাজে বাধা দিত। দারুণ লিখেছেন আপু।