বিশ্বাস।

বর্তমানে সব থেকে মূল্যবান জিনিসের মধ্যে বিশ্বাস হচ্ছে একটি। এটাকে অর্জন করা এখন অনেক কঠিন। আর এটাকে অর্জন করা যেমন কঠিন ঠিক তেমনি এটাকে রক্ষা করাও কঠিন। কেননা বর্তমানে এমন যুগ চলে এসেছে যেখানে চারিপাশের পরিস্থিতি দেখে দেখে আমরাও প্রভাবিত হচ্ছি। চারি পাশে এইসব বিশ্বাস ভঙ্গ, এইসব প্রতারণা দেখতে দেখতে মনের মধ্যে একটা নেগেটিভ চিন্তা চলে আসে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আসলে কিন্তু কিছুই না। শুধু মাত্র আমাদের নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার কারণেই অনেক সময় ভুল বুঝা বুঝি হয়ে যায়। আজকে এইসব নিয়েই বিস্তারিত কিছু আলোচনা করবো , আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

প্রথমেই আসা যাক আমাদের নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা নিয়ে। এটা নিয়ে আসলে তেমন কিছু বলার নেই , কেননা এখন প্রায় মানুষেরই চিন্তা ভাবনা সব সময় নেগেটিভ হয়। এতে করে কিন্তু আমাদের মন মানসিকতা অনেকটা দুর্বল হয়ে পরে। যে জিনিষটা আসলেই কিছুই না সেটাকেও আমরা অনেক বড় করে দেখতে থাকি। এই জিনিষটা যে কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে। সাধারণত আপনি যদি কোনো কাজই করতে যান এবং শুরুতেই আপনি যদি ভাবেন যে আপনি এটা পারবেন না তাহলে কিন্তু আপনার কাজের প্রতি যে স্পৃহা সেটাই নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনি কাজটা করতেও ভয় পাবেন। যেটা কিনা খুবই খারাপ একটা বিষয়।

আবার অনেকেই আছে যারা কিনা অতিরিক্ত উদাসীন। অথবা অতিরিক্ত বিশ্বাসী বলতে পারি যেটাকে অনেকেই আমরা ওভারকোনফিডেন্স ও বলে থাকি। যেখানে দেখা যায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এর কারণেও সমস্যা পরে যায়। ঠিক তেমনি অন্য কাউকে একদম অন্ধ বিশ্বাস করাও ঠিক না। আর বিশেষ করে আমাদের নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার কারণে কাউকে সন্দেহ করা বা মনে করা যে সে বিশ্বাস ভঙ্গ করছে সেটাও একদম ঠিক না। আর তার থেকে বড় কথা আমাদের উপর যাতে কেউ বিশ্বাস না হারায় সেটাকে গুরুত্ব দেয়া। কেননা একবার বিশ্বাস ভাঙলে তারপর আবার বিশ্বাস স্থাপন করা খুবই কঠিন হয়ে পরবে ।

তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করবো যাতে আমরা মানুষের দেয়া ওয়াদা এবং বিশ্বাস গুলো সব সময় রাখতে পারি। এবং নিজেদের মন থেকে সব সময় নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা গুলোকে দূর করে রাখতে পারি। তাহলে দেখবো আমাদের আর কোনো বাড়তি চিন্তা হবে না যেটার কোনো সত্যিকার অর্থই নেই। যাই হোক , আজ এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। অসংখ্যা ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমার সাথে থাকার জন্য।