ভুতের ভয়
ভুতের ভয়
এই যুগে ভুতে বিশ্বাসী না কেউই, এমনকি আমি নিজেও বিশ্বাস করিনা। কারণ সত্যি ভুত বলতে এই পৃথিবীতে কিছুই নেই। তবে জীন, পরী, পেত্নী কিংবা শয়তান ঠিকই আছে। ভুত শুধুই একটি কাল্পনিক নাম। তবুও আমরা ভয় পাই রাতের অন্ধকারকে, ভয় পাই একাকিত্বকে, ভয় পায় নিঃশব্দতার মাঝে ছোট্ট একটা শব্দকে। ভুত এই পৃথিবীতে বসবাস না করলেও বাস করে আমাদের মনে। কারণ আমরা কখনোই রাতের অন্ধকারে একটা জঙ্গলে প্রবেশ করতে পারবোনা সেই জঙ্গলে হিংস্র কোনো প্রাণী নেই জানা সত্ত্বেও। কারণ আমাদের মনে হিংস্র কোনো প্রাণী থেকে ভুতের ভয়টাই বেশি কাজ করে।
এই বিষয়টা আমাদের মনের মধ্যে গেথে দিয়েছে আমাদের আপন মানুষ গুলোই। ছোট বেলায় একটা মানুষ যে পরিমান ভুতের মিথ্যা গল্প শুনেছে সেই পরিমান সত্য গল্প হয়তো সে শুনেনি। খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুমানো পর্যন্ত ভুতের গল্প কিংবা ভুতের ভয় দেখিয়ে আমাদের শাসন করা হয়েছে। এমনও সময় গিয়েছে ভুতের গল্প শুনে একা একা ওয়াশরুমে যেতে পর্যন্ত ভয় করতো। অথচ সেই ভুতের কোনো অস্তিত্ব আমাদের এই পৃথিবীতে নেই।
জীন, পরী কিংবা পেত্নী এগুলোর সাথে আমাদের নানা, দাদারা সবাই বেশ পরিচিত। তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অনেক সত্যি গল্পই আমরা শুনেছি। আর আগের শহর গুলো যেমন ছিল গ্রামের মতো, তেমনি গ্রাম গুলো ছিল জঙ্গলের মতো। যদিও বর্তমান সময় আর আগের সময়ের মধ্যে অনেক ব্যাবধান হয়ে গেছে। এখন প্রতিটা গ্রাম হয়ে গিয়েছে শহর, আর প্রতিটা শহর হয়ে উঠেছে কিছু উন্নত দেশের মতো। আর আগের গ্রাম গুলো এমন জঙ্গল থাকার কারণেই হয়তো এসব খারাপ জিনিসের উপদ্রব ছিল বেশি, তবে তখনকার মানুষের সাহসের কথা কি বলবো সেটা হয়তো আপনারা সবাই জানেন। তখনকার মানুষ যেমন ছিল পরিশ্রমী, তেমন ছিল সাহসী, তেমনি ছিল তাদের দক্ষতা। যা এখনকার আমাদের মাঝে তার কিছুই নেই।
সেই সময়কার সময়ের সাথে মিলালে এখন অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। নেই কোনো জীন-পরীর ভয়, না আছে কোনো ক্ষতিকর প্রাণীর ভয়। তবুও আমরা সবসময় মনের মধ্যে একটা ভয় নিয়ে বসবাস করি। রাতে কখনো একা বের হতে ভয় পাই কিংবা কখনো একা ঘুমাতে ভয় পাই। আবার কখনো একা পথ চলতে ভয় পাই কখনো একাকিত্বকে ভয় পাই। আর এভাবেই আমাদের জীবনটা ভয়ে ভয়েই কাটছে। ভয়ের সাথে যেন আমাদের বাস।
ভয়কে জয় করতে হবে ও সবসময় সৃষ্টিকর্তার নাম মনে রাখতে হবে। একমাত্র সৃষ্টিকর্তায় পারেন আপনাকে বিপদ দিতে এবং সেই বিপদ থেকে আপনাকে উদ্ধার করতে। আর আমরা যা ছোট বেলায় শিখেছি কিংবা যে সকল মিথ্যা ভুতের গল্প শুনেছি সেগুলো থেকে আমরা আমাদের সন্তানকে দূরে রাখবো ও তাদের মধ্যে এমন কোনো প্রভাব ফেলতে দিবোনা যেটাই তারা ভয় পায় ও ভুতকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। আজকে এই পর্যন্তই , সবাই ভালো থাকবেন।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আসলে ছোটবেলায় মানুষ যেরকমটা শিক্ষা পায় সে রকমটাই কিন্তু জীবন গড়ার চেষ্টা করে। তো ছোটবেলায় ভূতের ভয় দেখিয়ে যেহেতু শাসন করা হতো তাই বড় হয়ে সেটা নিয়ে একটু কৌতুহল সৃষ্টি হয়ে ভয় পাওয়ার স্বাভাবিক।
আসলেই আমাদের আপনজনেরা ছোটবেলায় আমাদেরকে এতো বেশি বেশি ভূতের গল্প শুনিয়েছে যে,আমাদের মনের মধ্যে ভূতের ভয়টা একেবারে গেঁথে গিয়েছে। যদিও বর্তমান যুগের বেশিরভাগ মানুষ এসব নিয়ে সাধারণত ভাবে না,তবে একা একা বাসায় থাকলে অনেক সময় ভূতের ভয় ঠিকই মনের মধ্যে চলে আসে। তবে সবসময় নেক আমল করলে ভূতের ভয় মন থেকে এমনিতেই চলে যায়। তাই আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি নেক আমল করা এবং আল্লাহ তায়ালার নাম বেশি বেশি স্মরণ করা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলা আমি ভুত বলতে অনেক ভয় পেতাম। কিন্তু এখন ভুত যদি আমার সামনে এসে নাচানাচিও করে আমার মধ্যে কোন ভয় কাজ করবে না। সত্যি বলতে আমার ভয় হয় এখন মানুষকে। তবে আমাদের দেশের গ্রামে ভুত নিয়ে অনেক কথা অনেক গুজব অনেক মতামত চালু আছে।
ছোটবেলা থেকেই আসলে আমাদের মনের ভিতর ভূতের ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে আপু। আর সেই কারণেই আমরা সব সময় মনের ভেতর এখনো পর্যন্ত সেই ভয়টা নিয়ে চলি। ছোটবেলায় ঠাকুর দাদার মুখে অনেক ভূতের গল্প শুনেছি। সেগুলো এখনো কল্পনায় ভাসে। তবে আপনার এই কথাটার সাথে আমি একেবারেই একমত যে, আমাদের ভয়কে জয় করতে হবে এবং সব সময় সৃষ্টিকর্তার পথে থাকতে হবে। তাহলে কোন বিপদ আমাদের ধারে কাছে আসতে পারবে না।