গীবত।
গীবত , যেটি কিনা আমাদের নিত্য দিনকার অভ্যাস। অন্যকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা , অন্যের কোনো কিছু নিয়ে কারোর সাথে আলোচনা করা এইগুলো যেন আমাদের নিত্য দিনকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু এইগুলো করা যে কতটা নিচু কাজ সেটা বোধয় আমরা জানিনা। আমি ঐদিন একটা হাদিস থেকে জানতে পারলাম যে আমাদের ইসলামে যে ৩ টা কারণে মানুষ বেশির ভাগ দুযুকে যাবে সেটার মধ্যে এই গীবত হলো একটি , তাহলে একবার ভেবে দেখুন এটা কতই না নিকৃষ্ট কাজ। তবে সেটা নিয়ে কি আমরা মাথা ঘামাই ? আমরা দিনের পর দিন একে অন্যের গীবত করে যাচ্ছি। এতে আমাদের মূল্যবান সময় যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি গুনাহের পরিমানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সত্যি কথা বলতে গেলে আমরা কারোর ভালো চাই না , যার কারণে আমরা যদি কারোর ভালো দেখি তাহলে আমরা তাকে নিয়ে গীবত করতে শুরু করে দেই । ধরুন হটাৎ করে আপনি ভালো চলা শুরু করে দিয়েছেন , আগের তুলনায় আপনার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে তখন দেখবেন আপনার আসে পাশের মানুষ আপনাকে নিয়ে সমালোচনা বসিয়েছে। সবাই আপনাকে নিয়ে ভালো মন্দ বলা শুরু করে দিয়েছে। কেউ বলবে আপনি ভালো ভাবে উপার্জন করছে আবার কেউ বলবে আপনি কোনো খারাপ কাজ করে টাকা উপার্জন করছেন , আসলে যারা কিনা গীবত করে তারা কোনোদিন ও ভালো ভাবে কারোর সম্পর্কে কোনো কিছু জেনে তারপর সমালোচনা করে না। তাদের মন গড়া মতো একটা কথা বানিয়ে সেটার অপবাদ দিতে থাকে।
আসলে গীবত যে করে এবং গীবত যে শুনে তারা ২ জনই সমান অপরাধী হয়। তাই , নিজে যেমন কারোর গীবত করার থেকে বিরত থাকবেন তেমনি কেউ গীবত করতে দেখলে তাকে সতর্ক করবেন। তাতে যেমন আপনি সমাজের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হবেন তেমনি আল্লাহও আপনার উপর খুশি হবেন। এছাড়া গীবত করলে নিজেরই ক্ষতি বেশি , একে তো আপনি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবেন আর আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি কোনোদিনও তার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে না অন্যের নাম গবিত করতে গিয়ে ।
আর তাছাড়া আমরা যেমন একে অন্যকে দেখে হিংসা করি সেটাও একদম অযথা। আপনি কোনোদিনও কাউকে হিংসা করে নিচে নামাতে পারবেন না। বরং আপনি দেখবেন যে কিনা নিজের কর্মের কারণে বড় কোনো স্থানে যেতে পেরেছে , যে কিনা সমাজের মধ্যে একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে , সেই আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষের সাথে একদম বিনয়ী হয়ে কথা বলছে। তার মনে কোনো অহংকারই নেই , তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে আমাদের দাদা। যার কিনে মোটেও মনের মধ্যে কোনো অহংকার নেই। আমাদের সবাইকে দাদার মতো কোমল ও বিনয়ী হওয়া উচিত। যাতে করে সমাজ আমাদের সারাজীবন মনে রাখবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
কিছু কিছু মানুষকে দেখলে মনে হয়, তারা যদি গীবত না করে, তাহলে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। আসলে যারা অলস এবং কোনো কাজকর্ম করে না, তারাই মানুষের গীবত করে থাকে সারাক্ষণ। কথায় আছে না অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। গীবত করার বিচার খুবই ভয়াবহ। কারণ আল্লাহ তায়ালা গীবত একেবারেই ঘৃণা করেন। মানুষ আসলে কারো উন্নতি দেখতে পারে না। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গীবত সত্যি অত্যন্ত খারাপ একটি কাজ , যা সবার কাছেই অপ্রিয়।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গীবত করা আসলে ঠিক না। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে গীবত না করলে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। আর গীবত করা আমাদের সৃষ্টিকর্তাও পছন্দ করে না। আসলে যে মানুষগুলো অলসতায় সময় পার করে যাদের কাজকর্ম কম থাকে। কিভাবে সময়টা পার করবে।তাইতো সে এই গীবতের সময়টা বেছে নেয়।আসলে এখনকার সময়ে কেউ কারো ভালো চায় না।তাইতো একজন আরেকজনের পিছু লেগেই থাকে। দোয়া করি এই গীবতের হাত থেকে সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে রক্ষা করুক ।
আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের কাজওই শুধু গীবত করা ও পরের ক্ষতি করা।
প্রতিনিয়ত গীবত করা লোকজনদের থেকে দূরে থাকা উচিত। আর যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে সব সময় সতর্ক করা উচিত। তবে এই সতর্ক করা মানুষগুলোর সংখ্যায় যেন কম এজন্যই সমাজে যেন গীবতের প্রচলন কমছে না।
গীবত করতে আসা মানুষ গুলোকে দূরে ঠেলে দেয়াটাই উত্তম।
কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা যতক্ষণ কথা বলে তার পুরোটাই গীবত করে। গীবত যে করে এবং যে শুনে দুজনে সমানভাবে অপরাধী। আসলে বর্তমানে আমাদের কাছের মানুষজনরাই আমাদের ভালো চায় না। কেউ একটু উপরে উঠলে তাকে কিভাবে টেনে নিচে নামানো যায় সেই চেষ্টায় থাকে সবাই। ভালো লাগলো আপনার আজকের লেখাগুলো পড়ে।
জি আপু ঠিক বলেছেন।
এখনকার সমাজের মানুষ এরকমই হয়ে গেছে আপু, কেউ একটু উন্নতি করলে বা উপরের দিকে ওঠার চেষ্টা করলেই রীতিমতো তার পেছনে কথা বলা শুরু করে দেয়। তবে আপনার মত আমি নিজেও এটাই মনে করি যে, গীবত যে করে এবং গীবত যে শোনে তারা দুই জনই সমান অপরাধী হয়। তাছাড়া একজন বুদ্ধিমান মানুষ আসলেই কখনো লোকের পিছনে কথা বলে তার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে না। তাই যারা এরকম পিছনে কথা বলে, তাদের থেকে সবসময় দূরে থাকাই উচিত। এতে করে ভালো থাকা যায়।