ভ্রাতৃত্ববোধ।

বর্তমান সময়ে সত্যি বলতে আমার এক একজন স্বার্থপর হয়েছে গিয়েছে। অর্থ আর বৃত্তের পিছনে এমন ভাবে ছুটেছি যাতে সম্পর্ক নষ্ট হলেও সেটাকে আমরা উপেক্ষা করে নিজের স্বার্থের পিছনে দৌড়াই। আমরা মনে করি আমাদের সব সুখ শান্তি বোধোদয় সব অর্থ আর সম্পদের মধ্যে গেথে আছে। কিন্তু আসলেই কি তাই ? সত্যি কথা বলতে প্রকৃত সুখ হচ্ছে নিজেকে অন্যের উপকারের মাধ্যমে নিয়োজিত করায় । আমরা আসলে অনেক বোকা যে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করাকেই আমরা সুখ মনে করি। আমরা মনে করি যে অনেকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ গুলো হাসিল করার মাধ্যমে আমরা সুখী হয়ে উঠবো। যেটা কিনা একদমই ভুল।

প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে যে আমরা একা একা কোনোদিনও বাঁচতে পারবো না। আমাদের জীবনে সমাজ , পরিবেশ , আত্মীয়স্বজন এবং আপনজন সকলেরই প্রয়োজনীয়তা আছে। তাই আমাদের সাথে তাদের ভালো সম্পর্কটাও অনেক জরুরি। তবে সবার সাথে না , ক্ষেত্র বিশেষে আপনি যদি মনে করেন তাদের সাথে আত্মীয়তা রাখলে আপনি খারাপ ভাবে প্রভাবিত হতে পারেন বা কিছু সেইক্ষেত্রে হয়তো ব্যাপারটা আলাদা হবে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে শুধু মাত্র নিজের স্বার্থ উদ্ধার এর জন্য কারোর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করা সত্যিই অনেক খারাপ একটি বিষয়। এটা একজন মনুষত্বহীন মানুষের পরিচয় বহন করে।

আর একজন সৎ এবং মহৎ ব্যক্তি দরকার হলে নিজের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়েও সকলের সাথে ভালো ব্যবহার এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। সত্যি বলতে এটাই হচ্ছে মূল মানুষের পরিচয়। এইসব ব্যবহার এবং আচরণই মূলত মানুষের মধ্যে তার মনুষত্বকে প্রকাশ করে। এবং আমরা সবাই একজন মহৎ মানুষকে তার কাজ কর্মের মাধ্যমে যাচাই করতে পারবো। এবং সেই মহৎ মানুষ গুলো মূলত মানুষকে উপকার এবং মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মধ্যেই নিজের সুখ খুঁজে পান। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা যদি মনে করি অন্যকে উপকার করার মধ্যেই আমাদের সুখ সেখানেই আমাদের সুখ নিহিত থাকবে।

আমার এখানে বুঝানোর মধ্যেও মোটেও কোথাও উল্লেখ করিনি যে আমাদের একটা বিলাসী জীবন এর প্রয়োজন নেই। আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা আমাদের স্বপ্ন গুলো পূরণ করবো কিন্তু কাউকে দুঃখ বা কারোর হক মেরে তারপর নয়। আমরা সব সময় খেয়াল রাখবো যাতে আমাদের জন্য কারোর কোনো দুঃখ বা কষ্ট না হয়। নিজে সব সময় বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা করবো। এবং সেটার মধ্যেও আমরা আরেক রকম সুখ খুঁজে পাবো।