কিছু করতে চাইলে মন থেকে করার চেষ্টা করো

আচ্ছা তুমি কি জানো তুমি কি ভাবে প্রতিনিয়ত অন্যায় করে যাচ্ছ ? তুমি কি জানো তুমি প্রতিনিয়ত নিজেকে দাম্ভির ও অহংকারী হিসেবে নিজেকে প্রমান করছো। তোমার নিজেকে তুমি কি ভাবো ? তুমি অনেক ভালো মানুষ ? অনেক বেশি পরিশ্রমী মানুষ যা তোমার থেকে বেশি আর কেউ করেনা ? তুমি কি ভাবো নিজেকে নিয়ে ?যে তুমি যা করছো সবকিছুই তোমার নিয়ন্ত্রণে চলবে? তোমাকে হয়তো কেউ কখনো কিছু বলে না তোমার এই অন্যায় কিংবা অপরাধের কথা, কিন্তু তুমি এই ভেবোনা তোমাকে সবাই ভয় পাই। আসলে এখানে তোমাকে ভয় পাওয়ার কিংবা তোমার কিছু না বলার মতো সাহসের কিছু নেই। সত্যি বলতে প্রতিনিয়ত তোমাকে সম্মান করা হচ্ছে আর তোমার করা অন্যায় গুলোকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে।

কারণ কি জানো? কারণ, তোমার সাথের মানুষ গুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও মনোস্তত্ববোধ আছে যা কিছু কিছু সময় তোমার মধ্যে দেখা যায়না। তুমি কখনো কখনো এমন কিছু কথা, এমন কিছু কাজ, কিংবা এমন কিছু অন্যায় করো যা সত্যি অস্বাভাবিক থেকেও আরো অস্বাভিক। মাঝে মাঝে হয়তো তোমাকে অন্য ভাবে কিংবা ইঙ্গিত দিয়ে বুঝানো হয় যে এই কাজটা তুমি ঠিক করোনি কিংবা ভালো কিছু করোনি কিন্তু এতে তুমি কিছুই বুঝতে পারোনা বরং নিজের বিষয়টাকে বড় করে দেখার চেষ্টা করো সবসময় ও অন্যকে ছোট করে কথা বলার চেষ্টা করো। তুমি কখনো এটা বুঝতে চাওনা যে তোমার পাশের মানুষ গুলো যদি তোমার মতো জ্ঞানহীন, বুদ্ধিহীন কিংবা মনোশত্ববোধহীন হতো তাহলে হয়তো তোমার করা অন্যায় গুলোকে এমন ভাবে ধরিয়ে দিতো যেভাবে তুমি অপমানিত হও, লজ্জা পাও ও নিজেকে ছোট ভাবতে পারো।

শুনেছি মানুষ নাকি জীবনে একবার একটা বড় ভুল করে সেই ভুলের প্রাশ্চিত্ত করে আসে, সেই ভুলের কথা সারাজীবন মনে থাকে ও কখনো সেই ভুলের ধারে কাছেও যায়না। কিন্তু আমার আজকের এই গল্পের চরিত্রটি সম্পূর্ণ উল্টো। একটা মানুষ যখন জীবনে অনেক বড় ভুল করে আর সেই ভুলের জন্য নিজের জীবনটা একটা জাহান্নামে পরিণত হয়। তখন সেখান থেকে কেউ ভালোবেসে তাকে তুলে এনে নতুন করে জীবন সাজিয়ে দেয় ও নতুন করে বাঁচতে শেখায়, নতুন করে তার স্বপ্ন গুলোকে পূরণ করতে শুরু করে আর সাথে তার ছোট ছোট অন্যায় গুলোকে মুখ বুজে সহ্য করতে থাকে তখনই তার মনের মধ্যে তৈরি হতে থাকে অহংকার, দাম্ভিকতা ও নিজেকে বড় ভাবার মতো মনমানুষিকতা।

হ্যা কথা গুলো তোমাকেই বলছি, কারণ কি জানো ? কারণ প্রতিটা মানুষ পরিশ্রমী, প্রতিটা মানুষ যে যার জায়গা থেকে কোননা কোনো কাজে কর্মরত। কোনো না কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত। এই জগতে শুধু তুমি একাই কষ্ট করোনা, একাই সকল কাজ করোনা কিংবা একাই চিন্তিত থাকোনা। যে যার মনের খবর জানে। তুমি চাও তোমার মনের খবর সবাইকে জানাতে কিন্তু তুমি নিজেই আরেকজনের মনের খবর জানতে চাওনা কিংবা তাকে বুঝতে চাওনা। আর এটাই হচ্ছে তোমার তোমার সমস্যা।

আমরা মানুষজাতির কাছে সমস্যা কখনো নিজে থেকে আসেনা। প্রতিনিয়ত সমস্যা গুলো আমরা নিজেরাই তৈরি করি। আমরা কখনো নিজের করা কষ্টটা লুকিয়ে রাখতে চাইনা, যতোটুকু কষ্ট করেছি সেটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাই, নিজের দাম বাড়াতে চাই কিন্তু এই দাম বাড়াতে গিয়ে যে নিজেকে আরো ছোট করি সেটা বুঝতে পারি না। অহংকার ও বাম্ভিকতা কখনো পরিবারের সুখ আনতে পারেনা। অহংকার ও বাম্ভিকতার কারণে হয়তো কখনো তুমি একা হয়ে যেতে পারো, কারণ এখন হয়তো তোমাকে সম্মান দেখানো হচ্ছে, হয়তো তোমার করা ভুল গুলো কিংবা অন্যায় গুলোকে ইঙ্গিত দিয়ে বুঝানো হচ্ছে কিন্তু একটা সময় যখন আর সম্মান দেখানো সম্ভব হবে না কিংবা ইঙ্গিত দিয়েও আর বুঝানো হবে না তখন হয়তো তোমার অনেক খারাপ লাগবে। তাই বলছি নিজের ভালো চাইলে নিজেকে বদলাও। মানুষকে ভালোবাসতে শিখো। কিছু করলে মন থেকে করার চেষ্টা করো। দেখবে তোমাকে তোমার চারপাশের মানুষ গুলো ভালোবেসে মাথায় তোলে রাখবে।