রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প - নির্জন সেই গ্রামীণ রাস্তা (শেষ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

image.png

image source

গত পর্বে বলেছিলাম সেই ২জন এর কথা যারা কিনা সেই রাতে সেই বিশাল পরিতেক্ত বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক ভয়ানক চিৎকার শুনতে পায়। এতো বিশাল বড় পরিতেক্ত বাড়িতে হটাৎ কারো চিৎকার শুনে তারা সিদ্ধান্ত নিলো তারা সেখানে গিয়ে দেখবে , কারোর কি বিপদ হলো নাকি কোনো। আজকে ঠিক তার পর থেকে শুরু করবো। আশা করছি আপনাদের কাছে গল্পটি ভালো লাগবে।

তারা যখন সেই বাড়িতে ঢুকার চিন্তা ভাবনা করলো তখনি ঠিক আগের মতো আরো একটা চিৎকার শুনতে পায় তারা। তখন আর বেশি না ভেবে ২ জন একসাথে দৌড়ে যায় বাড়ির ভিতর। কিন্তু সব থেকে আশ্চর্য হলো বাড়িতে একদম কেউ না থাকা সত্ত্বেও প্রচুর গাছ পালা দিয়ে ভরা ছিল বাড়িটা। তাও ছোট খাটো গাছ নয় , বিশাল বড় বড় আম গাছ কাঁঠাল গাছ। আর সেই বাড়িতে ঢুকার সময় তারা দেখলো যে বাড়ির চারি পাশ পুরো অন্ধকার। দেখেই যে কেউ বুঝতে পারবে এই বাড়ি বছরের পর বছর পরিতেক্ত হয়ে পরে রয়েছে। তখন তারা ২ জনই রীতিমত একটু ভয় পেয়ে উঠে।

তারপর তারা মোবাইল এর ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে খুঁজতে থাকে কে চিৎকার দিয়েছিলো সেই সময়। আর ফিশ ফিশ গলায় বলতে থাকে কে তখন চিৎকার দিলো। কিন্তু তখন কোনোই সারা পাওয়া যায়নি। হটাৎ তারা দূর কোথাও লক্ষ্ করলো একদম সাদা একটা ধবধবে ঠিক কাফনের কাপড়ের মতো কাপড় পরে একটা মানুষের দেহ সেই বিশাল এক আম গাছে ঝুলছে। এই সব কিছু দেখে তারা রীতিমতো অজ্ঞেন অজ্ঞেন হয়ে যাবে এমন অবস্থা। কিন্তু তারা ২ জন তখন মনে সাহস রেখে একটা দৌড় দিয়ে বাইক এর কাছে চলে আসলো আর তাড়াহুড়া করে বাইক এর চাবি বের করতে গিয়ে চাবিটা হাত থেকে পরে যায়। তখন সেই অবস্থায় এতো অন্ধকার এর মধ্যে চাবি কিভাবে খুঁজে পাবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলো না। তখন পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে চাবিটা খুঁজতে শুরু করে।

কিন্তু কোনোভাবেই সেই চাবি পাচ্ছিলো না , তখন সেই অবস্থায় কি বাইকে রেখেই দৌড় দিবে নাকি চাবি খুঁজবে সেই সিদ্ধান্তের দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগছিল , ঠিক তখনি তারা লক্ষ্ করলো তাদের পিছনে একটা অটো আসছে। এই দেখে তাদের মনের কিনা খানিক সাহস আসলো , তারপর সেই অটো টিকে দাঁড় করিয়ে তারা চাবি খুঁজতে লাগলো , অনেক খুজার পর চাবিটিকে বাইকে এর একটা কোণায় আটকে থাকতে দেখে , তারা হুরা করতে গিয়ে চাবি যে বাইকের এক কোনায় গিয়ে আটকেছে তারা খেয়ালই করেনি।

যাই হোক , তারপর বাইক চালু করে প্রায় ২০ মিনিট চালিয়ে তাদের এলাকার বাজারে পৌঁছে। তারপর সেই আউটওয়ালাকে বাজারে একটা দোকানে বসে সব ঘটনা খুলে বলে। তারপর তারা বলে যে এইরকম ঘটনা প্রায়ই হয় কিন্তু সেই অলৌকিক শক্তি কারোর ক্ষতি করতে পারে না। সবাইকে শুধু ভয়ই দেখায়। আর সেই সভার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় যে এইটা নাকি একটা আসর জিনদের ডাকার জন্য। তবে সেটা নাকি অনেক ভয়ানক হয়ে থাকে। কেননা জিনদের ডাকার ঠিক ৩ মিনিট এর মধ্যে আশে পাশের এলাকা ছেড়ে দিতে হয় , শুধু মাত্র যে ডেকেছে সে বাদ দিয়ে।তখন তারা বুঝতে পারে সেই জন্যই হয়তো কেউ ছিল না তখন। এইভাবেই সব অদ্ভুত ঘটনা গুলোর কারণ তারা জানতে পারে।

সমাপ্ত

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 months ago 

এই গল্পের আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছিল। শেষ পর্বটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এমন পরিত্যক্ত বাড়িতে জ্বীন-ভূতের আনাগোনা থাকেই। ভাগ্যিস তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু তারা ভীষণ ভয় পেয়েছিল,এটা বলতেই হচ্ছে। আশা করি নতুন কোনো গল্প নিয়ে খুব শীঘ্রই হাজির হবেন আমাদের মাঝে। সেই অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 2 months ago 

আপু আপনার লেখা এই গল্পটার প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। যেটা পরে একটু ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু এই পর্বটা একটু বেশি ভয়ানক ছিল। পড়ে তো আমি নিজেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। কারণ গল্পটা পড়ার সময় গল্পের মাঝে যেন আমি ঢুকে গিয়েছিলাম এরকম মনে হচ্ছিল। সাদা কাপড় পড়া কোন ব্যক্তিকে আমি নিজের চোখে দেখছি ঝুলতেছে গাছের সাথে। আসলে এরকম গল্প গুলো পড়ার সময় আমার এরকমই অবস্থা হয়। আমি গল্পের মাঝে এতটাই মগ্ন হয়ে যাই যে, সবকিছু যেন আমার সাথেই হচ্ছে এরকম মনে হয়। যাইহোক শেষ পর্যন্ত তারা এলাকার বাজারে এসেছে এটাই অনেক।

 2 months ago 

সাদা ধবধবে কাফনের কাপড়ের মতো কাপড় পরা কোনো মানুষের দেহ যদি বিশাল এক আম গাছে ঝুলতে দেখা যায়, তাহলে তো সেটা অনেক বেশি ভয়ংকর ব্যাপার আপু। আমি হলে তো ওই জায়গায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতাম। যাইহোক, অটোওয়ালা না আসলে হয়তো তারা বাইকের চাবি কোথাও খুঁজে পেত না। এতে করে আরো বিপদ হতে পারতো। গল্পটা কিন্তু অনেক ভয়ঙ্কর ছিল আপু।

 2 months ago 

এরকম ভৈতিক গল্পগুলো পড়লে অনেক বেশি ভয় লাগে আমার কাছে। এমনিতে ভুতের গল্প শুনতে এবং পড়তে আমি দুটোই খুব পছন্দ করি। কিন্তু মাঝে মাঝে খুবই ভয় লাগে। আবার অনেক সময় তো ঘুমানোর পর স্বপ্নেও দেখি। এর কারনে আমি এখন ভূতের গল্প খুবই কম শুনি এবং খুবই কম পড়া হয়। আপনার আজকের লেখা গল্পটার প্রথম অংশ আমি পড়েছি। দ্বিতীয় অংশের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। এই পর্বে তো দেখছি ভয়ানক একটা ঘটনা ঘটেছে। যেটা পড়েই আমি রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছি। সাদা কাপড় পড়া সেই ব্যক্তি কে ছিল আসলে?? আবার সে গাছের সাথে ঝুলছিল। আমার সাথে এরকম কিছু হলে তো আমাকে মনে হয় আর কেউ খুঁজেই পেত না। ওখানেই হয়তো স্টক করে ফেলতাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66188.19
ETH 3564.66
USDT 1.00
SBD 3.14