প্রচন্ড দাবদাহ।
মাসের শুরুটা বেশ ভালো ভাবে হলেও এখন কিন্তু মোটেও ভালো ভাবে কাটছে না এই মে মাসটা। প্রচুর গরম পড়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। মাসের শুরুতে প্রথম বৃষ্টির দেখা পাই তার আগে এপ্রিল মাসটা প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়। সত্যিই অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম এই গরমে। আর যে পরিমান গরম পড়েছিল তখন সবাই কম বেশি অতিষ্ট ছিল। সবাই একটু বৃষ্টির আশা করেছি । একদিনের বৃষ্টিতে বেশ কয়েকদিন শান্তিতে থাকা যেত কিন্তু অনেকদিন কাটার পর মে মাসের শুরুতে প্রথম বৃষ্টির দেখা পাই। এবং টানা কিছুদিন বৃষ্টির কারণে অনেকটা স্বস্তিতে জীবন যাপন করতে পারছিলাম ।
এখন এই মে মাসের মাঝ দিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে দাবদাহ দেখা দিয়েছে সেটা বলে বুঝাতে পারবো না। আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে এপ্রিল মাসের দাবদাহ থেকে এই মে মাসের দাবদাহটা বেশি শক্তিশালী। কি রকম একটা ভ্যাপসা গরম যে লাগছে সেটা বলে বুঝানো যাবে না। রাতে তো ঠিক ভাবে ঘুম হচ্ছেই না আবার দিনের বেলায় ফ্যানএর নিচে বসেও ঘেমে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আর ফ্যান এর বাতাসও প্রচন্ড গরম অনুভব হচ্ছে। মানে সব মিলিতে একটা হযবরল অবস্থা হয়ে গিয়েছে। ঐদিন দেখলাম ঢাকা সহ আসে পাশের এলাকায় একদম হিট এলার্টই জারি করে দিয়েছে।
সত্যি কথা বলতে দিন দিন পরিস্থিতির যেভাবে অবনতি হচ্ছে সেখানে আগামী ১০০ বছর পর আমাদের পৃথিবীর কি বেহাল দশা যে হবে সেটা আমরা এখন বসেই অনুমান করতে পারছি। ঐদিনও এটা নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। সত্যিই আমরা যেসব জিনিস নিয়ে ভুগছি সেইগুলো আমাদেরই কর্মফল। আমরা প্রকৃতিকে যেভাবে রাখবো , প্রকৃতিও ঠিক আমাদের সেভাবে রাখবে। আর আমরা যদি চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের থেকেও বেশি যাতে না ভুগে সেক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। প্রকৃতিকে খেয়াল রাখতে হবে। কি কি কারণে আমাদের প্রকৃতি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে সেইগুলোকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
যাই হোক , এখন বর্তমানের দাবদাহ থেকে বাঁচার জন্য একটু পর পর পানি অথবা শরবত খাবার চেষ্টা করবেন। তবে বেশি ঠান্ডা পানি বা শরবত না খাওয়াই ভালো। কেননা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খেলে আমাদের শরীরের ছোট ছোট শিরা গুলো ছিড়ে যায়। তাছাড়া আরো নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি না খাবারই চেষ্টা করবো আমরা। আর ঘন ঘন পানি খাবার চেষ্টা করবো যাতে শরীর সুস্থ থাকে। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
সত্যি কথা হল প্রকৃতিকে আমরা যেভাবে রাখবো প্রকৃতি ও আমাদের ঠিক সেভাবেই রাখবে এটাই বাস্তব। আর বর্তমান সময়ে ওয়েদার যেরকম চলছে এটা শুধুমাত্র আমাদের কৃতকর্মের ফল। যদি আমরা এখন থেকে সচেতন না হয়ে তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের আরো ভোগান্তি পোহাতে হবে। জনসচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
প্রকৃতি আমাদেরকে ছাড় দেয়, কিন্তু ছেড়ে দেয় না। আমরা প্রকৃতির উপর যে পরিমাণে অত্যাচার করেছি,সেজন্য প্রকৃতি এখন আমাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। যাইহোক পরিবেশ বাঁচাতে হলে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া গাছ লাগানোর পর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। এই তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত যেতে হবে না আপু, আজ থেকে ১৫ বা ২০ বছর পরেও পৃথিবীর কি বেহাল দশা হবে, সেটা দেখতে পারবেন। আমরা মোটেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি যত্নশীল নই। তাহলে হয়তো প্রকৃতির উপর আমরা এভাবে অত্যাচার করতাম না। যাইহোক, বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের এখানেও আসলে প্রচন্ড গরম পড়েছে আপু। তবে এই গরম থেকে যে কবে মুক্তি হবে, সেটা বোঝা মুশকিল। আপু, আপনিও নিয়মিত লিকুইড জাতীয় খাবার খাবেন। তাহলে এই গরম থেকে অন্তত বাঁচতে পারবেন।