আই হেইট ইউ বেয়াইন || বাংলা নাটকের রিভিউ
আই হেইট ইউ বেয়াইন বাংলা নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
দুষ্টুমি ও খুনসুটি নিয়ে ভালোবাসার সুন্দর একটি গল্প আজকের এই নাটকের কাহিনী। কিছু কিছু সময় ভালোবাসা গুলো দুষ্টুমি ও খুনসুটি থেকেই জন্ম হয়ে থাকে। উপরে উপরে একজন আরেকজনকে হেট করি কিংবা ঘৃণা করি বললেও ভিতরে ভিতরে ভালোবাসার টান অনেক বেশি হয়ে থাকে। আই হেইট ইউ বেয়াইন নাটকেও এমনই সুন্দর কিছু কাহিনী নিয়ে নাটকটি সাজানো হয়েছে। আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে এই নাটকের রিভিউ আমার নিজের মতো করে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | আই হেইট ইউ বেয়াইন |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | বি.ইউ.শুভ |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | ২৭ জুলাই ২০২৩ |
সময় | ৪২:৫১ মিনিট |
নাটকের মূল কাহিনী শুরু |
---|
শুরুতে দেখা যায় বড় ভাই ও ভাবি সহ ছোট ভাই বেড়াতে এসেছে ভাবির বাপের বাসায়। আর সেখানেই বেশ কয়েকদিন থাকবে তারা। সেই বাসাতেই রয়েছে ভাবির বোন মানে বেয়াইন আর এই বেয়াইন সেই বিয়ের দিন থেকেই এই বেয়ানের সাথে দুষ্টুমি করে আসছে। সে মনে রেখেছে বিয়ের দিনের কথা। সেই বিয়ের দিন ছেলেটি মেয়েটির মাথায় গোবরের পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিয়েছিল। গন্ধে কোন কিছু খেতে পারিনি আর সেই প্রতিশোধ এখন সে নিতে পারবে বলে মনে করছে।
একদিন সকালে ছেলেটি ঘুমাচ্ছিল। তখন পেস্ট এর ভিতর থেকে পেস্ট ফেলে দিয়ে বোম্বাই মরিচের পেস্ট রেখে দিয়েছিল ও ট্যাব বন্ধ করে রেখেছিল, যাতে করে পানি না আসে। সে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে গেলে তার প্রচন্ড ঝাল লাগে ও পানি খুঁজতে গেলে পানি পায় না। তখন সে মগ দিয়ে পানি নিয়ে আসে ও সেই পানি দিয়ে কুলি করতে গেলে দেখে যে পানিগুলো মরিচের পানি। আর তখন মেয়েটি খুব হাসতে থাকে আর ছেলেটি ঝালে ফোঁপাতে থাকে।
আরেকদিন মেয়েটি ছাদ থেকে ছেলেটিকে ঢিল মারতে গেলে তার বোনজামাই মানে দুলাভাইয়ের মাথায় মেরে দেয়। আর এগুলো নিয়েও অনেকগুলো কথা শোনায় ছেলেটি। তারা দুজন বাসার ভেতর সবসময় কিছু না কিছু একটা নিয়ে লেগে থাকত। একজন আরেকজনের জাত শত্রুর মতো। আর এসব জিনিস দেখতে দেখতে খুবই বিরক্ত হয়ে যায় পরিবারের সবাই। তাদেরকে প্রতিবারই নিষেধ করা হয় যাতে এরকম ঝগড়া বন্ধ করে কিন্তু কে শুনে কার কথা তাদের খুনসুটি গুলো যেন এভাবেই চলতে থাকে।
এভাবেই একদিন দুষ্টুমি করতে গিয়ে ছেলেটি মেয়েটির রুমের দরজার সামনে একটি কলার ছোকলা ফেলে রাখে আর সেই ছোকলার মধ্যে পা রেখে মেয়েটি পড়ে যায়। তখন দেয়ালের মধ্যে মাথা বাড়ি খেয়ে মাথা ফেটে ফ্লোরে পড়ে যায়। প্রথমে ছেলেটি বুঝতে না পারলেও খুব মজা করে হাসছিল। পরে সে মেয়েটিকে তুলতে গিয়ে দেখে মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে, আর ঠিক তখন জোরে চিৎকার করে বাসার সবাইকে ডাকে ও তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে খুব বেশি অনুতপ্ত অনুভব করে ও খারাপ লাগা কাজ করে ভিতরে ভিতরে। যে এটা আমি কি করলাম। কিছুদিনের মধ্যে মেয়েটি সুস্থ হয়ে যায় ও মেয়েটির কাছে গিয়ে ছেলেটি সরি বললে মেয়েটিও বলে যে আমি জানি যে এই কাজটি আপনি করেছেন। তবুও আমি কোন কিছুই বলিনি কারণ আমি নিজেও আপনার সাথে অনেক দুষ্টুমি করেছি।
আর তখন তাদের কথাগুলো ইমোশনাল ভাবে হয় ও একজন আরেকজনকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখতে থাকে। এখানেই ছেলেটি বলে যে আমরা কালই চলে যাচ্ছি আপনাকে আর বিরক্ত করবোনা। এই কথা বলার পর মেয়েটি মনের ভেতর কেমন যেন একটা কষ্ট অনুভব করতে থাকে। বোঝা যাচ্ছে যে সে ভেতরে ভেতরে অনেক কষ্ট পাচ্ছে তার চলে যাওয়ার কথা শুনে। সে বুঝতে পেরেছিল যে দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছে। পরের দিন যখন তারা বের হয়ে যাবে তখন মেয়েটি ছাদে গিয়ে একা একা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। ছেলেটি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মেয়েটিকে কোথাও দেখা যাচ্ছিলোনা। কোথাও না দেখে ছাদে যাই গিয়ে দেখে সে দাঁড়িয়ে আছে একা একা।
আর তখন ছেলেটি বলে আমি তোমাকে নিয়ে যা অনুভব করছি তুমি কি সেই অনুভব করছো ? আর এখানে বেশ কিছু কথার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করে একজন আরেকজনের ভালোবাসার অনুভূতি। আর এভাবেই একজন আরেকজন মনের অনুভূতিগুলো বলে ভালোবাসার প্রকাশ করে ও একজন আরেকজনকে ভালোবাসার কথা বলে এখানেই নাটকের গল্প শেষ করে।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
ছোট ছোট দুষ্টুমি থেকে ঘটতে পারে অনেক বড় দুর্ঘটনা। আর সেই দুর্ঘটনা হওয়ার পর বুঝতে পারে যে সে সত্যি ছোট্ট দুষ্টুমি থেকে অনেক বড় একটি ভুল করে ফেলেছে। এই ভুল থেকে হয়ে যেতে পারে মানুষের মৃত্যু। কখনো কখনো এই অনুতপ্ত থেকে তৈরি হয় ভালোবাসা। যে মানুষটিকে গতকালকেও ঘৃণা করতাম তাকে এখন অনেক ভালোবাসি। এটাও হয়তো ভালোবাসা তৈরি হওয়ারই একটা মাধ্যম। দুষ্টুমি ও খুনসুটি থেকে তৈরি হওয়া ভালোবাসা এই গল্পটি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আপনারা চাইলে নিচে দেয়া লিংক থেকে নাটকটি দেখে নিতে পারেন।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
---|
ভালবাসা এমন একটি বিষয় যা কখন কিভাবে হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। বেয়াই আর বেইয়ানের মাঝে দুষ্টুমি ও খুনসুটি করতে করতে কখন যে ভালবাসা হয়ে গেল তারা নিজেরাও বুঝতে পারেনি। দারুন একটি রোমান্টিক নাটক ছিল। ধন্যবাদ।
অপূর্বের অভিনয় এমনিতেই আমার ভিষন ভালো লাগে। তার মধ্যে রয়েছে আবার কেয়া পায়েল। অসাধারন জুটি। আপু এই নাটকের আরও কয়েক ধরনের করছে কিন্তু ওরা দুজনে। তবুও আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালো একটি নাটক হবে। একবার দেখবো ভাবছি।
আপনার করা নাটকের রিভিউ পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।নাটকটির কয়েকটি ক্লিপ ফেসবুক থেকে দেখেছিলাম,ভালোই লেগেছিল।এখন আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ অনেকটাই জানতে পারলাম।বাংলা নাটকগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে।সময় করে নাটকটি দেখে নিব।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে এর আগে আমি আই হেইট ইউ নাটকটি দেখেছি। কিন্তু আমি এখনো আই হেইট ইউ বেয়াইন নাটকটি দেখতে পারেনি। তবে আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি দেখতে বেশ মজা ছিল। আসলে বিয়াইন সাথে প্রেম করা বেশ মজার। নাটকটি অল্প কিছুদিন হল মুক্তি পেয়েছে। চেষ্টা করব খুব তাড়াতাড়ি আপনার শেয়ার করা নাটকটি দেখার জন্য আপু।
আই হেইট ইউ বেয়াইন নাটকটি দেখে একটু বেশি হাসি পায়। তবে নাটকটির গল্পটি দারুন ছিলো। কয়েকদিন আগে নাটকটি দেখেছি। অপূর্বের নাটক আমি কখনো মিস করি না। শেষের দিকে অপূর্ব সব কিছু বুঝতে পারে এবং তাদের দুজনের মধ্যে মিল হয় দেখে ভীষণ ভালো লাগে। এধরনের রোমান্টিক নাটক গুলো দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার ভাবে নাটক রিভিউ করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপু। আপনি তো দেখছি সুন্দর সুন্দর নাটকের রিভিউ করে থাকেন। খুব ভালো লাগে আপনার রিভিউ পোস্টগুলো ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আসলে আপু নাটক দেখার তেমন একটা সময় হয় না,তাই নাটক দেখা হয় না একদমই। তবে মাঝে মাঝে নাটকের রিভিউ পড়ে কিছুটা ভালো লাগে নাটক দেখার কিছুটা অনুভূত হয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।