গ্রাম অঞ্চলে পিঠার সমারহ।।

আসসালামু আলাইকুম,

সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভালো আছি।আজকে আমরা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

গ্রাম অঞ্চলের মানুষ সব সময়ই পিঠা খেতে পছন্দ করে।গ্রাম অঞ্চলের মানুষের বাড়িতে সবসময়ই পিঠা উৎসব লেগে থাকে।আমরা গ্রামে বসবাস করি।পিঠা মানে আমাদের অন্যরকম ভালোবাসা।পিঠা খেতে পছন্দ করো না এমন মানুষ খুব কমই দেখা যায়।গ্রামের মানুষে মানুষে আছে অন্যরকম শ্রদ্ধা ভালোবাসা।আমরা গ্রামের মানুষ সকলেই যেন সব সময়ই পিঠা-পুলি উৎসবে মেতে থাকি।আমার পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে।আমার বাড়িতেও সব সময় নানান রকমের পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে।

পিঠা মানেই দাদি নানীদের হাতে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের মজার মজার পিঠা।যার জন্য শহরে থাকা মানুষও মাঝে মাঝে গ্রামে ঘুরতে চলে আসে।পিঠা মানুষকে আকৃষ্ট করে।গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি হয়ে থাকে।একেক রকমের পিঠার একেক রকম স্বাদ পাওয়া যায়। এটা মানে শীতের সকালের কথা মনে পড়ে যায়।যখন কনকনে শীতে খুব সকালে বাড়ির উঠানের মাঝখানে সকালে গোল হয়ে বসে আগুন পোহানো হতো আর পিঠা খাওয়া হতো।

সেই দিনটি গুলো কতটা মধুময় ছিল।বাড়িতে কোন অতিথি আসলে তার জন্য নানান ধরনের পিঠা তৈরি করা হতো।যেমন পুলি পিঠা,নকশী পিঠা,চিতই পিঠা আরো নানা রকমের পিঠা।আগের দিনগুলোই ছিল অসম্ভব সুন্দর।কিন্তু এখন গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হয়ে গেছে খুবই সৌখিন।তাদের মধ্যে চলে এসেছে সাহেবি ভাব-সাব।তারা এখন বাসায় কোন অতিথি আসলে পিঠা তৈরি না করে নানান ধরনের বিদেশী খাবার তৈরি করে খাওয়ান।গ্রাম অঞ্চলের পিঠার সেই ঐতিহ্য টা যেন কেমন আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে।

For work I use:

---

মোবাইল	Oppo A17
ফটোগ্রাফার	@ayeshasiddika10
লোকেশন	জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

পিঠা মানেই বাঙালির কাছে অন্য রকম অনুভূতি।বাঙালির ঐতিহাসিক কিছু ঐতিহ্যের মধ্যে একটি হলো পিঠো উৎসব।যেটা কিছু বছর আগেও প্রতি বছরই পালন হতো।এখন এই পিঠা উৎসব খুব একটা দেখা যায় না।বাঙালির ঐতিহ্যগুলো ছিল নজরকারা।এই পিঠা উৎসবটা পৌষ মাসে করে থাকবো সকলে।দুই তিন দিন ধরে অনেক রকমের পিঠা তৈরি করতে সকলে।একটা সময় গ্রাম অঞ্চলে খুব আয়োজন করে এই দিনটি পালন করা হতো।বাঙালির ঐতিহ্যে পিঠা-পলীর উৎসবটা সব সময়ই ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন।আল্লাহ্ হাফেজ