রেসিপি পোস্ট: নারিকেল, কাঁচা বাদাম ও খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি মজাদার ভাপা পিঠা।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এখন চলছে শীত কাল, আমারা সবাই জানি শীত কাল মানেই পিঠা খাওয়ার মৌসুম । শীতের সময় নানা রকম পিঠা পুলি বানাতে দেখা যায় সবার বাড়িতে। শীতে পিঠা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। গ্রাম অঞ্চলে পিঠাপুলি বানাতে বেশি দেখা যায়। শীতে সকালে গ্রামের মানুষ নানা রকম পিঠা পুলি বানাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। আর শীতকালে সবথেকে বড় যে ব্যাপারটা সেটা হলো খেজুরের গুড় বা পাটালি। খেজুরের গুড় দিয়ে যেকোনো পিঠা বানালে সেটা খেতে অনেক গুণ বেশি স্বাদ হয়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার নিজের হাতে তৈরি খেজুরের গুড়ের ভাপা পিঠা তৈরি করে দেখাবো। আশা করি আপনাদের কাছে আমার রেসিপি টা অনেক ভালো লাগবে। যদিও আমি এর আগে কখনো নিজের হাতে ভাপা পিঠা তৈরি করিনি। ভেবেছিলাম হয়তোবা খুব একটা ভালো হবে না, তবে তৈরি করার পর দেখতে পেলাম মোটামুটি বেশ ভালোই হয়েছে। কেমন হয়েছে সেটা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব চলুন কথা না বাড়িয়ে কাজে যাওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
চালের আটা |
চিনি |
লবণ |
খেজুরের গুড় |
নারিকেল |
কাঁচা বাদাম |
প্রথমে আমি চাউলের আটার মধ্যে পরিমান মতো লবন এবং চিনি দিয়ে নিয়েছি। এরপর লবণ চিনি ভালো করে আটার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
এবার অল্প অল্প করে পানি নিয়েছি আর অনবরত হাত দিতে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। অল্প অল্প করে পানি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে এখানে একসাথে বেশি করে পানি দেওয়া যাবে না। বেশি পানি দিকে আটার দলা বেধে যাবে। আটার দলা বাধানো যাবে না ঝুরঝুরে করে রাখতে হবে। আমি এর ভেতর নারিকেল আর কাঁচা বাদাম আগে থেকেই দিয়ে নিয়েছি। এবার সব কিছু সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিয়েছি।
এবার আমি একটি মাটির ছোট সরা নিয়ে এর ভেতর প্রস্তুত করে নেওয়া আটা দিয়ে সরাটা পূর্ন করে নিয়েছি। এরপর মাঝখানে খেজুরের গুড় দিয়ে নিয়েছি। বেশি চাপ দিয়ে সরা ভরাট করা যাবে না। এতে করে পিঠা ভালো হবে না। তাই আমি হালকা চাপে পিঠা তৈরি করেছি।
এবার আমি একটি পিঠা তৈরির হাড়ি চুলার উপর বসিয়ে দিয়েছি। এবার একটি নেট দিয়ে সরার পিঠা নেটের ভেতর রেখে সুন্দর করে পেচিয়ে নিয়েছি। এরপর ঢাকনার মাঝখানে পিঠা বসিয়ে দিয়েছি। এরপর মাটির সরা দিয়ে পিঠা ঢেকে দিয়েছি। এবার বেশ কিছুক্ষন ভাপ দিয়ে নিয়েছি।
বেশ কিছুক্ষন ভাপ দিয়ে নেওয়ার পর আমি সরা সরিয়ে দেখে নিয়েছি এটা নামানোর জন্য প্রস্তুত হয়েছে কিনা। যদি পিঠা হয়ে যায় তাহলে পিঠা অনেক হালকা হয়ে যাবে। আর হাত দিয়ে বাড়ি দিলে বাউন্স করবে। পিঠা তৈরি হয়ে গেলে এবার আমি চুলে থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
আর এভাবেই আমি শীতের মজাদার ভাপা পিঠা বানিয়েছি।
পোস্টের ধরন | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
শীতকালে ভাপা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু আপনি অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে তৈরি করলেন। নিশ্চয়ই খেতে অনেক ভালো লাগবে। বিস্তারিত রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু খেতে বেশ স্বাদ হয়েছিলো। শুকরিয়া আপু আপনার সুন্দর অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।
এভাবে ভাপা পিঠা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। বাদাম এবং খেজুরের গুড় দেওয়ার কারণে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। শীতের সময় ভাপা পিঠা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। আপনার রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো। এত মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাদাম আর খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা বানালে পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন
আজ তুমি অনেক মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ। নারিকেল, কাঁচা বাদাম ও খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি মজাদার ভাপা পিঠা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। তোমার হাতে তৈরি করা এই পিঠাগুলো খেতে সত্যি অসাধারণ ছিল।তুমি ভাপা পিঠা রেসিপির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছো তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নারিকেল, কাঁচা বাদাম ও খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি মজাদার ভাপা পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেকদিন হলো পিঠা খাব বলে খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপি দেখতে পেয়ে আরো খাবার ইচ্ছা জাগলো।
আসলে আজ আপনি আমাদের মাঝে দারুণ একটা পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে যান। যদিও এখন বিভিন্ন ধরনের মেলাতে এই ধরনের ভাপা পিঠা তৈরি করা হয়। কিন্তু বাড়িতে তৈরি করা ভাপা পিটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। দারুন একটা পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতে নানা রকম পিঠার মেলা বসে ভাই। তবে হাতে তৈরি করা পিঠার স্বাদ অন্য লেভেলের হয়। শুকরিয়া ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
অনেকগুলো উপাদান দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে ভাই। এ বছরের মাত্র একদিন ভাপা পিঠা খেয়েছি তাও বাইরে থেকে কোন স্বাদ পায়নি। নিজে বাড়িতে বানিয়ে খেলে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঘরের তৈরির জিনিসের সাথে অন্য কোন জায়গার জিনিসের তুলনা হয় না। নিজের হাতে তৈরি করা জিনিসের স্বাদ অতুলনীয়। শুকরিয়া ভাই আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।
ভাপা পিঠা রেসিপিটি আমার ভীষণ ভালো লাগে।পাটালি গুড়ের পিঠা অসাধারণ লাগে।বাদাম ও পাটালি গুড় এই পিঠার স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে গেছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
শুকরিয়া আপু ভালো থাকবেন সেই কামনা করছি।
দারুন সুন্দর ভাবে ভাপা পিঠার রেসিপি শেয়ার করলেন। প্রতিটি ধাপে একদম পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করলেন বলে ধন্যবাদ। খুব তাড়াতাড়ি একদিন ভাপা পিঠা বানিয়ে খেয়ে ফেলবো আর আপনার কথা মনে করব। আপনার বাবা ভিডিও গুলো দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল বলেই মনে হয়।
শুনে বেশ ভালো লাগলো দাদা। জ্বি পিঠা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো। শুকরিয়া দাদা ভালো থাকবেন।