দক্ষিণী ভাত ভাজি (১০%@shy-fox এবং ৫%@abb-school এর জন্য)
নমস্কার, বন্ধু বর্গ। কেমন আছেন সকলে? আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সকলের কাছে হাজির হয়েছি এক নতুন রেসিপি নিয়ে। আজকের রান্না টা ব্রেকফাস্ট হিসেবে বা সন্ধ্যের টিফিন হিসেবে কিন্তু একেবারে জমে যাবে।
ছোট থেকে মায়ের হাতে এই রান্না খেয়েছি, কিন্তু আমি আগেই বলেছিলাম সাদামাটা রান্নার পদে ফিউশন আনতে আমার জুড়ি মেলা ভার। তাই আজও ছোটবেলার খাওয়া ভাত ভাজাতে কিভাবে একটা দক্ষিণী ছোঁয়া আনা যায় সেই প্রচেষ্টাই করেছি। রান্নার টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বোঝা গেছে যে আজ আমি একটু সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলে ভাত ভাজা করতে চলেছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। এই পদটি বানাতে উপকরণ হিসেবে আমার যা যা লেগেছে তা হল-
ক) ঝরঝরে সাদা ভাত (ছোট এক বাটি)
খ) আলু (একটা মাঝারি সাইজের)
গ) পেঁয়াজ (একটা মাঝারি সাইজের)
ঘ) কাঁচা লঙ্কা এবং শুকনো লঙ্কা (দুটি করে)
ঙ) হিং (এক চিমটি)
চ) কারি পাতা (১০/১৫ টা)
ছ) সাদা কালো সরষে (দু চিমটি করে)
জ) তেঁতুলের পালপ ( এক টেবিল চামচ)
ঝ) নুন ও চিনি (স্বাদমতো)
ঞ) রিফাইন্ড অয়েল (এক টেবিল চামচ)
ট) ভাজা মসলা (এক চা চামচ)
ঠ) মাখন (অপশনাল)
উপরের সমস্ত উপকরণগুলি হাতের কাছে সাজিয়ে নিয়ে শুরু করে দিন দক্ষিণী ভাত ভাজি।
পদ্ধতি:-
ধাপ ১
প্রথমে আলু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেবেন এবং পেঁয়াজকে কুচিয়ে নেবেন সাথে কাঁচা লঙ্কা দুটিকে চিরে নেবেন। আপনারা চাইলে এর সাথে পছন্দসই আরও কিছু সবজি অ্যাড করতে পারেন। তবে আমি হাতের কাছে যা ছিল তাই দিয়েই করেছি।
ধাপ২
এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে একটি কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হলে তাতে তেল দিয়ে একে একে ফড়ণ দিতে হবে। যেহেতু এটা সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলে তৈরি হচ্ছে তাই অনেক কিছুই ফড়ণ দিতে হবে। তেল গরম হলে তাতে প্রথমে সাদাকালো সর্ষে, তারপর হিং, শুকনো লঙ্কা এবং কারি পাতা দিতে হবে।
এই সময় একটু সাবধানে থাকবেন কারণ কারি পাতা দিলেই সেটি ছিটকোতে আরম্ভ করবে, তাই ফড়নে কারি পাতা দেওয়ার সাথে সাথেই যদি একটা ঢাকনা দিয়ে দিতে পারেন ভালো হয়।
ধাপ ৩
কয়েক সেকেন্ড পর ঢাকনাটা সরিয়ে টুকরো করে রাখা আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে দেবেন। এবার ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে অল্প নুন দিয়ে ঢাকা দিয়ে দেবেন।
ধাপ ৪
এবার ঢাকনা খুলে ভালো করে নেড়ে চেড়ে দেখে নেবেন আলু কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে ঝরঝরে ভাত টা অ্যাড করে দেবেন এবং এর সাথেই স্বাদ অনুযায়ী নুন, এক চা চামচ চিনি, এক চা চামচ ভাজা মসলার গুঁড়া এবং তেতুলের পাল্প দিয়ে দেবেন।
(ভাজা মসলাটা আমি বাড়িতেই তৈরি করে নিয়েছি। শুকনো খোলায় জিরে, ধনে, মৌরি, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, এবং গোটা গরম মসলা ভালো করে নেড়ে নিয়ে একটি মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিয়েছি)
ধাপ৫
এরপর সমস্ত কিছু ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকা দিয়ে দেবেন। তারপর গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ স্ট্যান্ডিং টাইম দিলেই তৈরি হয়ে যাবে দক্ষিণে স্টাইলে ভাত ভাজি। সুন্দর করে প্লেটে বেড়ে উপর থেকে এক চামচ মাখন কেটে সাজিয়ে দিন আর উপভোগ করুন।
অসাধারণ সুস্বাদু এই চট জলদি পদটি আপনারাও তৈরি করুন এবং বাড়ির সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন। আশা করছি এরকম আরো অনেক সুস্বাদু পদ নিয়ে আপনাদের সামনে খুব শিগগিরই হাজির হব।
বাহ ভাইয়া ভাজাভাত রেসিপিটি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। এমন ভাজা ভাত খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আমি শীতকালে বেশিরভাগই রেসিপিটি করে থাকি। শীতকালে সকালে এভাবে ভাত ভাজে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন শীতের সময় মাঝে মধ্যেই এমন রান্না খেতে অবশ্যই ভালো লাগে। সেই সময় হরেক রকম সবজিও পাওয়া যায়।
খুব সুন্দর করে ধাপ গুলো তুলে ধরা হয়েছে, দেখে বেশ ভালো লাগলো। কারি পাতা আর তেঁতুল পাল্পটাই দক্ষিণ ভারতীয় ছোঁয়া দিয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন, দক্ষিণ ভারত মানেই কারিপাতা আর তেতুঁল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই অনেক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে তো আপনার এই রেসিপিটি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি খুবই দক্ষতা সহকারে এই রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপনা করে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি টির কালার কম্বিনেশন বেশ দারুন ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তেতুলের পাল্প ব্যবহার করাতেই এত সুন্দর রঙ এসেছে। খেতেও ভালো হয়েছিলো, একদিন ট্রাই করবেন, আশা করছি ভালো লাগবে
মজার ভাত ভাজির রেসিপি শিখে নিলাম ভাইয়া। এভাবে কখনো ভাত ভাজি করে খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। নতুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনি আমার মাধ্যমে নতুন কিছু শিখেছেন ,এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ
এই সিস্টেমে ভাত ভাজি করে খেতে আমি এর আগে কখনোই দেখিনি। খুবই সুন্দর লাগছে আপনার রেসিপিটির পরিবেশন খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা লাগবে নতুন রেসিপি দেখলে একটু খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায়।
সাধারণ থেকে একটু আলাদা করেছিলাম, অনেক মজাদার হয়েছিলো খেতে। ট্রাই করে দেখবেন। ধন্যবাদ
আমার আম্মু ভাত ভাজি করে মাঝে মাঝে তবে সেটা এতো ডেলিসিয়াস হয় না। সত্যি আপনার ভাত ভাজির রেসিপি টা বেশ অন্যরকম ছিল। যদিও আপনি বলেছেন দক্ষিণী একটা ছোয়া আছে। বেশ দারুণ হয়েছে। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আম্মু কে বলবেন একদিন এই ভাবে বানিয়ে দিতে, আশা করি অনেক মজাদার হবে
সম্পূর্ণ নতুন ভিন্নধর্মী এবং ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম ভাতের।। এভাবে কখনো প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি।। আপনি অনেকগুলা আইটেম ভাবির সাথে মিশ্রণ করে এরকম একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন আপনার প্রস্তুত প্রণালী দেখেই খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।। বিশেষ করে তেঁতুলের কথা শুনতেই জিভে জল চলে আসলো।।
একদিন অবশ্যই বানিয়ে দেখবেন, কথা দিচ্ছি খেয়ে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
অবশ্যই ভাইয়া নতুন ধরনের রেসিপি যেহেতু দেখেছি কৌতুহল যেহেতু সৃষ্টি হয়েছে মনের মাঝে সেহেতু খেতে একদিন তো হবে তবে খুব শীঘ্রই হবে আশা করি
এইভাবে ভাত ভাজি আসলে কখনোই খাওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে খুব মজা। আপনি খুবই সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের ভালো লাগলেই আমার কাছে সেটা পরম প্রাপ্তি
আমিও যদি মাঝে মধ্যে এই কাজটি করে থাকি ,তবে আমি এ রকম করে খাইনি । আপনার তৈরি অনেক উপকরন ,যা দেখে মনে হয় অনেক টেষ্টি হয়েছে। কোন একদিন খেয়ে দেখতে হবে। অনেক ভালো ছিল রেসিপিটি।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ভিন্নধর্মী রান্না সবসময় তেই আলাদা স্বাদ বহন করে, একদিন বানিয়ে দেখবেন, অনেক মজাদার হবে
ভাত ভাজি করে খাওয়ার মাঝে অন্যরকম একটি মজা আছে বিশেষ করে শীতকালে ঠান্ডা ভাত ভাজি করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না তবে অনেকদিন পরে এই রেসিপিটি দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ ভাই। চেষ্টা করবেন এইভাবে বানাতে আশা করছি নিরাশ হবেন না।