বুড়ো কত্তার পোস্ত ( ১০%@shy-fox এবং ৫%@abb-school এর জন্য)
নমস্কার, আশা করছি কমিউনিটির সকল বন্ধুরা ভালো ও সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সকলের কাছে একটা নতুন রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।
"ছেলে হয়ে রান্না!" অদ্ভুত শোনাচ্ছে তাই না? আসলে ছেলেবেলা থেকে মাকে দেখতে দেখতে ব্যাপারটি আয়ত্ত করে নিয়েছি, তবে সাধারণ রান্নাবান্না যেমন ধরুন ডাল ভাত করতে মন চায় না, এক্সপেরিমেন্টাল কিছু রান্না করতে হলেই বান্দা হাজির। চাইনিজ, মুঘলাই সবেতেই হাত পাকা করে নিয়েছি, কিন্তু যবে থেকে নিরামিষ ভোজী হয়ে উঠেছি, ওসব রান্না আর করা হয় না। এখন একটা নতুন সখ পুষেছি, নিরামিষ রান্নাতেও কিভাবে ফিউসন আনা যায়, করে তোলা যায় লোভনীয় সেই সব চেষ্টাই চলতে থাকে। আজকের রান্নার নামটা কেন এমন অদ্ভুত তার পিছনে একটা গল্প রয়েছে। আসলে গতকাল রাতে আমার বাবা যখন এইগুলো নিয়ে এসে হাজির হয় তখন আমার মা সেগুলোকে দেখেই বলে ওঠে- "এতগুলো বুড়ো কত্তা দিয়ে কি হবে?"
ছবি দেখে বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই।আসলে বুড়ো কত্তা হলো পাকা শশা। শসা গুলো দেখেই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আজ পোস্ত খাব। এই ধরনের শশা গুলো কিন্তু মধুমেহ রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তবে সাধারণ লোকেরাও এই রেসিপিটা কিন্তু সমান ভাবে উপভোগ করতে পারে। তাহলে চলুন আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই আজকে আমার এই রেসিপি।
রেসিপি টি বানাতে উপকরণ হিসেবে যা যা লাগে তা হলো-
ক) মাঝারি সাইজের একটা পাকা শশা
খ) আদা ( হাফ ইঞ্চি )
গ) কাঁচা পাকা লঙ্কা (চার পাঁচ টা)
ঘ) পোস্ত (২টেবিল চামচ)
ঙ) সাদা সর্ষে (১ টেবিল চামচ)
চ) চারমগজ (১টেবিল চামচ)
ছ) কালো জিরে (১চা চামচ)
জ) সর্ষের তেল (৩ টেবিল চামচ)
ঝ) গরম মশলা গুঁড়া ( হাফ চা চামচ)
ঞ) নুন ও চিনি (স্বাদ অনুযায়ী)
ট) ধনেপাতা ও কিসমিস কুচি প্রয়োজন মত (সাজানোর জন্য)।
ধাপ ১
প্রথমে শসা গুলোকে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ডুমো ডুমো করে কেটে নিতে হবে।
ধাপ ২
এরপর শুকনো খোলায় সরষে, চারমগজ ও পোস্ত দিয়ে হালকা নেড়ে নিতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।
ভাজা হয়ে গেলে সেগুলিকে একটি মিক্সিং বাটির মধ্যে নিয়ে তার সাথে ৪-৫ টা কাঁচা লঙ্কা এবং হাফ ইঞ্চি আদা দিয়ে একটি স্মুথ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্ট তৈরিতে প্রয়োজনে জল দেবেন।
ধাপ ৩
এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে একটা কড়াই গরম করে তাতে সর্ষের তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে ফড়ন হিসেবে তাতে কালোজিরা দিতে হবে।
ধাপ ৪
এরপর টুকরো করার শসা গুলোকে দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে ঢাকা দিতে হবে।
কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে আরো একবার নেড়েচেড়ে পোস্তর পেস্টটা ঢেলে দিতে হবে।
ধাপ ৫
তারপর ভালো করে নাড়তে হবে এবং স্বাদ অনুযায়ী নুন এবং চিনি দিতে হবে। তবে যারা সুগারের রোগী তারা চিনি না দিয়ে একটু গুড় মেশাতে পারেন। এরপর একটু জল দিয়ে ভালো করে ফুটতে দিতে হবে। নামানোর সময় একটু গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে, উপর থেকে কিসমিস কুচি ,ধনেপাতা কুচি ও পাকা লঙ্কা চিরে সাজিয়ে দিতে পারেন।
ব্যস্ তাহলেই তৈরি বুড়ো কত্তার পোস্ত।
বাড়িতে একবার অবশ্যই ট্রাই করবেন,গরম ভাতের সাথে খেতে কিন্তু অসাধারণ হয়।
শসার আরো সুস্বাদু পদ নিয়ে হাজির হব খুব শীঘ্রই। ভালো থাকবেন সকলে।
বাহ্ খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা। রান্নাবান্না আমারও প্যাশন।তবে নিরামিষ রান্না টেস্টি বানানো সত্যিই কঠিন।রান্না টা দেখে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে।শসা যে দেখে বুঝতে পারছিলাম না।চারমগজ, পোস্ত, সাদা সরষের মিশ্রণ টা বেশ মিহি হয়েছে মনে হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ, নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। আশা করছি আরও ভালো করতে পারবো।
বুড়ো কর্তার পোস্ত রেসিপি ধাপে ধাপে কি সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আপনি তৈরি করে ফেলেছেন। পোস্ত আমার ভীষণ প্রিয় কথা হবে না আর আপনার উপস্থাপনা খুব ভাল ছিল।
ধন্যবাদ, আপনাদের ভালো লাগলেই আমার ভালো লাগবে, একদিন ট্রাই করবেন।
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। শসা এইভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। ছোট মাছ দিয়ে খাওয়া হয়েছে। আমারো রান্না করতে বেশ ভালো লাগে। আপনার মতো আমারো প্রতিদিনের খাওয়ার জিনিস তৈরি করতে ভালো লাগে না। একটু ইউনিক কিছু যেমন যেগুলো বাসায় সচারচর খাওয়া হয়না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আরো সুস্বাদু পদ নিয়ে আসবো খুব তাড়াতাড়ি। সঙ্গে থাকুন
ভাই অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।আগে কখনো এটা খাওয়া হয়নি।সময় সুযোগ পেলে একদিন বানিয়ে খেতে হবে।অনেক ধন্যবাদ।
অবশ্যই ট্রাই করবেন, খেতে অসাধারণ হয়েছিল।
আপনি তো দেখছি খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে তো এক কথায় অসাধারণ লেগেছে আপনার এই রেসিপি পোস্ট। বুড়ো কর্তার পোস্ত মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং হয়েছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ, আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো, এইরকম আরও মজাদার রান্নার রেসিপি নিয়ে আসবো
দারুন তো। আমি সুক্তোতে সসা খেয়েছি তবে বুড়ো কত্তার পোস্ত নামটা বেশ অন্যরকম লাগলো। বাড়িতে রান্না করে দেখতে হবে। নতুন কিছু শেখা গেলো।
কিছু ফিউশন করা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তাই সাধারন রান্নার থেকে একটু আলাদা করার চেষ্টা করেছি। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ
বুড়ো কত্তার পোস্ত এমন ধরনের রেসিপি নাম আজকে প্রথম শুনলাম ।এমন ধরনের রেসিপি আজও কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি অনেক ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
একদিন ট্রাই করে দেখবেন, আশা করছি ভালো লাগবে
রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন এবং ইউনিক লেগেছে এ ধরনের রেসিপি আমি এর আগে কখনোই খাইনি। চেষ্টা করব বাসায় একদিন এরকম তৈরি করার জন্য দেখা যাক কেমন সুস্বাদু হয়।