Today I will share with you what has happened to me these few days

"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

সবাই কেমন আছেন। আমি আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আল্লাহ তাহালার অশেষ রহমতে।

আমি কিছুদিন ধরে আনঅ্যাকটিভ ছিলাম। এই কারণে যে আমার কোম্পানি। আমাকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করতে চেয়েছে। এক সপ্তাহ পরও আমি আমার গন্তব্য স্থানে যেতে পারিনি। আমার সাথে এই কিছুদিন ধরে বর্তমানে কি হয়েছে তা আপনাদেরকে জানাবো আজকে। আসলে ভাই বলেন আর নিজের কাজ থাকা অনেক ভালো পরের কাছ থেকে। আমি মনে করে যারা প্রবাসে আসবেন সবকিছু জেনে আসবেন বাংলাদেশ থেকে। তা না হলে এই দেশে আসো অনেক সমস্যার সামনে পড়বেন আপনারা।

২০ তারিখে যখন আমি দুপুর বেলা কাজে যাই কাজ করা শেষে আমাকে বলে। তোমার জামা কাপড় রেডি করো তোমাকে এই জায়গা থেকে টেনাস্ফর করা হবে। আমি বললাম এভাবে বললে কি হয় আমাকে দুই তিন ঘন্টা আগে তো বলার জন্য দরকার ছিল। আমাকে বলল আমার তো আর করার কিছু নাই কোম্পানি যেটা বলছে আমি ওইটাই করতেছি। তারপরে আমি আর কিছু না বলে আমার জামা কাপড় রেডি করে আমি গোসল করে নিলাম। আমাকে বলল তোমার সাথে আর একজন যাবে তা হচ্ছে পারভেজ। তারপরে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা দিলাম। আমি ফার্স্টে যে জায়গায় ছিলাম সেই জায়গার নাম ছিল। সইবা পাওয়ার প্লান্ট।

আমাদেরকে ডাকা হয়েছে মেন হেড অফিস যা ছিল রাবেগে অবস্থিত। আমাদের গাড়ি আমাদেরকে নিয়ে রওনা হয়েছিল একটা ৫০ মিনিটে। আমরা আর রাস্তায় বিরতি নিলাম না কিন্তু কেন না আমরা ওই জায়গা থেকে কিছু খাওয়া নিয়েছি গাড়ির মধ্যে। আমরা যখন জেদ্দায় এসেছি তখন দেখেছি মেট্রোরেলস এর কাম সব কমপ্লিট হয়ে গেছে। এখন ওমরা করতে জিতলাম মেট্রোরেল থেকে উঠলে মাত্র তিন ঘন্টার ভিতরে মদিনা চলে যাওয়া যায়। আগে বাস দিয়ে গেলে অনেক টাইম লাগতো যা নয় থেকে ১০ ঘন্টা জিদ্দা থেকে মদিনা লাগত। তারপরে আমরা রাইতের আটটা বাজে গিয়ে পৌঁছলাম কোম্পানি মেইন হেড অফিসে। যেহেতু আমরা অনেক জার্নি করে আসছি তাই আমাদের অনেক ঘুম পাড়ছিল তাই ঐদিন জলদি ঘুমিয়ে গিয়েছি আমরা।

তারপরের দিন সকাল ৯ টা বাজে ঘুম থেকে উঠে আমরা। কেননা আমাদের অফিসের লোকজন আসে নয়টা বাজে। তারপরে আমরা অফিসে গেলাম দুজন একসাথে। অফিসে গিয়ে এক মিশরী আছে তার সাথে আমরা কথা বললাম। মিশরের সাথে কথা বলতে হয় আরবিতে। সে আমাদের ওকে বলছে যে তোমাদেরকে কে এ জায়গায় আসতে বলছে আমি তো তা জানি না। তখন আমি বললাম তুই এনা বলছিস বেড়ে এই জায়গায় আসার জন্য আমাদেরকে ওই জায়গা থেকে ফাটিয়ে বলেছে তোর সাথে দেখা করার জন্য। তখন আমাদেরকে বললো তোদের আকামা যে তোরা এই জায়গায় বস আমি কথা বলে নিই।

তারপরে বলল আমাদেরকে হ্যাঁ আমি কথা বলেছি গাড়ি আসলে তোরা অন্য জায়গায় চলে যাবি। আমরা বললাম গাড়ি কখন আসবে তুই বল বল আমার জানা নাই গাড়ি কখন আসবে। আমরা তিন দিন এরকম করে অফিসে ঘুরেছি একজন এদিকে আর একজন ওইদিকে এরকম করে। তিনদিন পরে বিকাল তিনটা বাজে বলে হাঁ তোমাদের গাড়ী আছে এখন রেডি থাকো। তারপরে রেডি হয়ে আমরা গাড়ির উপরে উঠে গেলাম। প্রায় তিন ঘন্টার উপরে লাগলো আমরা জিদ্দা আসতে। যেটা আসার পরে বলল তোমাদের একজনকে এই জায়গায় রাখতে বলেছে আরেকজনকে জি জান পাঠিয়ে তুই বলেছে।

|-|

তখন আমার সাথে যে ছিল সে জিদ্দা এসে আমাকে বলে তুই জি জান যা আর আমি জিদ্দা থাকবো। তারপরের দিন সকালবেলা আমি জিজানের জন্য বাস স্টেশনে গেলাম। কিন্তু আমি বাস টিকেট পাইনি ওই জায়গায়। তারপরে আমি জিজ্ঞেস করলাম যে বাস কবে আছে জিজানের জন্য। বলল তারপরে দিনাজের রাত আটটা বাজে। পরের দিন আমি এই জায়গায় জিদ্দা কিছু কাজ করে বিকাল পাঁচটা বাজে বাসের জন্য চলে যাই। ওই জায়গায় বাসের টিকিটের জন্য যখন সিরিয়ালে দাঁড়াই আমি। তারপরে বলে এই জায়গায় ওই জায়গা টিকেট নাই তোমরা বেরিয়ে যাও লাইন থেকে। তার ভিতরে জিজানের নাম ছিল তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম আমাকে কালকে বলল আজকে জিজানের গাড়ি আছে।

তারপরে এসে আমার সাথে গরম হয়ে বললা আমি বলছি যে তুই শুনতে পারিস না। এরকম আমি প্রতিদিন সকালবেলা সন্ধ্যেবেলা বাস স্ট্যান্ডে জিতেছি এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। আমি এখনো বাস পাইনি বলছে আমাকে এক তারিখে বাস আছে রবিবারে কিন্তু কয়টা বাজে তো আমাকে বলে নাই। এখনো আমি জিজান যেতে পারিনি বর্তমানে জিদ্দা আমি অবস্থান করতেছি। আমার সাথে এই কয়দিন কি হয়েছে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আমি।

---

অবশেষে এটাই বলব। ভুল মানুষেরই হতে পারে। আমিও একজন মানুষ। তাই আমার যদি কোন ভুল হয়ে থাকে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আশা করি সবাই সুস্থ থাকবেন ও ভালো থাকবেন আল্লাহ তায়ালার রহমতে।

আল্লাহ হাফেজ