সহজ এবং মজাদার একটি রেসিপি ডাল দিয়ে ডিম|| 🍠🥗🍘
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা, সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আশা করি আপনারা যে যেখানে রয়েছেন সবাই সুস্থ,সুন্দর ভাবে জীবন জাপন করছেন।
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রায় যে খাবার টিও দেখা জায় তা হলো ডিম। প্রোটিনের অন্যতম উৎস এই ডিম বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ প্রায় সকলের শরীরের জন্যি খুবই উপকারী। ডিম দিয়ে বানানো জায় হাজারো রকমের খাবার উপকরন। এই ডিমের বহুবিধ ব্যাবহার রয়েছে। ঝটপট রান্নার উপকরন হলো ডিম। এই ডিম বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা হয়। আজকে আমি এই ডিম রান্নার খবই সহজ সুন্দর একটি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করবো।
ডাল দিয়ে ডিম রান্না করার পক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং ঘরে থাকা অল্প কিছু উপকরন দিয়েই রান্না করা জায়, তারপরেও রান্নাটি মজাদার করার জন্য যে সকল উপকরন আমি ব্যাবহার করেছি তার তালিকা নিচে ছক আকারে দিয়ে দিচ্ছি-
উপাদানের নাম | ্পরিমান |
---|---|
ডিম | ৪ পিছ |
পেয়াজ বাটা | ১ কাপ |
পেয়াজ কুচি | এক কাপ পরিমান |
মরিচের গুড়া | ২ টেবিল চামচ |
নুন | ৪ টেবিল চামচ |
জিরা গুড়া | ২ টেবিল চামচ |
জিরা বাটা | ২ চামচ |
সয়াবিন তেল | ১ কাপ |
কাচা মরিচ | ৩ পিস |
হলুদ গুড়া | ২ চামচ |
গরম মসলা গুড়া | ২ চামচ |
আদা কুচি | ১ চামচ |
মসুর ডাল | ২০০ গ্রাম |
ধনিয়া গুড়া | ১ চামচ |
উপকরন নেওার পর কিভাবে আমি রান্নাটি সম্পন্ন করলাম তার বর্ণনা ধাপে ধাপে নিচে বলছিঃ
ধাপ-১ঃ
একটি পাত্রে পানি দিয়ে ডিম সেদ্ধ বসিয়ে দিতে হবে। সাধারণত ৮/১০ মিনিটের ভেতরে একটি ডিম সেদ্ধ হয়ে জায় । ডিম সেদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। ডিম গুলি ঠান্ডা হয়ে গেলে ধীরে ধীরে এর ঊপরের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। খোসা ছাড়ানো হলে একটি বাটিতে ডিম গুলির উপর লবন ,হলুদ,মরিচের গুড়া মিশিয়ে কিছু সময় রেখে দিতে হবে।
ধাপ-২
এবার একটি কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে তেল গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে এখানে ডিম গুলি হালকা লাল করে ভেজে নিতে হবে। ডিম ভাজার সময় চুলার তাপ কমিয়ে রাখতে হবে তা নলে উপরের অংশ পুড়ে জেতে পারে। ডিম গুলি হালকা তাপে ভেজে নিয়ে এবার একটি বাটিতে তুলে আলাদা করে রেখে দিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার আবারো ২ টেবিল চামচ পরিমান সরিষার তেল কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে তেল গরম হয়ে এলে এখানে পেয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে । পেয়াজ কুচি গুলি হালকা তাপে ভাজতে হবে এবং অল্প পরিমান লবন দিয়ে নিতে হবে। এবার পেয়াজ কুচি গুলি লাল হয়ে জাওয়া পর্যন্ত ধীরে ধীরে নেড়ে নিতে হবে।
ধাপ-৪
পেয়াজ কুচি গুলি বাদামী রঙ ধারন করলে এর ভেতর তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি দিয়ে কিচুক্ষন নাড়তে হবে। ২/৩ মিনিট নাড়লে সুন্দর একটি সুবাস বের হবে। এবার আগে থেকে বেটে রাখা পেয়াজ বাটা এর ভেতর দিয়ে দিতে হবে। পেয়াজ বাটা দেয়ার পর আবারো ২/৩ মিনিট ভালো করে নেড়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার সবকিছু্র কিছুটা রঙৃ পরিবর্তন করলে এর ভিতর আদা বাটা আর জিরা বাটার পেস্ট দিয়ে দিতে হবে। এগুলো দেয়ার পর কিছুসময় হালকা তাপে নেড়ে নিতে হবে। এই মসলা গুলি রান্নার করার সময় চুলার তাপ ক্মানো থাকবে তা না হলে পুড়ে জেতে পারে।
ধাপ-৬
এবার হলুদের গুড়া আর মরিচ্র গুড়া দিয়ে বেশ কিছু সময় নাড়তে হবে। এর পর এর সাথে ধনিয়ার গুড়া মেশাতে হবে। ধনিয়ার গুড়া মেশানোর পর আবারো হালকা করে কষাতে থাকতে হবে। এক পর্যায়ে দেখা যাবে সব কিছু ভালো ভাবে মিশে সুন্দর একটা গন্ধ বের হয়েছে।
ধাপ-৭
এবার আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা মসুরের ডাল ধীরে ধীরে মসলার উপর দিয়ে নিতে হবে। মসুরের ডাল আগে থেকে ভিজিয়ে রাখলে রান্না করতে সময় কম লাগে। মসুরের ডাল দেয়ার পর মসলার সাথে ভালো করে মেষাতে হবে। ভালো করে মেশানো হলে এর ভিতর গরম পানি দিতে হবে। গরম পানি দিয়ে রান্না করলে রান্নার স্বাদ অটুত থাকে।
ধাপ-৮
সব কিছু ভালো করে মিশে গেলে এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং চুলার তাপ কিছুটা বাড়াতে হবে। ৫ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে ডাল গুলি হালকা নাড়তে হবে । ডাল কিছুটা সেদ্ধ হয়ে এলে এর ভেতর কিছু কাচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে। কাচা মরিচ দেয়ার পর নেড়ে একসাথে মেশাতে হবে।
ধাপ-৯
কাচামরিচ দেয়ার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আবারো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিছু সময় পর ঢাকনা খুলে দেখা যাবে ডাল গুলি বেশ সেদ্ধ হয়ে গেছে আর সুন্ধ্র গ্রাণ বের হচ্ছে।এবার ডালের উপর আগে থেকে হালকা লাল করে ভেজে রাখা ডিম গুলি সুন্দর করে দিয়ে দিতে হবে এবং ডালের সাথে নেড়ে দিতে হবে।
ধাপ-১০
কিছুক্ষন ণাড়ার পর ডিমের উপর হালকা জিরার গুড়া দিয়ে দিতে হবে। জিরার গুড়া রান্নায় আলাদা একটা ফ্লেবার জোগ করে থাকে। জিরার গুড়া দেয়ার পর ১/২ মিনিট ডিম গুলি নেড়ে ডালের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার চুলার আচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কিচুসময় পর চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
ধাপ-১১
এবার একটি পরিষ্কার বাটিতে রান্নাকরা ডাল দিয়ে ডিম তুলে নিতে হবে। পরিবেশনের জন্য এর উপর কয়েক টুকরা কাচা টমেটো দেয়া জেতে পারে। গরম থাকা অবস্থায় খেলে এই রান্নাটি বেশি মজাদার লাগে।
ডাল দিয়ে ডিম আমার পছন্দের একটি খাবার। আমরা বাসায় মাঝে মধ্যেই ডাল দিয়ে ডিম রান্না করে থাকি। আপনি বেশ চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার রান্নার কালারও অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
অনেক সুন্দর রেসিপি শেয়ার করছেন ভাই। ডাল দিয়ে ডিম আমার কাছে অসাধারণ লাগে। বাসায় মাঝে মাঝেই ডাল দিয়ে ডিম রান্না করা হয়। তবে আপনার রেসিপি আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগছে, আপনার রেসিপি ফলো করে রান্না করার চেষ্টা করবো, প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি ডিম ও ডালের রেসিপি টা অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে প্রতিটি ধাপ সহকারে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ডিম দিয়ে ডাল এর তরকারি আমার খুব ভালো লাগে। আমার মা হঠাৎ রান্না করেন এই রেসিপিটি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্লেটে সাজিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে করার জন্য।
ডিম দিয়ে ডাল এর তরকারি আমার খুব ভালো লাগে। আমার মা হঠাৎ রান্না করেন এই রেসিপিটি।এই ডাল দিয়ে ডিম রেসিপিটা খুব সুস্বাদু হয়। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থাপানা করছেন।
ডিম দিয়ে ডাল এর রেসিপি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।ডিম দিয়ে ডাল রান্নার তরকারি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে ধাপে ধাপে লিখেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
রান্নার কালার অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। আপনি অমেক সুন্দর ভাবে রান্না উপস্থাপন করেছেন। যেকেউ চাইলেই আপনার রেসিপি ফলো করে খুব সুন্দর ভাবে রান্না করতে পারবে। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থান করেন এই রান্নার রেসিপির মাধ্যমে বুজতে পারলাম।
ডিমের সাথে ডাল রান্না করলে বেশ মজা লাগে খেতে। আপনি বেশ চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ডাল ও ডিম দুটি খাবারই বেশ পুষ্টিকর।আমিষ এ ভরপুর হল ডাল।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ডিমের রেসিপি গুলো সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটির ধাপ খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন।উপস্থাপনা ছিল যথেষ্ট ভালো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ডাল দিয়ে ডিম বা ডিম দিয়ে ডাল খুব ভালো লাগে আমাকে।কথা দুটোই একই তবে রেসিপিটিও একই।আপনার রেসিপিতে দেখলাম টমেটো দিয়েও রান্না করেছেন আমাদের বাড়িতে এই টমেটো দিয়ে ডিম ও আলুর ডাল তৈরি করা হয়। যা আসলে খেতে খুব সুস্বাদু।আমি বাড়িতে খাই মা রান্না করে তবে গরমের সময় এই ডিম আলুর ডাল খেতে খুব ভালো লাগে। কারণ এটি অনেকটা একটি ঝল জাতীয় খাবার তাই গরমের সময় পানি শূন্যতা পুরন করার জন্য এই রেসিপিটি খুব ভালো ভূমিকা পালন করবে আমি মনে করি। আপনার রেসিপির ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে দেখতে খুব ভালো লাগতেছে লোভনীয়। খেতে ইচ্ছে করতেছে ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে করার জন্য।