স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ
একজন ছাত্র তার পড়াশোনার ধাপগুলোতে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে হয়। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ধাপে অসংখ্য স্মৃতি জমে থাকে। যদিও আমি এখনো কলেজ জীবনই শেষ করিনি। আমার স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে,যা কখনো ভোলার নয়। আজ আমি আমার স্কুল জীবনের সেই স্মৃতি মাখা দিন গুলোকে স্মৃতিচারণ করব।
স্কুল জীবনে আমি খুবই মিশুক একজন ছেলে ছিলাম। আমার এই মিশুক স্বভাবের কারণে আমাদের স্কুলের বন্ধু-বান্ধবী, ছোট-বড় ভাই এবং বোনদের সঙ্গে প্রচুর গল্প করতাম এবং আড্ডা দিতাম। তবে পড়াশোনায় খুব একটা পাকা ছিলাম না। তবে চেষ্টার কোন কমতি রাখিনি। পড়াশোনায় কাঁচা হলেও, বাসায় নিজ তাগিদে খুব পড়াশোনা করতাম। ষষ্ঠ শ্রেণি পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে কাটলেও, সপ্তম শ্রেণীতে গিয়ে পারিবারিক সমস্যার কারণে পড়াশোনার খরচ নিজেকে চালাতে হতো। এজন্য শুরু করে দিয়েছিলাম ছাত্র পড়ানো। টিউশনি করে যে টাকা জমত তা দিয়ে নিজের পড়াশুনার খরচ চালাতাম, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতাম এবং বাড়িতে কিছু টাকা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। সপ্তম শ্রেণি থেকে একদম মাধ্যমিক পর্যন্ত আমি আমার টিউশনি চালিয়ে যাই। আবার খেলাধুলাতেও ভালো পারদর্শী ছিলাম আমি। বিশেষ করে ফুটবল খেলাটা আমার ভীষণ প্রিয় ছিল। আমাদের এলাকার যতগুলো স্কুল রয়েছে, সবগুলোই স্কুলের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হতো। এসব ফুটবল খেলাতেও অংশগ্রহণ করতাম। এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিস ছিলাম বেশ পারদর্শী। উপস্থিত বক্তব্য, কুইজ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অংশ নিতাম প্রায়ই। আবার স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে যাওয়ার সময় গুলো বেশ আনন্দদায়কই ছিল।
স্কুল জীবনে যেটুকু ইনজয় করা দরকার, তার কোনো ঘাটতি ছিল না। শিক্ষকরাও আমাকে খুব ভালোবাসতেন। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেশ ভালই আড্ডা জমেছিল। অপ্রাপ্তি বলতে কোন জিনিস ছিল না। সব মিলে,স্কুল জীবনটা বেশ ভালোভাবে কেটে গেছে।
স্কুল জীবন মানেই স্মৃতির শহর।যে শহর থেকে বের হওয়া গেলেও স্মৃতি মনের মধ্যে থেকেই যায়।অনেক সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন।স্কুল জীবন আমিও খুব মিস করি।শুভ কামনা রইলো ভাই আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
স্কুল জীবন মানে শুধু মন ভাঙ্গা স্মৃতি। ফেলে আসা দিনের কথা। আর ভালো বাসার প্রিয় বন্ধু। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।