"বাইক ট্যুর নড়াইল- ৩য় পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১২ ই ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমন প্রিয় একজন মানুষ আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ প্রিয় একজন মানুষ। বছরের সব সময় বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আমি ভ্রমণের মাঝেই সুখ খোঁজার চেষ্টা করি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থান এবং অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ গুলো সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আমাদের গ্রুপে আমি যে শুধু ভ্রমণ করি তা নয়, সবাই ভ্রমন করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর এই কারণেই আমরা সবাই মিলে মাঝেমধ্যে এই গ্রুপ ট্যুর দিই। এইতো কিছুদিন আগে বাইক নিয়ে নড়াইল ট্যুর দিয়েছিলাম। এ ট্যুরে আমাদের প্ল্যানিং ছিলো আমরা প্রথমে এক বড় ভাইয়ের আপুর বাসায় যাবো তারপর সেখান থেকে আপুদের নিজস্ব বড় মাছের ঘের আছে সেখানে গিয়ে পিকনিকের সাথে রাত যাপন করবো। এটা আমাদের জন্য অনেকটা অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ।
আমরা যে জায়গাতে আমাদের বাইকগুলো রেখেছিলাম সেই জায়গা হতে কাচারি ঘরে দূরত্ব ২০০ থেকে ৩০০ মিটার মতো হবে। ঘেরের মাঝের সরু চিকন পথ দিয়ে হেঁটে হেটে খুব সাবধানে সামনের দিকে আগাতে থাকলাম। বিকালের দিকে এই জায়গাটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আমাদের প্লানিং ছিল যে, ঘের থেকে মাছ ধরে সেই মাছের ফ্রাই করবো।
কিন্তু ঘেরে আসতে আসতে আমাদের অনেকটা লেট হয়ে যায়। আসলে শীতকালীন সময়ে গ্রীষ্ম কালের তুলনায় দিন অনেক ছোট থাকে। আমরা বিকালে খুবই কম সময় পেয়েছিলাম সেজন্য নিজেরা মাছ ধরার প্ল্যানিংটা ক্যানসেল করি। তবে ঘেরে যারা কর্মরত ছিলো তাদেরকে দিয়ে মাছ ধরিয়েছিলাম। আর আমরা সবাই মিলে বিকালের অল্প কিছু সময় সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম।
আমরা সবাই মিলে ঘেরের পাড়ে বসে সূর্যাস্ত অবধি সবাই মিলে অনেক গল্প গুজব হাসি তামাশা করেছিলাম। সত্যি বলতে অনেকদিন পরে সবাই মিলে এক জায়গায় হতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিল। আমরা সাতজন বাড়ি থেকে গিয়েছিলাম আর দুইটা ভাই ঢাকা থেকে এসেছিল। যাইহোক আমাদের ভেতরে চারজন বড় ভাই ছিল তারা নিজেরা টাকা দিয়ে পিকনিকের ব্যবস্থা করেছিল।
সন্ধ্যা হওয়ার একটু পরেই আমাদের মেইন কার্যক্রম আরম্ভ হয়। কয়েকজন পিকনিকের জিনিসপত্র কেনার জন্য বাজারে যায়। আর ঘের থেকে যে, মাছ ধরা হয়েছিল সেটা আমাদের এক বড় ভাই প্রথমে মাছগুলো খুব সুন্দরভাবে বটি দিয়ে কেটে দেয় তারপর আমি আর আরেকটা ছোট ভাই মিলে মাছগুলো খুব সুন্দরভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করি।
তারপর বাজার থেকে সবকিছু কিনে আনার পরে সবাই মিলে খিচুড়ি, চিকেন ফ্রাই আর ফিস ফ্রাই করি। প্রচুর পরিমাণে এক জাতীয় পোকার কারণে রান্না করতে বেশ অসুবিধা হয়েছিল। কারণ পোকা গুলো আলো দেখলে সেখানে এগিয়ে জড়ো হয়। এই পোকাগুলো বর্তমানে বাংলাদেশের যে, স্থানে যাচ্ছি সেখানেই দেখতে পাচ্ছি। সত্যি বলতে আমার কাছে এই পোকাগুলো খুব বিরক্ত লাগে।
আমরা পিকনিকের রান্না করার পরে সবাই মিলে কলাপাতায় খাওয়া-দাওয়া করি। আহ্ সবাই মিলে এমন সুন্দর পিকনিকে কলাপাতায় খাওয়ার মজাই আলাদা। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘেরের পাড়ের সুন্দর একটা জায়গায় আমরা সবাই মিলে আড্ডার আসর দিই।
আজকে এ পর্যন্তই বাইক ট্যুর নড়াইল- ৩য় পর্ব শেয়ার করলাম পরবর্তী কোন পোস্টে- শেষ পর্ব শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৮ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আপনার তোরদেখে দেখে অনেক ভালো লাগলো
আপনার ট্যুর দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি সবাই মিলে এভাবে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। তবে সবাই মিলে এভাবে খাওয়া দাওয়া করলেন আমাদের বলেই পারতেন চলে যেতাম। বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করেছেন।বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্য করে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বন্ধু বান্ধব মিলে মাঝেমধ্যে এ ধরনের ট্যুর করতে বেশ ভালই লাগে। আর সম্ভবত আপনারা সবাই ব্যাচেলর। তাই ট্যুরগুলো আরোই সম্ভবপর হয়। এভাবেই আনন্দ করুন সকলে মিলে।
দিদি আমাদের গ্রুপের তিনজন ব্যাচেলর বাদে আছে। সুমন ভাই সহ তার আরো দুজন বন্ধু আছে তারা বিবাহিত। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।
বাইক ভ্রমণটা আমি সবসময় পছন্দ করি। যেন নিজ স্বাধীন মত ঘুরাঘুরি করা যায়। তবে এভাবে আপনারা ঘোরাঘুরি এবং পিকনিক করেছেন দেখে তো সত্যি ভালো লাগলো। আসলে এগুলো নিজেদের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগা জাগ্রত করে। শুভ হোক আপনাদের কেমন সুন্দর যাত্রা গুলো।
আপনিও ভাই পছন্দ করেন জেনে নিন খুব ভালো লাগলো ভাই। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
দেখতে দেখতে বাইক ট্যুরের তৃতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। মাঝেমধ্যে বন্ধুবান্ধবরা সবাই মিলে বাইক ট্যুরে যেতে খুবই ভালো লাগে।আপনারা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন সাথে অনেক খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বন্ধুবান্ধবরা মিলে এভাবে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এই দিনটার কথা কখনোই ভুলবো না। অনেক আনন্দময় মুহূর্ত ছিল। রাতের বেলা সবাই একত্রিত হয়ে আড্ডা দেওয়া তার পাশাপাশি রান্না বান্না সব মিলিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছি। আসলে ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন মুহূর্তগুলো মনে রাখার মত। ফিরে আসুক এমন সুন্দর মুহূর্ত।
এটা সত্যি বলেছো বন্ধু এই দিনটার কথা আমরা কখনোই ভুলবো না। আমাদের এই দিনটা সত্যিই অ্যাডভেঞ্চার ছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।