"বাইক ট্যুর নড়াইল- ২য় পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৯ ই ডিসেম্বর, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমন প্রিয় একজন মানুষ আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ প্রিয় একজন মানুষ। বছরের সব সময় বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আমি ভ্রমণের মাঝেই সুখ খোঁজার চেষ্টা করি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থান এবং অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ গুলো সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আমাদের গ্রুপে আমি যে শুধু ভ্রমণ করি তা নয়, সবাই ভ্রমন করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর এই কারণেই আমরা সবাই মিলে মাঝেমধ্যে এই গ্রুপ ট্যুর দিই। এইতো কিছুদিন আগে বাইক নিয়ে নড়াইল ট্যুর দিয়েছিলাম। এ ট্যুরে আমাদের প্ল্যানিং ছিলো আমরা প্রথমে এক বড় ভাইয়ের আপুর বাসায় যাবো তারপর সেখান থেকে আপুদের নিজস্ব বড় মাছের ঘের আছে সেখানে গিয়ে পিকনিকের সাথে রাত যাপন করবো। এটা আমাদের জন্য অনেকটা অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ।
আমরা কামারখালি ব্রিজ পাওয়ার পূর্বে একটা বিস্তীর্ণ মাঠের ভিতরের রাস্তায় বাইক থামিয়ে সেখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে সবাই মিলে সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তারপর আবার সেখান থেকে চলা শুরু করেছিলাম। এই সুন্দর রাস্তাটির দু'ধারে রয়েছে ডোবাখাল আর বিস্তীর্ণ মাঠ তারপর গ্রাম। এত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগছিল। এটাই বোধহয় বাইক জার্নির আসল মজা যেখানে ইচ্ছা হবে দাঁড়িয়ে সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবো।
আমাদের এই বাইক জার্নিটা অবশ্য একদম ছোট জার্নি ছিল না কারণ আমাদের বাড়ি থেকে নড়াইল সদরের দূরত্ব ছিল প্রায় ১০০ কিলোমিটার মতো। অবশ্য আমরা যাওয়ার পথে অনেক জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম এবং চা স্টল থেকে চা খেয়েছিলাম। আমরা এই ট্রাভেলের সব ধরনের রাস্তা দিয়েই যেতে হয়েছিল কখনো হাইওয়ে কখনো বা গ্রামের রাস্তা।
আমরা যেহেতু আসার সময়ে পথের মাঝে অনেক সময় ব্যয় করেছিলাম তাই গন্তব্যে আসতে আমাদের প্রায় বারোটা বেজেছিল। অনেক সুন্দর একটা জার্নি শেষ করার পরে আমাদের বড় ভাইয়ের সেই আপুর বাসায় পৌঁছালাম। তারপর সেখান থেকে সবাই ফ্রেস হয়ে এক জায়গায় বসে দুপুরের লাঞ্চ করলাম। আপু আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করে বেশ কয়েক রকমের খাবারের আয়োজন করেছিল। আমরা সবাই মিলে সেখানে পেটপুরে খেয়েছিলাম।
আমরা দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু সময় সেখানেই বিশ্রাম নিই। তারপর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আপুর বাসা থেকে বের হয়ে মাছের ঘেরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। আপুদের মাছের ঘের অবশ্যই বাসা থেকে খুব একটা দূরে ছিল না মাত্র কয়েক কিলোমিটার মতো। আমরা বাইক নিয়ে মাছের ঘেরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় একটা চা স্টল থেকে চা খেয়ে নিলাম।
তারপর চা খাওয়া শেষ করে বাইক নিয়ে মাছের ঘেরের ভেতরের শুরুর রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকি। ঘেরের ভেতরে ২০০ শো মিটার পথ অতিক্রম করার পরে খুবই খারাপ রাস্তা আমাদের সামনে আসে। এমন রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়া এক কথায় অসম্ভব। তারপর আমরা বাইকগুলো সেখানেই লক করে রাখি।
তারপর আমরা পায়ে হেঁটে ঘেরের ভেতরের কাছারি ঘরের দিকে রওনা দিই। এই ঘের প্রায় ৬০ বিঘা জমির উপর ছিল, আর ঘেরের ঠিক মাঝখানে ছিল সেই ছোট কাচারি ঘর। আমরা আজকে রাতে এই কাচারি ঘরে থেকেই পিকনিক করবো।
আজকে এ পর্যন্তই বাইক ট্যুর নড়াইল- ২য় পর্ব শেয়ার করলাম পরবর্তী কোন পোস্টে ৩য় পর্ব শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৮ ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আপনার এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ! বাইক জার্নি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আর গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যে কাটানো সময় যেন এক নতুন অভিজ্ঞতার মতো। নড়াইলের ট্যুরটা যে কতটা এডভেঞ্চারাস এবং উপভোগ্য ছিল, তা আপনার বর্ণনা পড়ে বোঝা যায়। বিশেষ করে মাছের ঘেরে রাত কাটানোর প্ল্যানটা মনে হয় অনেক চমৎকার ছিল। আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই ভ্রমণের প্রতি আরও আগ্রহ বেড়ে গেল। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।