"সাদাপাথর ভ্রমণ শেষ করে নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ই জুলাই , বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা সিলেটে যতগুলৈ জায়গার ভ্রমণ করেছিলাম সব থেকে বেশি আনন্দ উপভোগ করেছিলাম এই সাদা পাথরের। এই জায়গাটিতে গেলে মেঘালয়ের বিশাল বিশাল পাহাড় গুলো খুব কাছে থেকেই দেখা যায়। মেঘালয়ের কিছু কিছু পাহাড়ের উচ্চতা এতই বেশি যেয়ে দেখে মনে হয় মেঘের ভেতরে মিশে গিয়েছে। সাদা পাথরে ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারের মতোই ছাতিসহ বেঞ্চ ভাড়া পাওয়া যায়।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমি অনেক সময় ধরে সবার স্নানের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলে দেয়ার পরে বন্ধুরা রাহুলকে বললাম যে, এবার আমার কিছু ছবি তুলে দিতে হবে। আমি নিজে এ ছবি উঠার জন্য স্রোতের অল্প একটু জলের ভেতরে নামতেই চমৎকার একটা ফিল পেলাম। এই স্রোতের জল ভীষণ ঠান্ডা ছিলো আর দাঁড়িয়ে থাকতেও ভীষণ ভালো লাগছিলো। তবে এতটাই বেশি স্রোত ছিল যে, এর বেশি জলে দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব ছিলো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমার বন্ধু রাহুলকে দিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নেয়ার পরে বললাম যে, এবারে কনক দাদার কাছে ফোন দিয়ে চল আমরা দুজন সাঁতার কাটি। দুই বন্ধু মিলে এপারে ভীষণ মজা করে স্নান করলাম। তারপর দেখতে পেলাম এবার থেকে কিছু ছেলেপেলের স্রোতে ভেসে ওপারে যাচ্ছে। তাদের এরকম ওপারে যাওয়া দেখে আমাদেরও ইচ্ছা হলো যাওয়ার।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমি আর আমার বন্ধু অনেক কষ্টে স্রোতের সাথে ওপারে গিয়ে উঠলাম। তবে ওপারে যেতে ভীষণ হাপিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা ওপারে উঁচু পাথরের উপর দিয়ে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকতাম দেখলাম যে, তার পাশেই একজন মাছ মারছে। তারপরে সেই ব্যক্তির কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আমরা যে জায়গাতে আছি এই জায়গাটা ভারতের ভেতর নাকি বাংলাদেশের ভেতর! তখন উনি বলল যে, এটা ভারতের ভেতর। যাইহোক বিনা পাসফোর্ট ভিসায় ভারতের মাটিতে পা রাখতে পেরে বেশ ভালোই লাগছিলো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা ওপারে বেশি সময় অপেক্ষা না করে একটু রেস্ট নিয়ে আবার স্রোতের সাথেই এপারে চলে আসলাম। আমরা এপারে চলে আসার পরে খেয়াল করলাম যে, হ্যান্ড মাইকে করে এখানকার সিকিউরিটি বিভাগের লোকজন ওপারে যেতে নিষেধ করছে। আমরা আগে আগে চলে এসেছিলাম এটা বেশ ভালো করেছিলাম। তবে প্রচন্ড স্রোতের ভেতরে ওপারে না যাওয়া সবথেকে বুদ্ধিমানের মতো কাজ। কারণ প্রচন্ড স্রোতের ভেতরে যেকোন রকমের দুর্ঘটনা করতে পারে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা আসমান শেষ করে লকার থেকে সবকিছু নিলাম। তারপর লকারের মালিককে তার পাওনা টাকা দিয়ে আবার প্রচন্ড রোদের ভেতরে হাঁটা শুরু করলাম নৌকা খাটে আসার জন্য। সাদা পাথরে পৌঁছানোর সময় আলাদা একটি মজা নিয়ে হেঁটে হেঁটে এসেছিলাম তবে ভ্রমণ শেষ করে হাঁটে যেতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। আমরা পাঁচ থেকে সাত মিনিট বালু আর পাথরের ভেতর দিয়ে হাঁটার পরে নৌকা ঘাটের পাশেই দোকানের সামনে পৌছালাম। এখানকার দোকানগুলোতে সব ভারতীয় পণ্য পাওয়া যায়। এখানকার দোকানদার গুলো অবশ্য বাংলাদেশি কিন্তু তাদের বিক্রিত সব মালামাল ভারতীয় পণ্য।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদাপাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমার পলাশ কাকা এখানকার দোকান থেকে কিছু ভারতীয় পণ্য কিনলো তারপর আমরা নৌকা ঘাটে গেলাম। আমরা যে নৌকাতে করে এসেছিলাম সেই নৌকা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আর এখানকার নিয়ম হলো, যে নৌকায় করে আমরা এসেছিলাম সেই নৌকাতেই আমাদের ফেরত যেতে হবে। যাইহোক আমাদের নৌকার মাঝিকে ফোন করলাম উনি বলল যে, আপনারা নৌকা ঘাটে একটু অপেক্ষা করেন আমি এখনি চলে আসছি।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
আরে ভাইয়া আপনি তো দেখছি অনেকগুলো জায়গায় ঘুরাঘুরি করে ফেলেছেন। বিশেষ করে সুনামগঞ্জের অনেক জায়গায় ঘুরেছেন আপনি। সিলেট ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটা অনেক বেশি ভালো ছিল এটা তো দেখেই বুঝতে পারতেছি। আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর একটা জায়গায় গিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। আর বিনা টিকিটে ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন এটা শুনে তো ভালোই লাগলো। যাই হোক ওখানে গোসল করে নিশ্চয়ই খুব ভালো লেগেছিল। মুহূর্তটা এত সুন্দর করে শেয়ার করেছেন, ভালোই উপভোগ করলাম।
আপু পুরো সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ দর্শনীয় স্থানেই ভ্রমণ সম্পন্ন করেছি। হ্যাঁ আপু বিনা পাসপোর্ট ভিসাতেই ভারতের মাটিতে পা রেখে বেশ ভালোই লেগেছিলো। এখানে গোসল করার মজা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না একবার গোসল করলে বারবার গোসল করতে ইচ্ছা করে। এই কারণেই এই জায়গাটি এত বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে সাদা পাথর জায়গাটা দেখা হয়েছে। জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর। আজকে আপনাদের ভ্রমণের আরো একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সাদা পাথর ভ্রমণ শেষ করে লকার থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে নৌকা ঘাটে এসেছেন। মুহূর্তগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আসলেই সাদা পাথর জায়গাটি অনেক সুন্দর। আমার ইচ্ছা আছে আবার এই জায়গাটিতে ভ্রমণ করার। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এরকম জায়গা গুলোতে গেলে গোসল না করলে তো একেবারেই ভালোই লাগে না। আপনি এবং রাহুল ভাই গোসল করেছিলেন শুনে খুব ভালো লেগেছে। পানি তো দেখছি অনেক বেশি পরিষ্কার। এরকম পরিষ্কার পানিতে কিন্তু গোসল করার সময় আলাদা আনন্দ কাজ করে। গত বছর আগস্ট মাসের মাসের শেষে সিলেট ভ্রমণ, আপনার সব থেকে বেশি বড় ছিল এ বিষয়টা জানতে পেরে ভালো লেগেছে। বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করে ফেলেছেন তাহলে ওই সময়। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
সাদা পাথর জায়গাটি স্রোতের জলে গোসল করার জন্যই বিখ্যাত।আর মেঘালয় পাহাড়গুলো খুব কাছ থেকে দেখা যায়। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছিলাম পুরো সিলেট ভ্রমণে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।