Better life with steem.. the diary game..23/10/2023.. simple day..
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সবাইকে সালাম আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে তেইশে অক্টোবর ২০২৩ দিনটি কেমন কাটলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই হাতমুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর গোসল করি। তারপর অফিসে যাওয়ার জন্য আমি তৈরি হই। ৭ঃ৩০ মিনিটে আমি আমার রুম থেকে বের হয়ে যাই।
বাসা থেকে ৪-৫ মিনিটের মতো হেঁটে খাবার হোটেলে চলে যায়। হোটেলে গিয়ে সকালের খাবার খাই। হোটেলে প্রত্যেকদিন সকালে রুটি দিয়ে সকালের খাবার দিয়ে থাকে। শুধু শুক্রবারে রুটির পরিবর্তে খিচুড়ি রান্না করা হয়। রুটি খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সাতটা চল্লিশ মিনিটে অফিসের মধ্যে প্রবেশ করি। হোটেল আর অফিস একই দেওয়ালে হওয়ায় খাওয়ার পর অফিসে কিছু প্রবেশ করতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে আমার মেশিন পরিষ্কার করলাম। তারপর মেশিনের আশপাশে জায়গাও পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর আমি কাজ করা শুরু করলাম। কাজগুলো খুবই কঠিন। তাই সকাল থেকেই কাজে মনোযোগী হয়ে কাজ করতে হয়।
বেলা 11 টার দিকে আমার কাজগুলি প্রায় শেষ হয়ে গেল। যে জিনিসগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোই আমার কাজ মেশিন থেকে শেষ করে নামাচ্ছি। এ কাজগুলোকে উল্টিয়ে সোজা করে কাজ চেক করার জন্য ইন্সপেকশন টেবিলে দিয়ে আসতে হয়। সেখানে ইনস্ট্রাকশন সাহেব আমাদের কাজগুলো চেক করে আমাদের ডাক দেয়। কাজের কোন প্রকার ত্রুটি থাকলে সে কাজগুলো এনে পুনরায় ঠিক করে আবারো নিয়ে যায়। তারপর কাজগুলোকে ডিস্ট্রিবিউটর এর কাছে নিয়ে জমা দিয়ে আসি। তারপর আবারও বেশি নিয়ে এসে কাজ করা শুরু করি।
দুপুর একটা সময় দুপুরের খাবার খেতে অফিস থেকে বাহিরে চলে আসি। তারপর হোটেলে এসে দুপুরের খাবার খাই। আজকের আকাশ একটু মেঘাচ্ছন্ন। তোমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে হালকা বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। রাস্তাঘাটে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে যার যার গন্তব্যে যাওয়া শুরু করল। আমিও বাহিরে আর দেরি না করে অফিসের ভিতরে যাওয়ার জন্য তৈরি হলাম। তারপরও অফিসের মধ্যে প্রবেশ করলাম। অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে একটা জায়গায় শুয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
দুপুর একটা ৫০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে আসি। তারপর মেশিনে এসে পুনরায় কাজ করা শুরু করি। বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পর আমার একটা প্রয়োজন বোধ হয়। সেজন্য আমাদের লাইনের সুপারভাইজার মোঃ পলাশ ভাইয়ের কাছে চলে যাই। তাকে খোঁজাখুঁজির পর দেখি মোঃ রোকন আলীর মেশিনে বসে কাজ দেখিয়ে দিচ্ছে। পলাশ ভাইয়ের সাথে দেখা করে কাজের বিষয়ে জেনে আবারো মেশিনে চলে আসলাম। মেশিনে এসে আমি আমার কাজ করি।
কাজ করার সময় মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। সে সময় গরমে কিছুটা বিরক্ত লাগে। বিরক্ত লাগলেও কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়া যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে অনেকেই তার হাতের ছোট ছোট কাজগুলো করে থাকে। অনেকে বসে বসে কাজের নেক গুলো খুলে আলাদা করে। যা অনেকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে থাকে।
ছবিতে যে মেশিন গুলো দেখতে পারছেন এগুলো ওভারলক মেশিন। এখানে কাজের চাপ খুবই কম। এখন সোয়েটারের কাজগুলো স্টিচ থাকায় ওভারলকের কাজ খুবই কম হয়ে থাকে। কিন্তু মাঝেমধ্যে ওভারলক করার কাজ চলে আসে। তখন এই মেশিনগুলোতে খুবই চাপ পড়ে।
রাত দশটার সময় আমাদের অফিস ছুটি হয়ে গেল। অফিস থেকে বের হয়ে হোটেলে চলে আসলাম। হোটেলে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর রাতের খাবার খেলাম। খাবার খাওয়া শেষ করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাসায় এসে কাপড় গুলো খুলে নিলাম। লুঙ্গি পড়ে আবারো হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর রুমমেটদের সাথে কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা করলাম। এই ছিল আজকে আমার সারা দিন।
আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|
আপনি আপনার ডাইরিটি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা বেশ সুন্দর ছিল। আপনি আপনার সারাদিনের অ্যাক্টিভিটিস খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
তবে একটি পোষ্টের জন্য ট্যাগ অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। আপনার পোস্টে সঠিক ট্যাগগুলো ব্যবহার করুন। ধন্যবাদ
আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করবো সঠিক ট্যাগ গুলো ব্যবহার করতে।