"অদ্ভুতুড়ে মানুষখেকোদের গল্প" এর প্রথম পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আজ আমি কিছু জানা-অজনা তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।মানুষখেকো।শুনলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। বহুকাল আগে থেকেই মানুষখেকোর ঘটনাগুলো মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে এসেছে। এর পেছনে কারন ছিল গহিন বনের হিংস্র ও ক্ষুধার্ত মাংসাশী প্রাণীরা।শিকারি মানুষের সঙ্গে লড়াই করে চলতে হতো তাদের।
মানুষখেকোর কথা উঠলেই আমাদের চোখে হিংস্র প্রাণীর ছবি ভেসে ওঠে। বিশেষকরে বাঘ,ভাল্লুক,হাঙর ও কুমিরের কথা না বললেই নয়।ওদের খাদ্য তালিকায় মানুষ খাদ্য হয়ে ওঠার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে।সেসব ছাড়াও পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে মানুষ আর ফিরে আসে না। এমন গুহা রয়েছে যেটাকে সবাই চেনে মানুষখেকো গুহা বলে।গহিন অরণ্যের নিদিষ্ট কোনো স্থানে ছিল চোরাবালি।সেখানে পা ফেললেই মানুষ কিছুক্ষণ পরে অদৃশ্য হয়ে যেত।এমন গাছের কথাও হয়তো শুনেছেন যেটা লতা দিয়ে মানুষকে পেঁচিয়ে ধরে গিলে ফেলত!এসবের কোনোটা সত্যি হলেও কোনোটা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে।যা একটু বাড়াবাড়ি কথার অলংকারসমেত।তো সব মিলিয়ে নানান বিষয় নিয়ে মানুষখেকোর ভয়ানক কয়েকটি ঘটনা ও স্থান নিয়ে অদ্ভুতুড়ে মানুষখেকোদের গল্প প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে আমি আইসল্যান্ডের লেক নিয়ে কিছু কিছু প্রচলিত কথা তুলে ধরবো।আশাকরি,আপনাদের ভালো লাগবে।
আইসল্যান্ডের লেক
এটি একটি সুন্দর লেক।দেখে মনে হতে পারে -অন্য ১০ টি লেকের চেয়ে এটাতে আলাদা কি আছে?খুব একটা আলাদা কিছু নেই। তবে এই লেকটির একটি বিশেষত্ব আছে। এখানে মানুষ নামলে আর ফিরে আসে না। একটু চমকে উঠলেও উঠতে পারেন। সত্যিই এটি মানুষখেকো লেক।এই লেকটিতে যারাই গোসল করতে নেমেছেন তারা কেউ আর উঠে আসতে পারেননি। এভাবে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার পর খবরটা চাওর হয়ে ওঠে।
বর্তমান এই যুগে কোনো রহস্যই অমীমাংসিত রাখা চলে না।তাই লেকটিকে ঘিরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়। মানুষ খাওয়ার এই অদ্ভুত লেকটি রয়েছে আইসল্যান্ডে।লেকটির বিশেষ গুন হলো-এটি অনেকটা বালুচরের মতো।কেউ ফাঁদে পড়লেই তাকে বালুর নিচে টেনে নিয়ে যাবে।এই লেকটির ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটা ফাঁদ। যেখানকার পানিগুলো মাঝখান দিয়ে নিচের দিকে চলে যায়। ঠিক বালুচরের মতো করে। ফলে বুঝতেই পারছেন কেন মানুষ এই লেকে নামলেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
আজ এ পযর্ন্তই।অন্যদিন আবারও এর পরবর্তী পর্বে অন্য তথ্য নিয়ে হাজির হবো।ভালো খাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর কোন ভুলক্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR




ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে অদ্ভুতুড়ে মানুষখেকোদের গল্প লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার গল্পটি সত্যি বেশ দারুন ছিল ভাই। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই বর্তমান এই যুগে কোনো রহস্যই অমীমাংসিত রাখা চলে না। সত্যি ভাই মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
ভাইয়া আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগল, আবার ভয় ও করছে।চোরাবালিতে মানুষ পা ফেললে গিলে ফেলে। আসলে আয়ারল্যান্ডের লেক এ যে মানুষ পা দিলে আর ফিরে আসে না সত্যি জেনে অবাক লাগলো। আর এভাবে যে মানুষ নিখোঁজ হয়ে যায় সত্যি অদ্ভুত ব্যাপার। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অদ্ভুতুড়ে মানুষখেকোদের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই মানুষখেকোর কথা শুনলেই শরীর শিউরে ওঠে।আপনি যে মানুষখেকো গাছের কথা অলংকারসমেত বলে গণ্য করেছেন সেটা আমি বিশ্বাস করি।কারণ এটা শুধুমাত্র মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত নয়।বই-পুস্তকে ও রয়েছে মহাবন আমাজনে এই ধরনের গাছ রয়েছে।চোরাবালিতে মানুষের হারিয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, গল্পটি ভালোই ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।