ABB Contest-34||সাবুদানার ইউনিক শরবতের রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।দেখতে দেখতে আমাদের মাঝে এসে গেল রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা-৩৪ এ শেয়ার করো ইউনিক শরবতের রেসিপি।আসলে বর্তমানে প্রচন্ড গরম তাই শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এমন একটি শরবতের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি যা একদিকে তৃষ্ণা মিটাবে অন্যদিকে শরীরকে সতেজ ও চাঙা করতে সহায়তা করবে।রেসিপিটি হচ্ছে সুস্বাদু ও মজাদার সাবুদানার ইউনিক শরবতের রেসিপি। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
| ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | দুধ | ৫০০ গ্রাম |
| ২ | সাবুদানা | ১/৩ কাপ |
| ৩ | চিনি | পরিমানমতো |
| ৪ | পাউডার দুধ | ১ টেবিল চামচ |
| ৫ | আগার আগার পাউডার | ১ টেবিল চামচ |
| ৬ | রুহু আফজা | পরিমাণ মতো |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি জেলি তৈরি করে নিবো।এরজন্য আমি একটি পাত্রে নিয়ে নিবো এক কাপ পানি।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর এখানে আমি দিয়ে নিবো ১/৪ কাপ চিনি।এক কাপ পানির জন্য আমি ১ চা চামচ আগার আগার পাউডার দিয়ে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
আমি কিন্তু আগার আগার পাউডার দিয়ে চুলাটা জ্বালাই নি। কারণ গরম পানিতে আগার আগার পাউডারটা ভালোভাবে মিশবে না।
চতুর্থ ধাপ
এরপর আমি চুলা জ্বালিয়ে মিশ্রিত পানিকে কিছুক্ষণের জন্য জ্বাল দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিবো।যাতে আগার আগার পাউডার জমাট বেঁধে না যায়। ।
পঞ্চম ধাপ
এরপর এখানে আমি কিছুটা পরিমাণে রুহ্ আফজা দিয়ে নিবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর আমার জেলির মিশ্রনটা তৈরি হয়ে যাবে।
সপ্তম ধাপ
চারপাশ সমান এমন একটি পাত্র নিয়ে এর মধ্যে আমার জেলির মিশ্রনটাকে ঢেলে নিবো।এরপর ২০-৩০ মিনিটের জন্য রেস্টে রেখে দিবো, যাতে আমার জেলির মিশ্রনটা জমাট বেঁধে যায়।
অষ্টম ধাপ
এরপর চুলায় আরেকটি পাত্র বসিয়ে এরমধ্যে আমি ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর পানিতে যখন বলক আসবে তখন এর মধ্যে ১/৩ কাপ পরিমাণ সাবুদানা দিয়ে নিবো।
দশম ধাপ
এরপর সাবুদানাগুলোকে অনবরত নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে সাবুদানাগুলো লেগে না যায়।
একাদশ ধাপ
সাবুদানাগুলো ঠিকঠাক সিদ্ধ হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য একটু পর পর চামচ দিয়ে তুলে দেখে নিতে হবে। তো আমার সাবুদানা গুলো শিদ্ধ হয়ে গেছে।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর একটি ঝাঝুড়ের সাহায্যে সাবুদানায় থাকা পানিগুলো ছেঁকে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর সাবুদানাগুলোকে ঠান্ডা পানির সাহায্যে ভালো করে ধুয়ে নিবো।যাতে সাবুদানাগুলো ঝড়ঝড়া থাকে।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে গরুর দুধ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিবো।
পঞ্চদশ ধাপ
এরপর চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
ষষ্ঠদশ ধাপ
এরপর পাউডার দুধ দিয়ে ভালো করে নেড়েনেড়ে মিশিয়ে নিবো।
সপ্তদশ ধাপ
এরপর দুধে বলক আসলে পরিমানমতো রুহ-আফজা দিয়ে নিবো।
অষ্টাদশ ধাপ
এরপর সিদ্ধ করে রাখা সাবুদানা দিয়ে নিবো।
উনবিংশ ধাপ
এরপর আরও কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষন রেখে দিবো।
বিশতম ধাপ
এরপর শরবতগুলো আরেকটি পাত্রে নামিয়ে নিবো।
একুশতম ধাপ
এরপর জমিয়ে রাখা জেলিটাকে পিছ পিছ করে আরেকটি প্লেটে নামিয়ে রাখবো।
বাইশতম ধাপ
এরপর পিছ করা জেলি ও শরবতের পাত্রটি এক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিবো।
তেইশতম ধাপ
এরপর একঘন্টা পরে জেলি ও শরবতের পাত্রটি বের করে জেলির পিছগুলো শরবতের মধ্যে দিয়ে নিবো।
শেষ ধাপ
এরপর শরবতগুলো গ্লাসে দিয়ে নিবো। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার সাবুদানার ইউনিক শরবতের রেসিপিটি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে সাবুদানার ইউনিক শরবতের রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করাসাবুদানার ইউনিক শরবতের রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
| Photographer | @anisshamim |
|---|---|
| Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR






































Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সবুদানা আগার আগার এবং আরও অনেক উপকরণের মিশ্রণে দারুন একটি শরবতের রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।দুর্দান্ত হয়েছে জাস্ট।আপনাকে কনটেস্ট ৩৪ এর জন্য শুভকামনা জানাই।আপনার শরবতের রেসিপিটি ইউনিক লেগেছে অনেকটা আমার কাছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর শরবতের রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সাবুদানার শরবত আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার শরবত এর রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটি ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সাবুদানার সাহায্যে খুব চমৎকার একটি শরবত তৈরি করেছেন। শরবতটি আমার কাছে বেশ ইউনিক মনে হয়েছে আর খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার শরবত রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অভিনন্দন ভাইয়া আপনাকে। আপনি দারুন মজার সাবু দানার শরবত নিয়ে হাজির হয়েছেন।আপনার উপস্থাপনা খুব ভাল লাগলো। আপনি শরবতের ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি সাবুদানার খুবই ইউনিক একটা শরবতের রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছে। সাবুদানার শরবত তৈরি করে আপনি শেষে যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন সেগুলো কিন্তু খুবই সুন্দর হয়েছে। ইফতারের সময় ঠান্ডা ঠান্ডা এই শরবত খেলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে। শরবতের কালারটা ও জাস্ট অসাধারণ ছিল বলতে হচ্ছে। সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লেগেছে।
সাবুদানার শরবত রেসিপি দারুন হয়েছে। তবে প্রতিযোগিতার নিয়মের মধ্যে লেখা ছিল দুধ দিয়ে কোন আইটেম করা যাবে না। যাই হোক আপনার তৈরি করা রেসিপি বেশ লোভনীয় লাগছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই কনটেস্টের কারণে অনেক ইউনিক শরবতের রেসিপি দেখতে পাচ্ছি। আপনি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে। এই কনটেস্টের জন্য আপনি সাবুদানার ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। কালারটা ও খুবই সুন্দর দিয়েছেন। আমার তো দেখে মনে হচ্ছে এই শরবত খুবই মজাদার ছিল। ঠান্ডা ঠান্ডা এই শরবত আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। রোজার দিনে এরকম শরবত দেখলে কার কাছেই না ভালো লাগবে। অসম্ভব ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে।
প্রথমে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি শরবতের রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য। সাবুদানা দিয়ে অনেক ধরনের শরবত তৈরি করা যায় যা আপনার ইউনিক রেসিপি দেখে বুঝা যাচ্ছে। বেশ মজার করে শরবত তৈরি করেছেন অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে। ইফতারের সময় এরকম শরবত খেলে অনেক তৃষ্ণা মিটবে এবং খেতে ভালো লাগবে। প্রতিটি ধাপ ও সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে।