"প্রতারণার ফাঁদ" এর দ্বিতীয় অংশ।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে প্রতারণার ফাঁদ এর প্রথম অংশ পোস্ট করেছিলাম। আজ আমি প্রতারণার ফাঁদ এর দ্বিতীয় অংশ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশাকরি, এ অংশটি পড়েও আপনাদের ভালো লাগবে।
ছোটবেলায় শুনতাম,গ্রামের কেউ বড় লোক হলে বাড়িতে উঁচু বাঁশের মাথায় বাতি জ্বালাতো।এটাকে বলতো লাখের বাতি।মানে লাখ টাকা হলেই বাতি জ্বালানোর যোগ্যতা হতো।সেই লাখ টাকা বর্তমানে অনেক আগেই ডালভাত হয়ে গেছে।আমাদের দেশের সব লাখ প্রতি নিজেদের বাড়িতে বা বাসায় বাতি জ্বালালে দেশে আর স্ট্রিট লাইট লাগবে না।এখন কোটি টাকাও আলোচনায় আসে না।এখন শুনি শত কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা।
বর্তমানে আমাদের দেশের সরকারি বিভিন্ন অফিসের পিয়ন,
ড্রাইভাররাও নাকি শত কোটি টাকার মালিক।মাঝে মাঝে কল্পনা করার চেষ্টা করি,কয় টাকায় কোটি টাকা হয়,শত কোটি টাকা হয়,হাজার কোটি টাকা হয়। ১০০ টাকার বান্ডিলেও ১১ হাজার কোটি টাকা ডাকাতি করতে কয়টা লরি লাগবে?কিন্তু এখন কয়েকটা ক্লিকেই গায়েব ১১ হাজার কোটি টাকা।
মনে মনে এও ভাবি,আমাদের দেশে বারবার এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটে।আসলে উত্তর ও অনেকটা সহজ। এ দেশে ঘনবসতি, বেকারত্ব বেশি, শিক্ষা কম,সাইবার শিক্ষা আরও কম,সচেতনতা আরও কম।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের মাঝে অতিমাত্রায় লোভ।এ লোভকে পুঁজি করে প্রতারকরা তাদের ফাঁদ পাতে।শুধু দেশে নয়,জমিজমা বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমাতে গিয়েও অনেকে প্রতারিত হন,এমনকি মারাও যান।
তবে আমাদের কোন লোভের সীমা পরিসীমা নেই। রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে আমরা বিভোর। ই-মেইলে পাঠানো বিনিয়োগের অফারে সাড়া দেই আমরা।বিদেশ থেকে দামী গিফট এসেছে শুনে সেটা ছাড়াতে লাখ লাখ টাকা দিয়ে দেই।এমনকি জিনের বাদশারাও আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়।এভাবেই আমরা শেয়ার বাজারে গিয়ে নিঃস্ব হই,এমএলএম কোম্পানির ফাঁদে পড়ে পথের ফকির বনে যাই।
অনেক বছর আগে শেয়ার বাজার বিনিয়োগ করা আমার এক কলেজ বন্ধু কোটি টাকার গল্প শোনাত।লাভের অঙ্ক দেখাত।গাড়ি কিনবে,বাড়ি বানাবে,এমনকি তার অনেক স্বপ্নের কথা আমার কাছে বলত।তখনও যদি সে শেয়ার বিক্রি করে দিত,সত্যি কোটিপতি হতো।আমি তাকে বারবার বলতাম,আর দরকার নেই বন্ধু। এবার বিক্রি করে দে।সে আমাকে তখন বলত,আরে রাখ তো কথা, আরও কত কোটি টাকা হয় দেখ।তারপর এক সকালে নিঃস্ব হয়ে যায় সে।তার স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা কাছ থেকে দেখেছি।
শেয়ারবাজার তবু বৈধ বিষয়, বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে লাভক্ষতি থাকে।কিন্তু অবৈধ এমএলএম ব্যবসায় যারা হাওয়ায় ওপর কোটিপতি হতে চান।সেই কোম্পানিগুলোর কথা চিন্তা করলেই কিছুটা আন্দাজ করা যাবে।আসলেই কি রাতারাতি কোটিপতি হওয়া সম্ভব।যদি হতো তাহলে তো এত পরিশ্রমের প্রয়োজনই পরতো না।
আজ এ পযর্ন্তই।অন্য দিন এর পরবর্তী অংশ নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।আর লিখার মধ্যে কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাবে আপনাদের মতামত দিবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে ভাইয়া আমাদের দেশটা প্রতারণার ফাঁদ"চলে। সত্যিই যদি রাতারাতি বড়লোক হওয়া যেত তাহলে কাউকে আর পরিশ্রম করতে হতো না।আমাদের সবারই উচিত লোভ থেকে দূরে সরে থাকা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রতারণার ফাদঁ নিয়ে আপনার আজকের লেখাটি কিন্তু অসাধারন। তবে কথা কিন্তু সত্য যে আমাদের লোভের কারনে আজ আমাদের এ অবস্থা। আমরা যদি আমাদের লোভ কে সংবরন করতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের এমন প্রতারণার স্বাীকার হতে হবে না। বেশ সুন্দর করে লিখেছেন আপনার লেখা গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
দিন দিন আমাদের দেশে প্রতারণার ফাঁদ বেড়েই চলছে। এই প্রতারণার ফাঁদে বেশিরভাগ সহজ সরল মানুষই পতিত হচ্ছে। প্রতারণার বিষয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপরে আলোচনা করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। মনের ভেতর থেকে লোভ জিনিসটা নির্মূল করতে পারলে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।
একটা কথা আছে বাঙালি বুঝে কম লাফায় বেশি। আর এটার সুযোগই ঐ এমএলএম এর কোম্পানি গুলো নেয়। যেটার প্রমাণ আমরা কিছুদিন আগেও পেয়েছি। আর আমাদের লোভের কারণেই এসব ফাঁদের স্বীকার আমরা খুব সহজেই হয়ে যায়। বেশ চমৎকার বিষয়ে লিখেছেন ভাই।। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ভাই সৎ পথে ইনকাম করলে এক কোটি টাকা ইনকাম করতে করতে বুড়ো হয়ে যেতো। অথচ সরকারি চাকরি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। আমাদের দেশে সব সম্ভব। মানুষ দিনদিন প্রচন্ড লোভী হয়ে যাচ্ছে। তাইতো টাকার পিছনে প্রতিনিয়ত ছুটতে থাকে। হালাল হারাম হিসাব করে না। টাকা হলেই হয়। অনেকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মানুষকে বোকা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যাইহোক লোভ পরিত্যাগ না করলে অবস্থা আরো করুণ হবে।