Better Life With Steem || The Diary game || 18/09/2024

in Incredible India11 days ago
1000149272.jpg

প্রিয় বন্ধুরা আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আজকের ডাইরি গেম নিয়ে। আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আশা করি সবাই আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পরবেন। চলুন এবার শুরু করও আজকের পোস্ট লেখা।


প্রতিদিনের মতো একই টাইমে ঘুম থেকে উঠি, উঠে দেখি ভাবি রান্না ঘরে চাল ডাল খুঁজছে খিচুড়ি রান্না করবে তাই। এরপর আমি রান্না ঘরে যাওয়ার পর সবকিছু তার কাছে দিলাম তারপর সে সকালে নাস্তার জন্য খিচুড়ি রান্না করলো। এরপর ভাবির খিচুড়ি রান্না হয়ে গেলে তারপর আমি ডিম ভেজে দিলাম। রান্নার কাজটা দুইজনে ভাগে করে নিলাম।

1000149257.jpg

রান্না হওয়ার পর আমি যেভাবে প্রতিদিন ভাইয়াকে বক্সে করে গুছিয়ে দিতাম ঠিক সেভাবেই ভাবি সব কিছু গুছিয়ে ভাইয়াকে দিল। ভাইয়া সাতটার সময় বের হলে ওই সময় সাহেব ও ভাইয়ের সঙ্গে বের হলো বাজার করার জন্য, তারা দুজনে যাওয়ার পর দরজা লাগিয়ে শুয়ে থাকি এত সকাল কিছু খেতে মন চায় না তাই না খেয়ে শুয়ে থাকি।

ঠিক আধা ঘন্টা পর বাজার থেকে সাহেব আসলো কিন্তু হাত খালি কোন বাজার নেই দুহাতেই। তারপর আমি জিজ্ঞেস করি বাজার করতে গেলে আর খালি হাতে আসলা কি হয়েছে। সে বলছে কি আর হবে বাজারের লোকজন সবাই জেনে গেছে আজকে আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে বাজার যাব তাই কেউই দোকানপাট খুলিনি।

1000149106.jpg

তারপর সে আর ঘুময়নি শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করল আবার সাড়ে 9 টার সময় বাজারে গেল। সাহেব বাজারে যাওয়ার পরে আমি বসে না থেকে ভাতটা চুলায় বসিয়ে দি। ঠিক আবার ১৫-১৬ মিনিট পর সাহেব কাঁচা বাজার ও মাছ নিয়ে আসলো। এরপর সবকিছু আস্তে আস্তে করে গুছিয়ে নিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম। ভাবি যতটুকু পারছে আমাকে কাজে সাহায্য করেছে, কিন্তু তার ছেলে তাকে ছাড়া কিছুই বোঝেনা এক নজর না দেখলে কান্না করে তার ফাঁকে ফাঁকে কিছু আমাদের কাজ গুছিয়ে দিল।

আমি তাকে বারণ করার শর্তও তার সাধ্যমত আমাকে কাজে হেল্প করলো। যাক এরপর আমি আস্তে আস্তে করে সবকিছু রান্না করে গুছিয়ে নিলাম। আমার রান্না বান্নার কাজটা হয়ে গেলে তারপর কিছুক্ষণ পর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি।

1000149110.jpg

গোসল করে আসার পর জোহরের নামাজ পড়ে তারপর ছেলে-মেয়েকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম । ওদের খাওয়া হলে তারপর আমরা খেয়ে নিলাম। আজকে দুপুরে তাড়াতাড়ি খাওয়া হলো তাই খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। প্রায় এক দেড় ঘন্টা ঘুমানোর পর আমার আপু ফোন দেয়। আর ফোন দেওয়ার পর জানতে পারি মার অনেক মাথা ব্যথায় করছে তাই আপু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর আপুর সাথে ঘুমঘুম চোখে কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে ঘুম থেকে উঠে পড়ি।

1000149265.jpg

আমি ওঠার কিছুক্ষণ পরে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম মাদ্রাসায় চলে গেল। এরপর কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আজান দিল তারপর ওজু করে নামাজ পরি। নামাজ পরে উঠেছি তার কিছুক্ষণ পরেই ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল। ছেলে ঘুম থেকে উঠেই ইক্ষুটা ধরল তার বিছানার পাশেই ছিল তাই একা একা বসে খেতে লাগলো।

আমি নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর মটর বুট খেলাম আর খেতে খেতে আজকের পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। এরপর পোস্টটা লিখতে লিখতে এশা নামাজের সময় হয়ে গেল তারপর লেখা শেষ করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে এরপর ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিলাম। খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়লো আমি ওর পাশে শুয়ে ছিলাম। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা খুব সুন্দর ভাবে পার করি। আজকের মত লেখায় এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...
 10 days ago 

মেয়েদের প্রতিদিন একই রকম ভাবে অতিবাহিত হয়, তারা সংসারে অনেক কাজ করে, মেয়ে মানুষের না থাকলে বোঝা যায় সংসারের কাজ কত কঠিন, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 10 days ago 

সকালের রান্নাটা ভাবি করায় আপনার কষ্ট হয়তো কিছুটা কমেছে । খিচুরি র সাথে ডিম ভাজি সত্যি অনেক মজার খাবার। আপনার ছেলের আঁখ খেতে দেখে নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল কারন আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বাবা আঁখ থেকে রস বের করে দিত তারপর আমি খেতাম। আর আপনার ছেলে একা আকাই আঁখ খাচ্ছে। ভালো থাকবেন।

 9 days ago 

এটা সকলেরই দায়িত্ব যে তার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা।আপনার রান্না করার বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি আপনারা আগামী দিনগুলো আরো সুন্দর কাটবে ধন্যবাদ।

 7 days ago 

মেয়েদের প্রতিদিনের সকালের কাজের নিয়ম গুলো প্রায় একই রকম হয়ে থাকে।। ঘুম থেকে ওঠার পর সংসারের কাজ করেছে থেকে শুরু করে ছেলেমেয়েদের খেয়ার সঠিকভাবে নিয়েছেন।। দেখতে দেখতে ছেলেটা কত বড় হয়ে গেল এখন নিজেই আখ খেতে পারে।।

 5 days ago 

আপনার ডাইরি গেমের পোস্টটি খুবই সুন্দর ও প্রাণবন্ত! প্রতিদিনের জীবনযাত্রা, রান্নার অভিজ্ঞতা, এবং পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটানোর বিবরণ সত্যিই দারুণ লাগল। এছাড়া, আপনার মা সম্পর্কে যে খবরটি শুনলেন, আশা করি তিনি শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবেন। আপনার দিনের শেষ অংশে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানো খুবই প্রশংসনীয়। এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ! আশা করি ভবিষ্যতেও আপনার ডাইরি গেমের আরো পোস্ট পড়তে পারব। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন!

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65754.91
ETH 2670.18
USDT 1.00
SBD 2.88