Better Life With Steem || The Diary game || 11/09/2024

in Incredible Indialast year
1000148852.jpg

বুঝতে পারতাছি না কালকে কিসের জন্য ঘুম আসেনি, সারারাত শুধু এপাশেওপাশে করেছি রাত যখন চারটা ওই সময়ও সজাগ। ছেলে রাত চারটার সময় সজাগ হয় প্রসাব করার জন্য আমি ওই সময় সজাগ থাকি। এরপর মনে হয় সাড়ে চারটায় ঘুম পড়েছি। বুঝতে পারতাছি না ইদানিং ধরে ঘুমের সমস্যাটা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে। ঠিক মতন ঘুম হচ্ছে না ঠিক সময় মতন আবার ঘুম থেকে উঠতেও পারছি না।

এরপর আবার সজাগ হই ছয়টা ৩৩ মিনিটে, উঠে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি ছয়টা ৩৩ বেজে গেছে হতভম্ব হয় উঠে বসি। তারপর রান্না ঘরের দিকে যাই যাওয়ার আগে দেখি ভাইয়ার দরজা খোলা এবং ভাইয়া রুমে নেই, তারপর বুঝতে পারি আমার উঠতে দেরি হওয়ার কারণে ভাইয়ার আমাকে উঠাই নি সে চলে গেল।

1000148810.jpg

এরপর আবার রুমে শুয়ে থাকি তারপর সকাল সাড়ে আটটায় উঠি, উঠে সকালের নাস্তা বানাই পাটিসাপটা পিঠা। পিঠা বানিয়ে মেয়েকে টিফিন বক্সে দিয়ে আসি এরপর সাহেবও উঠে যায় তাকে সকালে নাস্তার জন্য পিঠা দি, আর আমি পান্তা ভাত খেলাম। আঠা দিয়ে পাটিসাপটা পিঠা আমার একদমই ভালো লাগেনা। তবে আবার আমার সাহেব আর মেয়ে তারা পছন্দ করে।

1000148817.jpg

সাহেব সকালে নাস্তা করে তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বের হয়ে গেল। আমি কাঁচা বাজার করে দিতে বলেছিলাম সে বলছে আমার সময় নেই, তুমি যদি নিচে পাও তাহলে ওখান থেকে কিনে নিও। এরপর কি আর করার নিচে গিয়ে অনেকক্ষণ ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি তারপর দেখি তরকারি ওয়ালা এসেছে এবং সেখান থেকে তরকারি নিলাম। আর ছেলেকে একটা জিরো চিপস কিনে দিলাম সে বাসায় এটা খেতে লাগলো।।

1000148818.jpg
1000148824.jpg

নিচ থেকে এসে তাড়াতাড়ি করে ভাতটা বসিয়ে দিয়ে তারপর তরকারি কোটা বাচা শুরু করে দি। এরপর সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে একে একে করে রান্না করি। আজকের রান্না করতে গিয়ে চোখে এতটা ঘুম চোখ মিলে তাকাতেই পাচ্ছিনা। কোনরকম করে একটার ভিতরে দুপুরে রান্না বান্না শেষ করে তারপর গোসল করে আসি। গোসল শেষে নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিই।

1000148831.jpg

ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। শুয়ে থাকার পরে দেখি চোখে অনেক ঘুম তারপর আবার ভাবি দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে একেবারে ঘুমিয়ে যাব। তাই দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। খুব শান্তভাবে শুয়ে পড়েছি এরপর দুই এক মিনিট পরেই কারেন্ট চলে গেল গরমে হাহাকার করছি। কারেন্ট আসেনা আসেনা অপেক্ষা করতে করতে প্রায় 40 মিনিট পরে কারেন্ট এলো। আবার ঘুমের মধ্যে কোন সময় যে কারেন্টটা চলে গেল বুঝতেই পারিনি। আবার সেই গভীর ঘুম থেকে উঠে বসে থাকি আর হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছি তাতেও হচ্ছে না।

ছেলে তো ঘেমে পুরো শরীর ভিজে গেছে তার মাঝে বালিশটা ভিজে গেছে। এপাশওপাশ করে বালিশ উল্টে দিচ্ছি তারপরও কিছুক্ষণ পর পর ভিজে যাচ্ছে। বুঝতে পারতাছি না আজকে আমার সাথে এমন কেন হচ্ছে। এরপর সাড়ে পাঁচটার সময় কারেন্ট আসে মেয়েকে উঠিয়ে দি মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য আমি উঠে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি এর মধ্যে ভাইয়া এসে যায় সে এসে গোসল করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় তারপর তাকে দুপুরে খাবার খেতে দেই।

1000148851.jpg

কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আযান দেয় ওযু করে নামাজ পড়ি তারপর ভাইয়া মার্কেটে চলে যায়। আজকে সাহেব দুপুরে খাবার খেতে আসেনি মনে হচ্ছে দোকানে অনেক চাপ তার জন্য আসতে পারিনি আর ফোনও করিনি। যাইহোক ছেলে নামাজ পড়ার কিছুক্ষণ পরে উঠলো উঠে ওকে নিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি তারপর এক পিস কেক খাইয়ে দি।ওকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে শান্তভাবে রেখে তারপর আমি পোস্ট লিখি।

পোস্ট লিখে ছিলাম এর মধ্যে আপু ফোন দিল আপুর সাথে কথা বললাম তার ছেলে মেয়ের সাথে কথা বললাম। তাদের সাথে কথা বলা শেষ করে এরপর আবার পোস্ট লেখা শুরু করি। পোস্ট লিখতে লিখতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। তারপর এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিই। এরপর মেয়েও রাত দশটার সময় এসে যায় ওকে রাতের খাবার খেতে দিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে বলি কারণ আবার সেই সকাল পাঁচটার সময় উঠতে হবে। যাইহোক এরকম করে আজকের দিনের মুহূর্ত গুলো কাটাই করি। সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি(( আল্লাহ হাফেজ))

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...
 last year 

মাঝে মাঝে অনেক কারণ এই রাতে ঘুম আসে না আর আমার এমন হয়ে থাকে আর ঘুম না আসলে পরের দিন কোন কিছুই ভালো লাগেনা।। সকাল সকাল পাটিসাপটা পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে আপু।। যাইহোক এছাড়াও সংসারে কাজ খুবই মনোযোগ দিয়ে করেছেন দেখে ভালো লাগছে।।

Coin Marketplace

STEEM 0.14
TRX 0.35
JST 0.035
BTC 115435.77
ETH 4604.23
SBD 0.87