ভ্রমণ || বাংলার পিরামিড পর্ব ২
হ্যালো বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। গতকাল পিরামিড ভ্রমণের কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বাকি অংশ আজকের এই পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের মমি দেখার পরে শরু একটি রাস্তা দিয়ে অন্য একটি জায়গায় গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানের সব কিছু ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চের আদলে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের মাটির মূর্তি রয়েছে এবং খুব ক্ষুদিরামকে ফাঁসির কেন্দ্রে ঝোলানো হচ্ছে এরকম একটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।
তবে জায়গাটা অনেক বড় ছিল বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালি ছিল এবং বসারও অনেক জায়গা ছিল। সেখানে প্রথমেই আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চের সামনে গিয়েও কিছু ছবি তুলেছিলাম। তবে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত কিছু গাড়ি রাখা হয়েছে। যেসব গাড়িতে অসম্ভব সুন্দর ছবি তোলা যায়, আমার ছোট ভাইকে বসিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি সেখানে।
সেখানকার রাস্তা গুলো অনেক চিকন এবং ভুলভুলাইয়ার মত। আপনি কোন রাস্তা থেকে কোন দিকে চলে যাবেন সেটা নিজেও বুঝতে পারবেন না। বেশি কিছুক্ষণ থাকার পরে পরবর্তীতে আমরা রাস্তা গুলো চিনতে পেরেছিলাম। তবে সেখানে একটি ছোটখাটো জাদুকরও রয়েছে। যেই জাদুঘরে মূলত বিভিন্ন ধরনের পুরাতন জিনিসপত্র রয়েছে। তার মধ্যে সেই আদিম যুগে যেসব মেশিনে সাহায্যে চলচ্চিত্র দেখানো হতো সেই সব মেশিনগুলো আমরা দেখেছি এছাড়াও আগে যেভাবে শুটিং করা হতো সেই শুটিং স্পটগুলো সেখানে সংরক্ষিত করা রয়েছে, এছারাও রয়েছে বেহুলার বাসর রাতেরর আদলে তৈরি করা একটি শুটিং স্পট।
জায়গাটা বেশ বড় তাই ঘুরতে অনেক সময় লেগেছে। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা চলে আসে কিন্তু সন্ধ্যার আগেই সেখানে বেশ কিছু জায়গা আমরা এক্সপ্লোর করে ফেলেছি এবং বেশ কিছু সময় আমরা অতিবাহিত করেছি। আসলে অনেকদিন পরে পরিবারসহ এমন একটি সময় কাটিয়েছি তাই অনেকেই ভালো লাগছিল।
তবে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে মোট কথা একটি চিড়িয়াখানার মতো করেছে। সেখানে প্রায় অনেক জাতের পাখি রয়েছে ময়না পাখি, টিয়া পাখি, দোয়েল পাখি আরো অনেক ধরনের পাখি যেসবের নাম আমি হয়তো এখন ঠিক মনে করতে পারছে না।
জায়গাটা সত্যি অনেক বড় ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে সম্পূর্ণ জায়গাটি আমরা এক্সপ্লোর করতে পারেনি। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা গড়িয়ে আসার পরে সেই সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে পড়ি এবং বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। বাসায় আসার পরে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা ও করেছিলাম আমরা। যেমন নতুন বাসা নিয়েছি সেখানে রান্না করার মত কোন ব্যবস্থা ছিল না তাই গ্যাসের চুলা এবং গ্যাসের সিলিন্ডার ও কিনতে হয়েছিল। সেসব বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।
আপনারা যদি বাংলা তাজমহল এবং পিরামিডে ভ্রমণ করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আসতে হবে নারায়ণগঞ্জে এরপর নারায়ণগঞ্জ থেকে রূপগঞ্জ আসতে হবে। তারপরে বরপায় নেমে সেখান থেকে অটোতে করে ২০ টাকার বিনিময়ে আপনারা সেই জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ভ্রমণ || বাংলার পিরামিড পর্ব ২
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
শুটিং স্পট গুলো ঘুরতে খুব ভালো লেগেছিল আমার। রাস্তা গুলো আসলেই খুব চিকন,তাই কয়েকবার আমারও চিনতে সমস্যা হয়েছিল। যাইহোক বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন আপনারা এবং চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। পোস্টটি পড়ে এবং দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ, আর একদিন আসুন এক সাথে ঘুরে আসা যাবে।
আপনার সময় থাকলে জানাবেন, অবশ্যই যাবো ইনশাআল্লাহ। ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পরিবারের সবাই মিলে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।বাংলার পিরামিড ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।বেশ বড়ো এরিয়া নিয়ে জায়গাটি।আপনি লোকেশন টা দিয়ে দিয়েছেন।যদি কখনো সুযোগ আসে যাবো ইনশাআল্লাহ।সব মিলিয়ে জায়গাটি সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য
সুযোগ হলে ঘুরে যাবেন। অনেক সুন্দর জায়গা।
নারায়ণগঞ্জ কিংবা রূপগঞ্জ এসব জায়গায় কখনো যাওয়া হয়নি ভাইয়া। এসব জায়গায় গেলে অবশ্যই এই সুন্দর জায়গাটিতে ঘুরে আসব। ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এর সাথে অনেক ঐতিহ্য লুকিয়ে আছে। যাইহোক যেহেতু নতুন বাসায় উঠেছেন তাই তো ব্যস্ত ছিলেন বুঝতে পারছি। আসলে নতুন বাসায় অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটে। সবকিছু গুছিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়ে যায়।
হ্যা আপু, নতুন বাসা মানেই সব কিছু কিনতে হয়।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাংলার পিরামিড এর দ্বিতীয় পর্ব। পরিবারের সাথে এমন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে সত্যি বেশ ভালো লাগে ভাই। আসলে ভাই এখন যেকোনো জাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন জিনিসপত্র দেখা যায় এগুলো দেখলে সত্যি মানুষের জ্ঞানের প্রসারিত আরও বৃদ্ধি পায়। ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চের ছবিটিও বেশ দারুন ভাবে আপনি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাই পরিবারের সাথে এত সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।