জীবন যখন যেমন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ভালো আছি তবে শারীরিক দিক থেকে একটু অসুস্থ রয়েছি। এদিকে আমার মায়ের অসুস্থতাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমার মায়ের হঠাৎ করেই ডাইবেটিসের সমস্যা দেখা দেয় এবং সেই সমস্যা এতটাই বেড়ে উঠেছে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার দেখা দিতে শুরু করেছে। বর্তমানে হাঁটু ব্যথা কোমরে ব্যথা সহ চোখেরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই আম্মুর ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং সেই সাথে সাথে বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে তোকে ঝাপসা দেখাটা অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরেই আমার মা সেই সমস্যার কথা আমাকে বলেছিল তাই আজকে ঠিক করেছিলাম মাকে নিয়ে ভালো একটি ডাক্তারের কাছে যাব এবং আম্মুর চোখ গুলো দেখাবো যে ডায়াবেটিসের কারণে নিজের কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। যেই ভাবা সেই কাজ। আজ দুপুরের পরেই আমরা আমাদের বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম আমার মায়ের চোখ দেখানোর জন্য।
আমি আগে যেখানে ছিলাম অর্থাৎ ফার্মগেট খামারবাড়ি অঞ্চলে সেখানে অনেক বড় একটি চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে। আপনারা অনেকেই চিনে থাকবেন যেটাকে ইসলামিক চক্ষু হাসপাতাল বলেই সবাই চেনে এবং সেখানকার ট্রিটমেন্ট অনেকটাই ভালো বাংলাদেশের মধ্যে। বর্তমানে আমি যেই পাওয়ার ব্যবহার করছি সেখানকার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিন্তু আমি সেই পাওয়ার ব্যবহার করছি এবং দীর্ঘদিন ধরে আমার চোখের আর কোন সমস্যা হয়নি। তাই চিন্তা করেছিলাম মাকে সেখানেই নিয়ে যাব এছাড়াও আমার মায়ের পরিচিত এক ডাক্তার ছিল সেখানেই এবং তিনিও অনেক বড় একটি ডাক্তার তাই তার কাছেই আজকে যাওয়া হয়েছিল।
সেখানে গিয়ে আম্মুর চোখ ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল এবং সব মিলিয়ে আমাকে ডাক্তার বলল মোটামুটি সব কিছুই ঠিক আছে। শুধুমাত্র আম্মু যে আগের পাওয়ার ব্যবহার করত সেই পাওয়ার পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগে ছিলো মাইনাস পাওয়ার এখন নতুন করে চেক করে দেখা গেলো প্লাসে পাওয়ার। সব মিলিয়ে একটা বড় দুশ্চিন্তা ছিল যে আম্মুর চোখের আবার মেজর কোন সমস্যা হলো কিনা তো ডাক্তার সেটা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছে যে মেজর কোন সমস্যা হয়নি। শুধুমাত্র ডাইবেটিসের কারণে পাওয়ারটা একটু পরিবর্তন হয়ে গেছে। এরপরেই আমরা আবার বাসার দিকে রওনা দিয়েছিলাম।
বাসায় রওনা দেওয়ার সময়ই আবার আমার মা বলে উঠলো আমার বউ কখনো বসুন্ধরা সিটি দেখেনি। তাকে একবার সেখান থেকে ঘুরিয়ে আনতে। যেহেতু সেখান থেকে বসুন্ধরা সিটি অনেকটা কাছেই তাই আর আজ লেট না করে তাকে নিয়েই বসুন্ধরা সিটিকে এগিয়ে শুধুমাত্র ঢুকে ছিলাম এবং বের হয়েছিলাম। পরবর্তীতে বাসায় চলে এসেছি। জীবন যখন যেমন ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের নিজের জীবনকে গুছিয়ে নিতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কোন অবস্থাতেই বিচলিত হওয়া যাবে না। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনার শরীর ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: জীবন যখন যেমন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
@alsarzilsiam, your post is a beautiful reminder of life's unpredictable journey and the importance of family. I was really touched by your heartfelt account of taking your mother to the eye doctor and your concern for her health. It's wonderful that you were able to ease her worries and even treat her to a visit to Bashundhara City! The photos really add to the story, making it feel like we're right there with you. Your positive outlook, even amidst challenges, is truly inspiring. This post is a great example of the personal, relatable content that makes the Steemit community so special. Thanks for sharing this slice of your life with us. Have you tried any specific lifestyle adjustments or dietary changes to manage your mother's diabetes? I'm sure the community would love to hear more about your experiences. Keep sharing!