ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস ও ইসরোর জন্মদিনের শুভেচ্ছা

তখনো আমাদের এই ভারত উপমহাদেশে রাজ্য প্রথা ছিল এবং এই ভারত উপমহাদেশে অনেকগুলো রাজ্য গোষ্ঠী ছিল। যার বেশিরভাগই একে অপরের সাথে খুব একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না। তখন যদি সব রাজা একসাথে হয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে কথা বলতো তাহলে হয়তো এত বছর আমাদের ব্রিটিশদের হাতে জিম্মি হয়ে থাকতে হতো না। ব্রিটিশরা যখন সম্পূর্ণ ভারত উপমহাদেশ নিজেদের আন্ডারে করে নেয় তখন সর্বপ্রথম ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন ১৮৫৮ সালে মঙ্গল পান্ডে। ব্রিটিশরা অনেক জুলুম করত আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের উপর তাই এর প্রতিবাদে মঙ্গল পান্ডে প্রথম প্রতিবাদ শুরু করেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। মঙ্গল পান্ডে শহীদ হওয়ার পরে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক মানুষের মধ্যেই প্রতিবাদী মনোভাব জেগে ওঠে এবং সেই থেকেই মূলত ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ কে স্বাধীন করার একটি আন্দোলন শুরু হয়।

এর পরবর্তী সময়ে লাক্সমি বাই, গাদার পার্টির মতো অনেক অনেক ছোট বড় সংগঠন নিজেদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু ব্রিটিশরা একটু বেশি চালাক ছিল। যার দরুন তারা খুব একটা বেশি দূর পর্যন্ত এগোতে পারে নি। তাদের সবাইকেই জীবন দিতে হয়েছিল এবং তারা শহীদ হয়েছিল। ভাগত সিং এর কথা হয়তো সবারই জানা আছে। তার প্রতিবাদের ধরন ভিন্ন ছিলো। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভগৎ সিং এবং তার দুই সাথীকে একসাথেই ফাঁসির মঞ্চে ঝোলানো হয় এবং তারাও এই দেশের জন্য শহীদ হয়ে যান।

ভগৎ সিং এর শহীদ হওয়ার পরেই মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের সবগুলো রাজনৈতিক সংগঠন এক হতে শুরু করে এবং সেই পার্টিগুলো নেতৃত্ব দেন পন্ডিত যাওহার লাল নেহেরু এবং মহাত্মা গান্ধী। অন্যদিকে ভারতীয় উপমহাদেশ কে স্বাধীন করার জন্য সুভাষচন্দ্র বোস এই স্বাধীনতার আন্দোলনের জন্য যোগদান করেন। তাকে সবাই ভালোবেসে নেতাজী বলে ডাকতো।

এর মাঝখানে ব্রিটিশরা দুই বাংলাকে আলাদা করার চেষ্টা করেন ১৯০৫ সালে। কিন্তু সেই বিষয়ে তারা ব্যর্থ হন। তারপরে তারা ডিভাইডেড অ্যান্ড রুল প্রয়োগ করেন। যার মাধ্যমে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিকে একটি দেশ এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে আরেকটি দেশে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরেই মূলত আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। যদিও ব্রিটিশরা তখন যে বুদ্ধি চালিয়ে গিয়েছিল সেটার ফলশ্রুতি আমরা এখনো ভোগ করছি। এক কথা বলতে গেলে সেই স্বাধীনতা আমাদেরও, কারণ ভারতীয় উপমহাদেশের আমরাও একটি অংশ ছিলাম।

Source

আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস অনেকটা গৌরবময় এবং এই ইতিহাসের অংশ হতে পেরে নিজেকেও অনেক গর্ববোধ করি। তবে আমাদের উচিত সবাইকে একতাবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাওয়া এবং নিজেদের উন্নতি সাধন করা। এই ভারতীয় ও উপমহাদেশ স্বাধীন করতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষ নিজের প্রাণ দিয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন। এই শহীদের মন থেকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাই।

সবাইকে ভারতীয় স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। আজকের মত এখানেই শেষ করছি কিন্তু আগামীকাল ইসরো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে নেব এবং বর্তমানে ইসরো কিন্তু অনেক উন্নতি করছে সেই বিষয়ক আমরা আলোচনা করব। ধন্যবাদ সবাইকে।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস ও ইসরোর জন্মদিনের শুভেচ্ছা

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......