অনেকদিন পরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া ♦️ Dhaka Xo 🍴 [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]
কিছুদিন ধরে বাসায় বন্দী জীবন যাপন করছি। অনেকদিন ধরে তেমন কোথাও বের হওয়া হয়নি শুধুমাত্র গতকাল একটু বৃষ্টি শেষে বিকেলে বের হয়েছিলাম। অনেকদিন ধরে ইচ্ছা করছিল বাইরে একটু খাওয়া-দাওয়া করবো। কালকে ভেবেছিলাম কালকে খাওয়া-দাওয়া করব কিন্তু কেন জানি কালকে আর শরীরটা ভাল লাগছিল না তাই খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যার সময় বাসায় চলে আসি। আজ দুপুর বেলা বাসায় তেমন কিছু রান্না হয়নি তাই ভাবলাম একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। অনেক দিনের ইচ্ছা করছিল রেষ্টুরেন্টে খাবো কিন্তু ঢাকায় শিফট হওয়ার পরে খুব কম রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়।
আগে যেসব রেস্টুরেন্ট রিভিউ করতাম, সেগুলো অনেক বড় ছিল যেহেতু ঢাকার বাইরে ছিল জায়গার অভাব ছিলোনা। সেগুলোতে কিন্তু ঢাকায় জায়গার বড়ই অভাব তাই রেস্টুরেন্ট গুলো একটু ছোটখাটো হয়। তবে রেস্টুরেন্ট ছোট হলেও খাওয়ার মান কিন্তু একই রকমের। ঢাকার খাওয়া মোটামুটি ভালই হয়।। আজ যে রেষ্টুরেন্টড এর রিভিউ করবো সেটি হচ্ছে শ্যামলি স্কয়ার এর টপ ফ্লোরে Dhaka Xo নামের একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে বসে খাওয়ার জন্য তাদের ৬ থেকে ৭ টি আলাদা আলাদা প্লেজ রয়েছে এবং প্রত্যেকটি প্লেজ সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে ডেকোরেশন করা। এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আমরা যে প্লেজটিতে বসেছিলাম এর চেয়েও অনেক সুন্দর সুন্দর প্লেজে বসার জায়গা ছিল কিন্তু সেগুলোতে বসার জায়গা ছিল না শুধুমাত্র এই পেজটিতে জায়গা ফাঁকা ছিল তবে এই প্লেজটি ও দেখতে খারাপ না। খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা এবং পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড সত্যিই আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। খাওয়ার সময় সফট মিউজিক চলছিলো, এরকম পরিবেশ আমার খুবই ভালো লাগে। বন্ধুবান্ধবের সাথে বসে আড্ডা দেওয়ার মত একটি পারফেক্ট জায়গা এটি, আমি মনে করি। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিল, না হলে সকালের দিকে বের হতাম। আমি বের হয়েছিলাম আনুমানিক দুইটার দিকে। সেখানের খিচুড়ি টি অনেক মজাদার। এর আগেও একবার সেখানকার খিচুড়ি খেছিলাম। তাই দুপুরবেলা সেখানেই খিচুড়ির অর্ডার দেই।
তাদের এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ লোক রয়েছে তাই তাদের সার্ভিসে তেমন কোনো লেট হয় না। আমি অর্ডার দেওয়ার প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যেই আমার খাবার আমার টেবিলের মধ্যে খাবার চলে আসে। সেখানে একটি স্পেশাল টক বা চাটনি পাওয়া যায়। সেই চাটনি বা টক দিয়ে খিচুড়ি খেতে সত্যিই অনেক মজাদার হয়। খিচুড়ির মধ্যে যে মুরগির মাংস গুলো ছিল সেগুলো সত্যিই একদম ঝলসানো এবং খাওয়ার মত একদম উপযক্ত ছিলো। সেখানে তারা আগেভাগেই মুরগিগুলোকে রান্না করে নেয় পরবর্তীতে খিচুড়ির সাথে এড দিয়ে আবার রান্না করে তাই খিচুড়ি খেতে খুব সুস্বাদু হয়। তবে সেখানকার একটি বিষয় আমার খুবই খারাপ লাগে। সেখানে একসাথে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল তাই যাবার সাথে সাথেই অনেকেই ডাকাডাকি করেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে যারা ডাকে তাদের রেস্টুরেন্ট আমি যাই না। এটা আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে। কেন জানি বাংলাদেশের এই সিচুয়েসন টা পরিবর্তন হতেই চায় না।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সেখানে কিছু ছবি তুললাম এবং বেরিয়ে পরলাম। তবে সেখানে গেলেই মন ভালো হয়ে যায় অনেকদিন পরে বাসা থেকে বের হয়েছি তো তাই একটু পরিবেশটাও অন্যরকম লাগছিল। সব মিলে রেস্টুরেন্টে কাটানো সময়টি ভালোই কাটিয়েছিল। এই ছিল আমার রেস্টুরেন্টে খাওয়ার একটি অভিজ্ঞতা। আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে। ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন, ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: অনেকদিন পরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া ♦️ Dhaka Xo 🍴
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.........
ওহ্ ইয়ামি😋😋😋
বাইরের খাবার বেশ ভালো লাগে তবে মাঝে মধ্যে। যাক আপনি খাবার আর সময় দুটুই ভালো উপভোগ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে ✨
শুভ কামনা এবং দোয়া সবসময়ই রয়েছে 🥀
ভালোবাসা অবিরাম ভাই♥♥
মাঝে মাঝে বাইরে রেস্টুরেন্টে গেলে ভালই লাগে। এতে যেমন একঘেয়েমি কাটে তেমনি খাবারে বৈচিত্র্য পাওয়া যায়। তবে আপনার মত আমিও একটি বিষয় লক্ষ করেছি যেখানে একসাথে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট থাকে সেখানেই কাস্টমারদের ডাকাডাকির একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অনেকটা লোকাল বাসের কন্ডাক্টর দের মত। মানসম্পন্ন কোন রেস্টুরেন্ট এর জন্য বিষয়টা খুবই অপমানজনক মনে হয়। আপনার মাধ্যমে ভালো একটি রেস্টুরেন্টের ঠিকানা পেলাম। আশা করি পরবর্তীতে কোন একদিন যাব।
একদিন ঘুরে আসুন, সত্যি রান্না গুলো অনেক ভালো হয়।
বাহ্ বেশ সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট। আগে এখনো এইরকম পেইন্টেড রেস্টুরেন্ট দেখি নি। চমৎকার ভাবে সাজিয়েছে। হুম, ডাকাডাকি করে বিষয়টি দেখতে যেমন কটু, নিজের কাছেও খুব খারাপ লাগে যে, আহ্ যেতে পারলাম না, তার ডাকে সাড়া দিতে পারলাম না। খিচুড়ির সাথে টক আমার সবসময় ভালো লাগে। হয় তেতুলের চাটনি, না হয় জলপাই কিংবা বরই আচার। আহ্ কি স্বাদ😋। ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই ব্যাপারটি যে, পরিশেষে আপনার মন টা ভালো হল আলহামদুলিল্লাহ। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইলো ভাইয়া।🤍🤍🤍
ধন্যবাদ ভাই।
জি ভাই,বাসায় রান্না না হলে সেদিন বাইরে খেতে যেতে খুবই ভালো লাগে।তবে মাঝেমধ্যে এমন হয়েই যায়।আপনার আজকের এই রেস্টুরেন্টের রিভিউ দেখে জায়গাটা আমার খুব ভালো লেগেছে। অসম্ভব সুন্দর কিন্তু জায়গাটি,আর রেস্টুরেন্টের পরিবেশ আর খাবার মান ভালো হলে সেখানে বারবার যেতে ইচ্ছে করে।
তাই তো একবার খাওয়ার পর আবার গিয়েছি, খাবারের মান ভালো ছিলো বলে।
খুবই চমৎকার রিভিউ করেছেন আপনি।রেস্টুরেন্টের পরিবেশ এবং ফটোগ্রাফি সেইসাথে ডেকোরেশন সত্যিই অসাধারণ ছিল।এবং মুরগির মাংস গুলো আগেই ঝলসে আলাদা রান্না করে এরপর খিচুড়ির সাথে মেশানো সত্যি খুব ভালো লেগেছে।মনে হচ্ছে তৃপ্তিসহকারে খেয়েছেন আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল সবসময় যেন তৃপ্তি সহকারে খেতে পারেন।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইল ভালো থাকবেন সবসময়♥♥
ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্দী জীবন থেকে বের হয়ে ভালো একটি দিন কাটানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে জানাই অভিনন্দন। এর পর বলতে চাই দুপুর বেলা ভালোই তো খিচুড়ি খেলেন dhaka Xo তে। রেস্টুরেন্টের ভেরের ডেকরেশন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনার নতুন ফোনের কিছু ফটোগ্রাফিও দেখা হলো। যাইহোক, ভাই ভালোবাসা নিবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই।
খাবারের মান ও অনেক ভালো ছিলো।
খিচুড়ি আমার অন্যতম একটি প্রিয় খাবার।আমি যখন বাড়িতে যাই হোস্টল থেকে মা প্রায় আমার জন্য ডিম খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ায়। তবে আমি কখনো মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা খিচুড়ি খাইনি।মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা খিচুড়ি দেখে মন আর মানতেছে না। আমি এবার বাড়ি গেলে অবশ্যই মা কে রান্না করতে বলবো মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করতে।ধন্যবাদ ভাইয়া রেস্টুরেন্ট রিভিউ করার পাশাপাশি সুস্বাদু একটি খাবার আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল।
একবার মুরগী দিয়ে ট্রাই করে দেখুন, ভালো লাগবে।