বৃষ্টিময় একটি বিকেল
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন গত কিছুদিন ধরেই অনেক ব্যস্ত সবাই পার করছি তবে আজ বিকেলবেলা রুমে থাকতে কোন ভাবে ইচ্ছা করছিল না তাই ভাবলাম হাতিরঝিল থেকে একটু বেরিয়ে আসি ঠিক সেই বিষয়গুলোই আজ আলোচনা করব তবে চলুন শুরু করা যাক।
বর্তমানে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। তাই অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছি। সারা সেমিস্টারে খুব একটা বেশি পড়াশোনা হয়নি। তাই প্রচুর পড়াশুনা জমে গেছে সকালে পড়াশোনা করেছি, তার পরে একটু শুয়ে ছিলাম। মোটকথা আজকের দিনটা সারাদিন বাসায় ছিলাম। সারাদিন শুয়ে বসে থাকতেও ভালো লাগে না। তাই বিকেল বেলা সিদ্ধান্ত নিলাম একটু বাইরে হেটে আসবো। আগে প্রতিনিয়তই হাতিরঝিলে হাঁটাহাঁটি করতাম কিন্তু বর্তমানে একটু ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে খুব বেশি একটা হাটাহাটি করা হয় না।
বর্তমানে মাথায় অনেক টেনশন ঘুরাঘুরি করছে। আমি মনে করি বর্তমানে যারা বেঁচে আছেন সবার মাঝেই টেনশন, দুশ্চিন্তা এবং নানা ধরনের দায়িত্ব কাঁধে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়েই জীবন যাপন করতে হয়, সবকিছুকে মেনে নিয়ে, মানিয়ে নিয়েই চলতে হয়। এটাই জীবন। যাই হোক আমি ও বেশ কিছু বিষয় চিন্তাভাবনা করছিলাম। মূলত কিছুদিন আগে একটি জব ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলাম। হয়তো সেখানে আমার জব হয়ে যাবে। যদি জব হয়ে যায় তাহলে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জে আমাকে শিফট করতে হবে, এখানেও বেশ কিছু ঝামেলা রয়েছে।
ঢাকা শহরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাসা পরিবর্তন করা সেটা অনেক ঝামেলার বিষয়। এছাড়াও অনেক টাকা পয়সাও খরচ হয়ে যায়, তাছাড়া নতুন বাসা নিতে গেলেও অ্যাডভান্স টাকা দিতে হয়। আরো নানান ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়াও বর্তমানে আমি ব্যাচেলর রয়েছি, ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া পাওয়া যায় কতটা মুশকিল তা হয়তো আপনাদের সবারই জানা।
যদিও এখনো জয়েনিং লেটার হাতে পায়নি। তবে জয়েনিং লেটার পেলে অফিসিয়ালি সবার সাথে বিষয়গুলো শেয়ার করে নেব। আর পরবর্তীতে কি করব সে বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। তো আজকে হাতিরঝিলে হাঁটতে হাঁটতে বেশ ভালো লাগছিল কারণ গত কয়েকদিন ধরে গুরি গুরি বৃষ্টি হচ্ছে এবং চারিদিকের পরিবেশ অনেকটাই শীতল ছিল। এছাড়াও এমন বাতাসে মন এমনি শান্ত হয়ে যায়।
বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পরে একটি ছোট খাটো চা দোকান থেকে চায়ের অর্ডার দিলাম এবং চা খেতে খেতে বসে সেই শান্ত বাতাস অনুভব করতে থাকলাম। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে ভাবলাম এখন বাসায় চলে যাওয়া উচিত। বাসায় আসার সময় একটি মুড়িওয়ালা কে দেখতে পেলাম তিনি অনেক চমৎকার মুড়ি মাখা তৈরি করেন। কেন জানি অনেকদিন পরে এই মুড়ি মাখা খেতে ইচ্ছা করলো। পরবর্তীতে মুড়ি মাখা নিয়ে বসে সেই মুড়ি মাখা গুলো শেষ করে ফেললাম। তবে মুড়ি মাখা খেতে গিয়ে কিন্তু মরিচ চাবিয়ে ফেলেছি। অনেক ঝাল লাগছিল। তাই তাড়াহুড়ো করে সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। যদিও হাতিরঝিল থেকে আমার বাসা খুব একটা বেশি দূরে নয়। হয়তো কিছুদিন পরে এই হাতিরঝিলেও অনেকদিন পরে পরে আসা হবে।
তবে যাই হোক আজ এই শান্ত পরিবেশে শীতল আবহাওয়ায় অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছি। আপনারা যারা ঢাকায় অবস্থান করছেন এরকম দিনে অবশ্যই হাতিরঝিল ভিজিট করে যাবেন। মন অনেক ভালো হয়ে যাবে। যাইহোক আজকের মত এখানে শেষ করছি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বৃষ্টিময় একটি বিকেল
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আমার মনে হয় ঢাকার শহরে যদি সবচেয়ে বিরক্তিকর কোন কাজ থাকে সেটা হচ্ছে বাসা পরিবর্তন করা। যাই হোক সামনে যেহেতু আপনার পরীক্ষা তাই একটু বারতি প্রেসারে থাকতে হচ্ছে তবে বিকেলে যদি এরকম একটু বাইরে বের হওয়া যায় তাহলে মনটা অনেকটাই হালকা হয়।
কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আপনার পরীক্ষা সামনে দোয়া রইল। বৃষ্টির দিনে বিকেল বেলায় হাঁটতে বের হয়েছেন বেশ ভালো করেছেন। এমন সময় পরিবেশ অনেক সুন্দর থাকে। এমন সময় ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। হাতিরঝিল জায়গাটা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
সত্যি ভাইয়া এমন পরিবেশে মন ভালো হয়ে যাবে।অথচ ঢাকায় থেকে ও হাতির ঝিলের উদ্দেশ্যে কখনও যাওয়া হয়নি। পাশ দিয়ে গিয়েছি অনেকবার।এটা ঠিক বলেছেন, সবাই আজকাল নানা রকমের দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।আপনি জব হলে এখান থেকে চলে যাবেন।আসলে এটা খুব সত্যি কথা বাসা শিফট করা অনেক ঝামেলার কাজ।আর ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না এটা ও সত্যি কথা।যাক সবকিছু সুন্দর ভাবে হয়ে যাবে এমনটাই আশাকরি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আজকে খিলগাঁও গিয়েছিলাম একটু ব্যক্তিগত কাজে। ভেবেছিলাম কাজ শেষ করে হাতিরঝিল যাবো। তবে শেষপর্যন্ত যাওয়া হয়নি। আশা করি জব হয়ে যাবে আপনার। নারায়ণগঞ্জ শিফট হবেন, জেনে খুব ভালো লাগলো। এটা ঠিক ব্যাচেলরদের জন্য বাসা পাওয়াটা একটু কঠিন ই বটে। রূপগঞ্জ আমার বাসা থেকে অনেক দূরে। যদিও একই জেলায় অবস্থিত, তবে রূপগঞ্জ ভিন্ন থানা। কাছাকাছি হলে আমার বাসার ফ্ল্যাটে থাকতে পারতেন। যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
বৃষ্টির দিনে আপনি বিকেল বেলায় বাইরে হাঁটতে বের হয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। সামনে আপনার পরীক্ষা জানতে পারলাম আপনার জন্য অনেক দোয়া রইল। আসলে এমন পরিবেশে হাঁটলে নিজের মনের মাঝে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই ব্যাচেলারদের জন্য যেকোনো শহরে বাসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
অনেক গুলো বাস্তব সত্য কথা আজ পড়লাম আপনার পোস্টের প্রথমেই। আসলে আমাদের সকলকে মেনে নিয়ে আর মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়। তবে ভাইয়া যতই যাই বলি না কেন মনের মধ্যে যতই চিন্তা বাসা বাধুক না কেন। হাতির ঝিলের নির্মুল বাতাস কিন্তু সব ভুলিয়ে দেয় এক নিমিষে। আগাম শুভেচ্ছা রইল আপনার নতুন চাকুরীর জন্য।
ভাইয়া আপনার জব হবে শুনে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে বর্তমান সময়ে সবাই এতটা চাপের মধ্যে থাকে যে নিজের জন্য কোন সময় থাকে না। একদিকে আপনার পরীক্ষা চলছে অন্যদিকে বাসা বদলানোর টেনশন তো আছেই। আর বাসা বদলানোর মতো ঝামেলা আর কোন কিছুতেই নেই। একদিকে যেমন টাকা খরচ হয়ে যায় অন্য দিকে থাকার মত একটি ভালো জায়গা পাওয়াও মুশকিল। যাইহোক ভাইয়া একটু ভালোলাগা নিয়ে ঘরে ফেরার জন্য বাহিরে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।