চাকরিতে প্রথম দিনের অনুভূতি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমার প্রথম চাকরি দিবস। জয়েনিং লেটার হাতে পাওয়ার পরেই অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম। আমি সেই দরুন গতকাল রাতে তেমন একটা ঘুম হয়নি। সত্যি কথা বলতে জীবনে প্রথম জবের অনুভূতিটাই অন্যরকম। যদিও এটা আমার জীবনের প্রথম জব নায়। তবে টেক্সটাইল সেক্টরে প্রথম জব। তাই অনেকটা এক্সাইটিং ছিলাম। যে টেক্সটাইল সাবজেক্ট এর উপর এত বছর পড়াশোনা করলাম সেই সাবজেক্টে এখন চাকরি করতে পারব ভেবে অনেকটা ভালো লাগছিল।
যেহেতু বর্তমানে আমি ঢাকার রামপুরায় অবস্থান করতেছি সেখান থেকে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ যাতায়াত করা আমার জন্য অনেকটাই কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। যদিও আমি সেখানে বাসা দেখার চেষ্টা করছি কিন্তু কোন ভাবেই ব্যাচেলর তারা দেবে না। এটা নিয়ে অনেকটা সমস্যার মুখে পরেছি। সকাল প্রায় সাড়ে ছয়টায় উঠেই আমার অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম অফিস আর টাইম ছিল সকাল ৯ টা। সকাল সকাল বাস পাওয়া একটু কষ্টকর বিষয়। বাসস্ট্যান্ডে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি বাস পেয়েছি এবং সেই বাসে উঠে চললাম নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে।
যদিও সকাল সকাল খুব একটা বেশি জ্যাম থাকে না তাই খুব সহজেই মাত্র ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটেই নারায়ণগঞ্জের গন্তব্যে পৌঁছে যাই। অফিসে ঢুকেই আমার জয়নিং লেটার শো করে আমার সবকিছু পেপার ওয়ার্কস সম্পন্ন করেছিলাম। আমার প্রাথমিক কাজগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হল কোন মেশিনের আউটপুট কিভাবে আসে এবং সেই বিষয়গুলো কিভাবে কোয়ালিটি চেক করতে হয় সেই বিষয়গুলো আগামী কিছুদিন আমাকে শেখানো হবে পরবর্তীতে আমাকে একটি শিফটের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
বর্তমানে আমাকে জেনারেল ডিউটি দেওয়া হচ্ছর। মমনে সকাল ৯ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত মাঝখানে এক ঘন্টা লাঞ্চ বিরতি। যেহেতু এই বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করেছি তাই এই বিষয়গুলো বুঝতে খুব একটা বেশি সমস্যা হচ্ছে না। তবে আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি বিষয়গুলো নিজের আওতায় চলে আসবে। মূলত আমার ডিউটি হচ্ছে কোয়ালিটি চেক করা বিভিন্ন প্রোডাক্টের তবে এই কোয়ালিটি চেক করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ফ্লোরে সব সময় থাকতে হবে কোন স্লাইভার, রোভিং কিংবা সুতার কোন কোন বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে সেই বিষয়গুলো আইডেন্টিফাই করে মেশিনের সেটআপ দিতে হবে সেভাবেই। একটু ভুল হলেই হাজার হাজার কেজি সুতা নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে তাই এই বিষয়টি অনেকটাই সেনসেটিভ। সব মিলিয়ে আমার কি কি কাজ আজ বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে বিষয়গুলো ভালো ভাবে বুঝতে কিছু দিন সময় লাগবে।
চাকরির প্রথম দিনের অনুভূতি এক কথায় অসাধারন ছিলো। তবে যা বুঝলাম প্রথম অবস্থায় বুঝতে একটু সমস্যা হবে। সব থেকে বড় সমস্যা হল ঢাকা থেকে ডিউটি করতে হচ্ছে। প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা বাসেই কেটে যাচ্ছে। বাসা আজ ও খুজেছিলাম কিন্তু ব্যাচেলরদের না কি বাসা ভাড়া দেয়া যাবে না। কি একটা সময় কাটাচ্ছি তা বলে বুঝাতে পারবো না। এখনও বাসায় যেতে পানি নি ৭.৩০ বাজে প্রায়। পুরো রাস্তায় জ্যাম। মনে হয় ২০ মিনিট থেকে গাডির চাকা ঘুরে নি। তাই বাসে বসেই লেখা শুরু করলাম।
ভালো খারাপ মিলেই জীবন চলছে। আজ অনেক কিছু শিখেছি এবং সব বিষয় গুলো বুঝার চেস্টা করেছি। সব মিলে দারুন সময় কেটেছে আজ। তবে আজ আমি অনেক ক্লান্ত। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, ধন্যবাদ সবাই কে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: চাকরিতে প্রথম দিনের অনুভূতি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ভাইয়া আপনি নতুন চাকরিতে যোগদান করেছেন এজন্য আপনাকে প্রথমেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। নতুন চাকরিতে জয়েন করে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তবে ব্যাচেলরদের জন্য বাসা খুঁজে পাওয়া সত্যি অনেক কঠিন ব্যাপার। এখন একটা ভাবি দরকার ভাইয়া।🤭
আপনার চাকরির প্রথম দিনের অনুভূতিটা শুনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ঢাকা শহরে এটা একটা বড় সমস্যা বাসের মধ্যেই দিনের বেশিরভাগ সময়ই শেষ হয়ে যায়। ব্যাচেলরদের জন্য যখন বাড়ি ভাড়া দেবে না তাহলে একটা বিয়ে করে ফেলুন আমরাও একটা দাওয়াত খেতে পারব।
ইস্ আমার যদি একটা বাড়ী থাকতো তাহলে আপনাকে এমনিতেই থাকতে দিতাম। কি কষ্টটাই না হচেছ ভাইয়া আপনার।তবে প্রথম দিনে মনে হচ্ছে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আস্তে আস্তে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। তবে কষ্ট হলো যাতাযাত ব্যবস্থা। সেটাও ঠিক হয়ে যাবে এক সময়ে।
এতো দূর থেকে অফিসে আসা যাওয়া করতে আসলেই খুব কষ্ট হয়। আমার মনে হয় পূর্বাচল নীলা মার্কেট কিংবা ভুলতা গাউসিয়ার দিকে বাসা পেতে পারেন। আশা করি বিভিন্ন প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ঠিকমতো চেক করতে পারবেন খুব শীঘ্রই এবং এই সেক্টরে অনেক উন্নতি করতে পারবেন। যাইহোক চাকরিতে প্রথম দিনের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রথমেই নতুন চাকরির জন্য অভিনন্দন। ভাইয়া আপনার চাকরির প্রথম দিনের অনুভূতি এক কথায় অসাধারন ছিলো জেনে সত্যি ভীষণ খুশি হলাম। নারায়ণগঞ্জের রাস্তার খুব বাজে অবস্থা জানি না এখন কেমন হয়েছে। প্রায় অনেক দিন থেকে যাওয়া হয়নি। বাসা খুঁজতে থাকেন পেয়ে যাবেন। সব থেকে ভালো হয় বাসা নিয়ে আপনার আশে পাশের কলিক দের সাথে কথা বলুন। তাহলে হয় তো বাসা তাড়াতাড়ি খুঁজে পেতে পারেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। দোয়া রইল আপনার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
চাকরিতে প্রথম দিনের অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের কর্মজীবনের শুরু করলে আজকে ছোট ভাই হিসেবে অনেক দোয়া রইল তোমার জন্য। অনেক দূর এগিয়ে যাবে আমি বিশ্বাস রাখি। অনেক শুভকামনা রইল তোমার জন্য।
প্রথমেই চাকরিতে জয়েন করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আসলে ভাইয়া প্রথম চাকরির অনুভূতি সত্যি অন্য রকম। তবে যাতায়াতে দেখছি বেশ ঝামেলা। সত্যি ব্যাচেলরদের বর্তমান ভাড়া পেতে অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যাইহোক ভাইয়া কিছুদিন কষ্ট করেন তারপরে অবশ্যই ভালো বাসা পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাকরিতে প্রথম দিনের অনুভূতি শুনে বেশ ভালোই লাগলো। অনেক অভিনন্দন জানাই ভাইয়া আপনাকে।এটা ঠিক ঢাকার বাইরে কোন জ্যাম নেই।ঢাকার ভেতর এলেই জ্যাম।আর কেউ চায় না ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দিতে।ভাইয়া আপনি তো বিয়ে করার জন্য পাগল তাই না।আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগান।মাকে বলেন ব্যাচেলর তো ভাড়া দিচ্ছে না।যাওয়া আসায় সমস্যা। দেখবেন এ কথায় এবার কাজ হয়ে যাবে। 🫣
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া। আপনার প্রথম জীবনের টেক্সটাইলের চাকরির অনুভূতিটা খুবই ভালো লেগেছে। তবে ঢাকা শহরেই ব্যাচেলর বাসা পাওয়া খুবই কষ্টকর। এই সুযোগে যদি টুম্পাকে বিয়ে করা যায় তাহলে খুবই ভালো হয় হা হা হা। আর বাসা নিতে সমস্যা হবেনা। আর যাতায়াতের জন্য অনেক সমস্যা। জার্নিতে সময়টা খুব বেশি ব্যয় হয়ে যায়। আশা করি আপনি অফিসিয়াল সব সমস্যা কাটিয়ে ভালোভাবে দিন যাপন করবেন।
তোমার নতুন কর্মময় জীবন অনেক সুখময় হোক, আনন্দদায়ক হোক,এটাই প্রত্যাশা করি কারণ যে কাজে ভালোবাসা থাকে না আনন্দ থাকে না।সে কাজে মজাও থাকে না।আমি দোয়া করছি তুমি সততা অনুষ্ঠার সাথে ভালবেসে কাজটি মন দিয়ে করবে।এবং আমার বিশ্বাস তুমি অনেক ভালো পারবে।আর খুব সুন্দর একটা বাসা পাবে এটাও আমি বিশ্বাস করি।অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য♥♥