টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমন ( ১ম পর্ব)

আপেক্ষিকতার সূত্র থেকে আমরা জানতে পারি কোন বস্তু যদি লাইটের গতির কাছাকাছি অবস্থানে যেতে পারে সেখানে সময় অনেক কম কাজ করবে। গতকাল হ্যাংআউটে দাদা একটি কথা বলেছিলেন। আসলে সময় কি ভাবে অতিবাহিত হয়? সময় কিন্তু সব জায়গায় একই ভাবে অতিবাহিত হয় না। যার ভর বেশি সেখানে দেখবেন সময় অনেক স্লো চলছে। বিষয়টি বুঝার জন্য আমি এ পৃথিবীতে থাকা একটি বস্তুর সাথে তুলনা করবো। আমরা সকলেই মিশরের পিরামিড কে চিনি এবং এই পিরামিড সম্পর্কে অনেক ধরনের কথাবার্তা শুনেছি। কিন্তু যখন পিরামিডের পাশে থাকবেন তখনই আপনি সেখান থেকে দূরে মানুষগুলোকে দেখবেন তারা অনেক ফাস্ট চলাচল করছে কিন্তু আসলে তারা ফাস্ট চলাচল করছে না। তারা স্বাভাবিক অবস্থানে হাঁটাহাঁটি করছে যেহেতু পিরামিডের ভর অনেক বেশি তাই আপনার এখানে সময় কিছু মিলিসেকেন্ড হলেও কম কাজ করছে।

যেহেতু আমাদের এই প্লাটফর্মে কপিরাইট ইমেজ দেওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোকে ছবি সহকারে আমি দেখাতে পারছি না। আপনারা যারা এসব বিষয়ে আগ্রহী তারা গুগলের সার্চ করলেই এসব অসংখ্য ছবি দেখতে পারবেন। এখান থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্ল্যাক হোল থিওরী। যদি কোন স্পেসশিপ ব্ল্যাকহোলকে ১ বছর পরিক্রমন করে এবং ১ বছর পর যদি তারা পৃথিবীতে ফিরে আসে তাহলে দেখবে পৃথিবীর প্রায় ১০০ বছর সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু স্পেসশিপে থাকা মানুষজনের খুব অল্প সময় অতিবাহিত হয়েছে অর্থাৎ সময় তাদের জন্য প্রায় থেমে গিয়েছিল। এই বিষয়টা আপেক্ষিকতার সূত্র থেকে আমরা জানতে পারি এবং অনেকেই বিষয়টি বিশ্বাস করেন এবং আমিও মোটামুটি বিশ্বাস করি।

আমরা সকলে জানি আলোর গতি প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার পার সেকেন্ড। এই গতিতে কোন স্পেসশিপের যাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে এটা থিউরি হিসেবে রয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে যখন আমরা এই লাইটের স্পিডের ১০% ও অতিক্রম করতে পারি তখন এই বিষয়গুলো প্রমাণিত করা সম্ভব হবে। মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ধরনের পোষ্ট দেখা যায় এবং অনেক ধরনের ব্যক্তিরা এটা স্বীকার করেন তারা ভবিষ্যতে থেকে এসেছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত প্রমাণ আমরা এখনো বের করতে পারেনি। আসলে কি টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব এবং যদিও সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র ভবিষ্যতে হয়তো টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব হবে কারণ অতীতে যাওয়ার তেমন কোনো থিউরি আমি দেখতে পাচ্ছি না, যেগুলো রয়েছে তাদের বেশির ভাগেই হচ্ছে কাল্পনিক এবং অবাস্তব।

যারা মহাবিশ্ব নিয়ে মোটামুটি ধারণা রাখে তারাই বলতে পারবে এই পৃথিবীটা কত সামান্য একটু জায়গা নিয়ে অবস্থিত। এর বাইরে কিন্তু বিশাল বড় একটি জগত রয়েছে, যার অধিকাংশ তথ্যই আমরা সঠিকভাবে জানিনা। কিছু মাস আগে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এর উৎক্ষেপন করা হয়েছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি। তার মধ্যে একটি ছবি খুবই রহস্য জনক। ওইটা প্রায় ১৩.৪ বিলিয়ন বছর আগের ছবি. এই ছবি থেকে আমাদের বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন ব্লাক বিগ ব্যাং থিওরি টি হয়তো ভুল। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় বিগ ব্যাং থিওরি টা ভুল নয় হয়তো বিজ্ঞানীরর কোন ক্যালকুলেশনে ভুল রয়েছে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি সমাধান আসে।

এই বিষয়ে বিস্তারিত যদি পোস্ট চান সেক্ষেত্রে কমেন্টে উল্লেখ করতে পারেন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত একটি পোস্ট করবো। চলে আসি আমাদের মূল টপিকে। আসলে কি টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব!! টাইম ট্রাভেলের এর অনেকগুলো থিউরি রয়েছে তার মধ্যে একটি ছবি আজকে আপনাদের সামনে সাথে আলোচনা করলা। ওয়ার্ম হোল থিওরী টি ও কিন্তু অনেক জনপ্রিয়। পরবর্তী পোস্টে এ বিষয়ে কথা বলবো। আজকের মত এ পর্যন্তই ধন্যবাদ সকলকে।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমন ( ১ম পর্ব)

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......