লোডশেডিং এর ভয়াবহতা

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago
লোডশেডিং এর ভয়াবহতা

volcano-8635244_1920.jpg

Source

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। তবে আমি বুঝতে পারতেছি সবার এই অবস্থা অনেকটাই করুন, কারণ মাত্রা অতিরিক্ত গরমের কারণে সবার এই অবস্থা খারাপ যাচ্ছে। এই গরমের জন্য কোন না কোন ভাবে আমরাই কিন্তু দায়ী। আজ আমার নিজের অনুভূতিগুলোই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।

thermometer-4294021_1920.jpg

Source

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই শ্রমজীবী কিংবা চাকরিজীবী অর্থাৎ সকালবেলা উঠেই তাদের বিভিন্ন কাজে বেরোতে হয়। কিন্তু এর মত অবস্থায় যদি রাতের বেলা বারবার একটা বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে তাহলে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না, ঠিক এমন অবশ্যই হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। শুধুমাত্র গতকাল রাতের কথা বলবো না বরংচও গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এরকমটা চলছে।

গতকালের ঘটনাটি আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি। গতকাল রাতে রবিবারের আড্ডা শেষে বেশ কিছু কাজ ছিল, সেগুলো করলাম। এছাড়াও আজ বাসায় যাবো জন্য কাল রাতেই ব্যাগ গুছিয়ে ছিলাম। সব মিলিয়ে রাত একটা বেজে গিয়েছিল। পরবর্তীতে অনেক ঘুম লাগছিল ভাবলাম এবার একটু ঘুমাবো। কিন্তু সেই ঘুম আর কিভাবে হল ঠিক রাত একটার পরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আমি বারান্দায় এসে বসে তো রইলাম। আমার বাসা পাঁচতলার উপরে তাই উপরের দিকে একটু বাতাস আসে। কিন্তু নিচের দিকে যারা থাকে তাদের অবস্থা আরো ভয়াবহ ছিল।

মজার বিষয় হচ্ছে ১৫ মিনিট পরে কিন্তু বিদ্যুৎ চলে আসলো। আমিও আবার রুমে গিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সবকিছু বন্ধ করে যখন ঘুমাতে যাব ঠিক তখনই আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। কি আর করার সেভাবে শুয়ে থাকলাম। প্রচন্ড ঘুম লাগছিল বেশি কিছুক্ষণ বিছানায় থাকার পরে কোনভাবেই আর ঘুম আসছিল না মাত্র অতিরিক্ত গরম লাগছিল। তাই আবারও দরজা খুলে বারান্দায় বসে রইলাম। তখন বাজে আনুমানিক রাত দুইটা। আমিও বারান্দায় বসে রইলাম বারান্দায় ভালোই বাতাস ছিল। কিন্তু নিচের দিকে যেসব বাসা ছিল যারা আর টিনের বাসায় থাকে তাদের অবস্থা ভয়াবহ ছিল। একটু পরেই শুনলাম একটা বাচ্চা খুব জোরে জোরে কান্না করছে। তার মা-বাবা তাকে নিয়ে বাইরে হাঁটতে বের হয়েছে সেই রাত 2 টার সময়।

warming-2370285_1920.jpg

Source

আমার বাসার বারান্দা থেকে সেসব দৃশ্যগুলোই দেখা যাচ্ছিল। পরবর্তীতে প্রত্যেকটি মানুষ তার রুম থেকে বের হয়ে বাইরে এসে বসে রইলো। রাত ২ টা পার হয়েছে তবে পরিবেশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এইমাত্র সন্ধ্যা হলো সবাই এখনো রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছে। সেই বিদ্যুৎ এসেছিল ঠিক রাত ৩ টা ২৫ মিনিটে। সারাদিনেই কম বেশি কিন্তু বিদ্যুৎ থাকে না তারপরও রাতের বেলায় এরকম অবস্থা হলে আসলেই সাধারণ মানুষেরা অনেকটাই ভোগান্তির মধ্যে পরে।

দিনের বেলা দুই ঘন্টা কারেন্ট থাকলে এক ঘন্টা কারেন্ট থাকে না, এরকম একটা অবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশের সব জায়গায় প্রায় একই অবস্থা তবে নীলফামারীতে নাকি অনেক কম কারেন্ট যায় এই দিকে তুলনায়। তাই ভাবছিলাম নীলফামারী থেকে কিছুদিন ঘুরে আসবো। যেহেতু আমার ভার্সিটি ও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে, তাই এটাই আমার সবথেকে ভালো মনে হয়েছে। এছাড়াও নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারবো জন্য অনেক ভালো লাগছে। এই গরমে আর সত্যিই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

লোডশেডিং এর ভয়াবহতা এর আগেও কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিকরা দেখেছেন। এবারও ঠিক তেমনটাই হতে যাচ্ছে। আগে তো এমন একটা বিষয় ছিল কোন এলাকায় কয় ঘন্টা কারেন্ট থাকবে না সেই লিস্ট দিয়ে দিয়েছিল। যদিও এখনো সেই লিস্ট প্রদান করা হয়নি তবে কারেন্ট কিন্তু এতটাই সমস্যা করছে যার কারণে কোন কাজই সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। এই গরমে আপনাদের কি অবস্থা? এছাড়াও আপনাদের এলাকায় লোডশেডিং কেমন চলছে। সেই বিষয়গুলো ছোট্ট করে কমেন্টে লিখতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2021-06-28_11-13-39.jpg

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: লোডশেডিং এর ভয়াবহতা

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......

Sort:  
 2 months ago 

ভাইয়া নীলফামিতে এই গরমে আরামে থাকবেন।বিশেষ করে রাতে। ঢাকায় দিনরাতে যে সমান গরম উত্তরের জেলা গুলোতে দিনে গরম হলেও রাতে সহনীয়-আরামদায়ক। আমি গত ২৪ তারিখে ঢাকায় এসেছি। এসে আপসোস করছি আর কয়েকদিন কেন থেকে আসলামনা!! পেপার পত্রিকায় দেখছি বিদ্যুৎ উৎপাদন সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাচ্ছে কিন্ত লোডশেডিংতো সর্বত্র! এত এত বিদ্যুৎ কই যায়!! লেখাটি সময়োপযোগি। বেশ ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

ঢাকায় আসতাম না যদি না পরিক্ষা থাকতো, এখন পরিক্ষা শেষ তাই বাসা থেকে ঘুরে আসি।

 2 months ago 

ভাইয়া,আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে কারেন্ট এলো,তাও ২ ঘন্টা পর। আমাদের এদিকে তো না দিলেই মনে হয় তারা খুশি।কারেন্ট এর কথা কি আর বলবো, তাদের যেন দাওয়াত দিয়েও পাওয়া যাবে না।নীলফামারীতে তাহলে আমরাও যেতে হবে, যেহেতু সেখানে কারেন্ট আছে। আর আপনি বারান্দা আর রুমে এভাবে যে দিন কাটাচ্ছেন পরে যদি এই অভ্যাসটা হয় কপালে বিপদ আছে,আমার আপু আবার বকা দিয়ে বের করে না দেয় পরে🤭। যাইহোক দেশের অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে কোথাও শান্তি নেই, কবে যে এর থেকে রেহাই পাব।

 2 months ago 

আরে না, গড়ম লাগলে রুমে থাকা যায় না। আগে আপনার আপু আসুক তারপরে দেখা যাবে।

 2 months ago 

ভাই, আমাদের এদিকেও কারেন্ট খুব একটা যায় না বলে খুব স্বস্তিতে ছিলাম। আর সবাইকে গল্প করে বলতাম, আমাদের এদিকে খুব একটা কারেন্ট যায় না। তবে প্রশংসা করতে গিয়ে বোধহয় ভুল করে ফেললাম, কেননা আজ দিনে তিনবার কারেন্ট চলে গিয়েছিল। তবে খুব বেশি সময় নেয়নি আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এসেছিল। তবে অন্যান্য জায়গা থেকে আমাদের কুড়িগ্রাম শহরের পৌরসভার কারেন্ট ব্যবহার করে খুব শান্তি পাওয়া যায়। তবে আপনার গতকাল রাতের ঘটনাটি শুনে খুব খারাপ লাগলো। কেননা এত তীব্র গরমে যদি কারেন্ট না থাকে তাহলে কোনভাবেই ঘুম আসতো দূরে থাক, বিছানায় শুয়ে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। যাইহোক ভাই, গরমের এই কঠিন অবস্থা থেকে সবাই মুক্তি পাক এই প্রত্যাশা করছি।

 2 months ago 

তাই আজ নীলফামারী চলে এলাম।

 2 months ago 

গ্রামের মানুষেরা আমি মনে করি সবচেয়ে বেশি গরম সহ্য করতে পারে। কারণ তারা গরমের মধ্যেও ঘুমাতে পারে আমি দেখলাম। কেন পারবে না? তবে গ্রামের জায়গাগুলো খোলামেলা তাই বিদ্যুৎ চলে গেলেও তেমন গরম অনুভব হয় না রাতের বেলায় একটু ঠান্ডা অনুভব করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শহরের মানুষ রাত্রিবেলায় ঘুমাতে পারে না বিদ্যুৎ চলে গেলে। আর বিল্ডিং এর মধ্যে অনেক বেশি গরম মনে হয় রাতের বেলায়। আপনি তো তাহলে রাত্রি বেলায় গরমের বেশি সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলেন। আর ঠিক মতো ঘুমাতে না পারলে সারাদিনের কাজ কর্মের মধ্যে অনেক ব্যাঘাত ঘটে যায়।

 2 months ago 

সেটাই, দেখি কিছু দিন বাসায় থাকবো।

 2 months ago 

সত্যি বলতে ভাই আপনাদের অবস্থা টা চিন্তা করলে আমার মনে হচ্ছে আমি স্বর্গে আছি। আমাদের এলাকায় কারেন্ট একেবারে যায় না বললেই চলে। অনেকদিন পর আজ দিনের বেলা গিয়ে ঘন্টাখানেক ছিল। এছাড়া খুব একটা যায় না। কিন্তু আপনাদের অবস্থা দেখছি খুবই খারাপ এই গরমে এই রকম লোডশেডিং হলে ঘুমের একেবারে বারোটা বেজে যায়। সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 2 months ago 

আমাদের নীলফামারীতে ও কারেন্ট কম যায়, তাই তো বাসায় আসলাম।

 2 months ago 

ভাই আমাদের এখানে তো কারেন্ট খুব কম যায়। প্রতিদিন ২/১ বার যায় ৩০ মিনিট কিংবা ১ ঘন্টার জন্য। সেটাও বেশিরভাগ দিনের বেলা। আমি তো সন্ধ্যা থেকে এসি অন করে রাখি এবং সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এসি বন্ধ করি। আমাদের এখানে আগে থেকেই সবসময় কারেন্ট কম যায়। যাইহোক রাতের বেলা কারেন্ট গেলে আসলেই বিরক্ত লাগে। সারাদিন কাজ করে মানুষজন যদি রাতের বেলা একটু ঘুমাতে না পারে,তাহলে তো অসুস্থ হয়ে যাবে। কাল রাতে তো তাহলে বেশ কষ্ট করেছেন ভাই। যাইহোক নীলফামারিতে গিয়ে কয়েকটা দিন তাহলে বেশ ভালোভাবেই কাটাতে পারবেন।

 2 months ago 

কিছুদিন আগেও এমন হত না, তবে কয়েকদিন থেকে এমন হচ্ছে।

 2 months ago 

আমাদের এখানে রাত দিন ২৪ ঘন্টাই একটু পর পর কারেন্ট চলে যাচ্ছে। এইটার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। এই আসছে এই আবার চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কিছুটা আরামে আছি বলতে গেলে। আমাদের ঘরে আইপিএস থাকায় কারেন্ট না থাকলেও কোনো সমস্যা হয়না। তবে এই গরমে ফ্যান দিয়ে কোনো কাজই হচ্ছে না , মনে হয় ফ্যান থেকে উল্টা আগুন নিচে পড়ছে।

 2 months ago 

সব জায়গায় একই অবস্থা আপু, অসহনিয় গড়ম।

 2 months ago 

যতই দিন যাচ্ছে ততই বেশি লোড শোডিং এর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে শহরের থেকে গ্ৰামের মধ্যে লোড শোডিং এর চাপ অনেকটাই বেশি। আপনি গতকাল বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছিলেন। আসলে লোড শোডিং এর কারণে বেশিরভাগ মানুষের ঘুমের অনেক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যারা টিন শেডের বাসায় থাকে, তাদের ঘুম আকাশে উঠে গেছে।

 2 months ago 

আমাদের বাসা মেইন শহরেই অবস্থিত, কারেন্ট অনেক কম যায়, এখন দেখি কি হয়।

 2 months ago 

সত্যি ই ভাইয়া এই গরমে এতোবার বিদ্যুৎ চলে গেলে সবারই কষ্ট হয়।আর সারাদিন যেমন তেমন রাতে মানুষ একটু ঘুমাবে তখনও যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তখন কষ্টের আর শেষ থাকেনা।তবে আমাদের ধানমন্ডিতে তেমন একটা বিদ্যুৎ এখনো যায়নি।গেলেও ২/৩ মিনিট।এরপর চলে আসে।আপনাদের বাড়িতে যেহেতু বিদ্যুৎ এতো যায় না।তাই বাড়িতে চলে গিয়ে ভালো ই করবেন।দেশের মানুষ এই গরমে শান্তিতে নেই।তার উপর বিদ্যুৎ খুব বেশী প্যারা দিলে সাধারন মানুষের খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয়।

 2 months ago 

কারেন্ট না গেলে তো ভালোই, তবে যা গড়ম পরেছে, সবারই অবস্থা খারাপ।

 2 months ago 

রাত ৩ টা ২৫ মিনিটে কারেন্ট আসলে মানুষ ঘুমাবে কি করে। আসলে বর্তমানে এমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ছোট থেকে বড় সবাই এই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। বাসায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছেন ভাইয়া। পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটুক এই প্রত্যাশা করি।

 2 months ago 

বাসায় আসার পরে মাত্র ২০ মি এর জন্য কারেন্ট গিয়েছিলো, এদিক থেকে একটু শান্তিতে আছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.11
JST 0.029
BTC 66255.12
ETH 3564.10
USDT 1.00
SBD 3.15