ছোটগল্প || অপরিপূর্ণ ভালোবাসা (৪র্থ পর্ব) 💖 || [10% ʙᴇɴᴇғɪᴄɪᴀʀɪᴇs ғᴏʀ @sʜʏ-ғᴏx🦊]

_{আমি কোন কবি বা সাহিত্যিক নই, তবে আমি একজন পাঠক। সেই পাঠকের দৃষ্টিকোণ থেকেই আমি একটি ছোট্ট গল্প লেখার চেষ্টা করছি। আশা করি এই ৪র্থ পর্ব টি আপনাদের ভালো লাগবে।}

চিঠি টি খুলে ফাহিম পড়তে শুরু করল, ভাইয়া আমি অনেক কিছুই বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আসলে সরাসরি কোন কথাই ঠিক মত বলতে পারি না এবং আপনার ফোন নম্বর আমার কাছে ছিল না যার কারণে চিঠি লিখতে বাধ্য হলাম। আমি আগে কখনোই কারো জন্য চিঠি লিখি নি। আমাদের স্যার প্রথমে বলেছিলেন দুই-তিনজন ভাইয়ের কথা কিন্তু সত্যি কথা বলতে প্রথম যেদিন আপনাকে আমি ক্লাসে দেখেছিলাম সেদিনই আমার অনেক ভালো লেগেছে কিন্তু কিভাবে যে আপনার সাথে কথা বলব সেটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বেশ কিছুদিন ধরে ক্যান্টিন আপনাকে দেখছিলাম তাই নোটগুলো শুধুমাত্র বাহানা ছিলো আপনার সাথে কথা বলার জন্য। নিম্নে আমি আমার মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিলাম আপনি চাইলে আমাকে ফোন করতে পারেন।

চিঠিটি পড়ে ফাহিম মনে হয় আত্মহারা হয়ে গেল, ফাহিমের অস্থিরতা নিমিষেই কেটে গেল। এদিকে অনামিকা বলেছে দেখছিস যা করেছি তোদের জন্যই করেছি এবং সে যদি ভালো না বাসতাম তাহলে তোকে চিঠি লিখতো না। এভাবেই কথা হতে থাকলেও, এখন অনামিকা বলে উঠল আমরা ট্রিট চাই আর বেশি কিছু না বলে তাদেরকে নিয়ে ক্যান্টিনে গেল এবং ট্রিট দিলো। ভার্সিটি ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরল ফাহিম। যতবার চিঠিটি পড়ে ততবার ফাহিমের ভালোলাগা কাজ করতে শুরু করে। অনেক বার ফোনের মধ্যে নাম্বার গুলো নিয়ে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়। শেষে একটি মেসেজ দিলো, আমি ফাহিম বলছি, তোমাকে কি ফোন দিতে পারি? মেসেজের রিপ্লাই আসলো অবশ্যই পারেন। এভাবে তাদের কথাবার্তা শুরু হয়।

এভাবেই কয়েক মাস কেটে গেল এবং তাদের প্রেম গভীর থেকে গভীরতর হয়ে গেল। এরই মধ্যে ফাহিমের লাস্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা চলে আসলো পরীক্ষা দিয়ে ফাহিম বেরিয়ে গেল। এখন তিশার সাথে ফাহিমের খুব একটা দেখা হয় না কিন্তু প্রতিনিয়ত তাদের ফোনে কথা হয়। এইদিকে ফাহিমের চাকরি হয়ে গেছে। এখন তিশাকে বিয়ে করতে চায়। তিশার বাসায় প্রস্তাব নিয়ে যায় ফাহিমের পরিবার। যথারীতি তাদের পরিবারের বিয়ে ঠিক হয় এবং কিছুদিন পরেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়। মূল ঘটনা এখান থেকেই শুরু।

ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পূর্বে তিশার পুরনো প্রেমিক ছিল। যদিও তাদের ব্রেকআপ ভার্সিটিতে ভর্তির আগেই হয়ে গিয়েছে। তাই সেই সম্পর্কে ফাহিম কখনো জানার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। শুধুমাত্র জানতো তার একটি পূর্ব প্রেমিক ছিল যার সাথে সে এখন কথা বলেনা।। ফাহিম এবং তিশার পরিবার যেন এক টুকরো জান্নাত। তাদের পরিবারে কখনোই ঝগড়া হয়নি এবং সব সময় একে অপরকে ভালবাসতো, একে অপরকে শ্রদ্ধা করত এবং একে অপরের কাজে সাহায্য করতে। দুই বছর হয়ে গেল বিয়ে করার কিন্তু এখন পর্যন্ত ফাহিম দেখিনি তিশা অন্য কারো সাথে ফোনে কথা বলছে বা কোন ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। অতঃপর দুই বছর পরে তাদের একটি মেয়ে সন্তান হলে তা নিয়ে তারা আরো খুশি হয়ে গেল।

_{Image Source}

একদিন ফাহিম এবং তিশা তাদের কন্যা সন্তানের নাম কি রাখবে এই নিয়ে ঝগড়া চলছিলো। আসলে সেটা ঝগরা বললে চলবে না, এটা হচ্ছে ভালোবাসার ঝগড়া দুই জনে শয়তানি করছিলাম। এমন সময় তিশার ফোন বেজে উঠল, ফোনের নাম লেখা ছিলো আরিফিন। ফাহিম আগে থেকেই জানতো তার পুরোনো প্রেমিকের নাম আরিফিন। তিশা সাথে সাথে ফোনটি নিয়ে বারান্দায় চলে গেল। প্রায় ৩০ মিনিট পরে বারান্দা থেকে ফিরে এসে কিছু না বলেই আমার পাশ ফিরে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলো। ফাহিম চিন্তাভাবনা করল কি হয়েছে!! কালকে তার কাছ থেকে শুনব। এই বলে ঘুমতে গেল কিন্ত ফাহিমের ঘুম আসছে কই!! এই সাজানো গোছানো সংসারে কারো নজর লাগলো না তো!!!

চলবে..........

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ছোটগল্প || অপরিপূর্ণ ভালোবাসা (৪র্থ পর্ব) 💖

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......