জানা অজানা মহাবিশ্বে কিছু তথ্য

আমাদের পৃথিবী এমন একটি গ্রহ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মহাবিশ্বের এখন পর্যন্ত অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি এটা আমরা সবাই জানি। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের আন্নন অবজেক্ট দেখা যায় যাকে আমরা সংক্ষেপে ইউ এফ ও বলে থাকি।

এলিয়েন নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই অনেক সময় অনেক ধরনের তথ্য পাওয়া যায় কিন্তু যে সকল আশ্চর্যজনক তথ্য পাওয়া গেছে প্রায় সবগুলোই পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এরিয়া ফিফটি ওয়ান নিয়ে অনেকেই অনেক কথা শুনেছেন তবে সেখানে আসলে কি করা হয় কোন বিষয়ের উপর গবেষণা করা হয় তারা এখনো সাধারন মানুষের কাছ থেকে তা গোপন করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন সেখানেই এলিয়েন নিয়ে গবেষনা করা হয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টা বিশ্বাস করিনা। হয়তো বা আমেরিকা কিছু লুকিয়ে অন্য কোন জন্য কাজ করছে।

এলিয়েন মানেই যে খুব বড় কোন প্রাণী বা মানুষের মতো প্রাণী হবে এমন ভাবাটা ও অনেকের ভুল হতে পারে। কারণ অন্যান্য গ্রহে একটি ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়াও আমাদের জন্য এলেন হিসেবে বিবেচিত হবে। আচ্ছা একটি বিষয় কি আপনারা চিন্তা করে দেখেছেন পৃথিবীতে যতগুলো প্রাণী রয়েছে সবাই কিন্তু পৃথিবীর আবহাওয়া অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্যাপাবিলিটি রয়েছে। কিন্তু আমাদের মানুষের সে ক্যাপাবলিটি খুব একটা বেশি দেখা যায় না। যেখানে গরম সেখানকার প্রাণীগুলোর দেখবেন সেই জায়গার সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে আবার যেখানে ঠান্ডা সেখানে দেখবেন বড় বড় ভাল্লুক বসবাস করে। তবে কেন মানুষদের গরমের সময় ফ্যান এবং ঠান্ডার সময় গরম কাপড় পরতে হয় বিষয়টা কি একটু ভেবে দেখেছেন।

আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা মানুষেরাই এলিয়েন!!! কেন বললাম এ বিষয়গুলোতে অনেকগুলো থিউরি রয়েছে সেগুলো নিয়ে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। এই বিষয়ে যদি আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মধ্যে জানাবেন আমি বিষয়টি পরবর্তী এক্সপ্লেনেশন করব। যাই হোক আজ আরেকটি নতুন বিষয়টি আপনাদের কথা বলব। আমরা সকলেই জানি মহাবিশ্বে আলো সবচেয়ে দ্রুতগামী বস্তু সেকেন্ডে প্রায় 3 লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারেন কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন এই আলোর গতিতে যদি আমরা ছুটে চলে যাই তারপরও এই মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব একটি বিষয়।

আলোর গতিতে যদি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা যায় তাহলে প্রতি সেকেন্ডে আলোর পৃথিবীকে ৭.৫ বার প্রদক্ষিণ করা যাবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব আলোর দিকে যেতে সময় লাগে মাত্র 1.5 সেকেন্ড এবং মঙ্গলের কাছে যেতে লাগে প্রায় সাত মিনিটের মতো এবং আমাদের কাছের যে অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি রয়েছে সেখানে পর্যন্ত আলো যেতে সময় লাগবে প্রায় ২৫০ কোটি বছর।

তাহলে একবার কল্পনা করে দেখুন আমরা যদি আলোর গতি তো ও আজকে ট্রাভেল করি তারপরও হয়তো আমাদের এই মহাবিশ্বের শেষ পর্যন্ত যেতে কোটি কোটি বছর সময় লেগে যাবে তারপরও আমরা মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে যেতে পারব না। আরও একটি কারণ রয়েছে মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে অর্থাৎ তাদের জায়গা গুলো থেকে সরে যাচ্ছে। একটি গ্যালাক্সি অন্য গ্যালাক্সি সরে যাচ্ছে।

_{Image Source}

আপনারা কি জানেন ইউনিভার্স এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত? -২৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ইউনিভার্স এর গড় তাপমাত্রা -২৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর কারনেই স্পেস সুট গুলো এতো দামি হয়। রেডিয়েশন থেকে মোকাবেলা করতে হয়, এত ঠান্ডার মধ্যে অক্সিজেন সাপ্লাই করতে হয় আরো বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যার কারণে স্পেসস সুট এত দামি হয়।

আজকে পোস্টের মধ্যে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই তথ্যগুলো আপনাদের ভালো লাগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি সবাইকে ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: জানা-অজানা মহাবিশ্বের কিছু তথ্য

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......