নতুন ইতিহাস গড়লো ভারত || চন্দ্রযান ৩

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আজকে মোটামুটি ভালো আছি। আজ আমি ভারতের চন্দ্রযান ৩ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনারা ইতিমধ্যে অনেকেই জেনে থাকবেন গতকাল সন্ধ্যার সময় চন্দ্রযান তিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সাকসেসফুল ল্যান্ড করতে পেরেছে।

এটি আমাদের জন্য সকলের জন্য একটি গৌরবের বিষয় কারণ আজ পর্যন্ত চাঁদের অপর পৃষ্ঠে কোন দেশ সাকসেসফুলি ল্যান্ড করতে পারেনি। কিছুদিন আগে রাশিয়ারও একটি চন্দ্রজান সেখানে গিয়ে ক্রাশ করেছে কিন্তু ভারত যেখানে সাফল্যের সাথে ল্যান্ডিং করে ফেলেছে। তাই সকলকে জানাই অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। ইসরো পৃথিবীর একমাত্র স্পেস এজেন্সি যারা খুব কম টাকায় মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে পারে এবং এই খরচটা অনেকটাই কম। যেখানে বঙ্গবন্ধু এক স্যাটেলাইট পাঠাতে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার লেগেছে সেখানে এই চন্দ্রযান তিন মিশন টি কমপ্লিট করতে মোটামুটি ৮০০ কোটি টাকা লেগেছে।

আমাদের স্যাটেলাইট পৃথিবীতে অরবিট করবে কিন্তু ভারতের চন্দ্রযান চাঁদে গিয়ে সফল ল্যান্ড করতে পেরেছে। যদিও এই মিশন টা অনেকটাই কমপ্লিকেটেড ছিল।আপনারা অনেকেই মনে করতে পারবেন চাঁদে যেতে তো খুব বেশি একটা সময় লাগে না কিন্তু চন্দ্রযান তিন চাঁদে যেতে প্রায় সময় লেগেছে ৪০ দিনের মতো। আমরা সকলেই জানি অ্যাপোলো ইলেভেনের কথা। তিনজন মহাকাশচারী নিয়ে অ্যাপোলো ইলেভেন চাঁদের বুকে পাড়ি দিয়েছিল মাত্র ৪ দিনে কিন্তু সে ক্ষেত্রে ভারতের প্রায় ১০ গুন সময় লেগেছে! এটা কেন হয়েছে এবং কি কারনে হয়েছে। সেই বিষয়টি একটু পরেই আমি বিশ্লেষণ করছি।

অন্যান্য স্পেস এজেন্সিগুলো মূলত সরাসরি চাঁদের বুগে চলে যায় কিন্তু চন্দ্রযান তিনের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অনেকটাই ভিন্ন ছিল। মূলত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকবার বুষ্টিং ফায়ার করে তাদের ফায়ার বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম খরচে চাঁদে যাওয়া যায়।

Source

প্রথমে স্যাটেলাইট টি একটি রকেট এর মাধ্যমে পৃথিবীর অরবিটালের মধ্যে স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে একটি চক্কর দেওয়ার পরে তাকে আবারও বুস্টিং করা হয়। এভাবে করে তার গতি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে এবং পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি কে কাজে লাগিয়ে প্রতিবার বুস্টিংয়ের পরে নতুন একটি অরবিটালে সেই রকেটটি স্থাপন হয়। এভাবে করতে করতে ফাইনালে স্টেজে একটি বড় বুস্টিং এর মাধ্যমে পৃথিবীর গ্রাভিটি থেকে বেরিয়ে চাঁদের গ্রাভিটি চলে যায় এই চন্দ্রযান তিন।

কিন্তু অন্যান্য স্পেস এজেন্সিগুলো এই বিষয়টি করে না তারা সরাসরি বেশি ফিউল ব্যবহার করে তাদের স্যাটেলাইট কে চাঁদের বুকে পাড়ি দেওয়ায়। অন্যান্য এক্সপ্রেস এজেন্সি তুলনায় ভারতের স্পেস এজেন্সি ইসরো সফলতা অনেক বেশি। তারা কম খরচে অন্যান্য দেশের স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করে থাকে। এছাড়াও সর্বপ্রথম ভারতেই একসাথে ১০৪ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে একটি রেকর্ড তৈরি করেছিলো। আপনাদের হয়তো সবার মঙ্গল মিশনের কথা মনে আছে। ভারত একমাত্র স্পেস এজেন্সি যারা প্রথম চেষ্টায় মঙ্গল গ্রহে যেতে পেরেছিলো।

গতকাল সকল ভারতীয়দের জন্য অনেকটাই গৌরবের বিষয় ছিল। সেই সাথে আমরাও নিজেকে অনেক গর্ববোধ করছি ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে। কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম ইসরো সম্পর্কে বিস্তারিত একটি পোস্ট করব কিন্তু সেই সময়টা হয়ে উঠছে না। আশা করছি খুব দ্রুত সেই পোস্টটি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। আজকের মত এখানেই শেষ ককরছি।সবাইকে ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: নতুন ইতিহাস গড়লো ভারত || চন্দ্রযান ৩

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......