হঠাৎ করেই বনানীর পথে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। গতকাল শুক্রবার অনেক ব্যস্ততম দিন কেটেছে। কিন্তু গতকাল একটি আঙ্কেলের সাথে দেখাও করেছিলাম। সেই বিষয়টি আজ আপনার সাথে আলোচনা করে নেব, তবে চলুন শুরু করি।
গতকাল আনুমানিক পাঁচটার দিকে আমার পরীক্ষা শেষ হয় এবং পাঁচটার পরে সব বন্ধু বান্ধবের কাছে বিদায় নিয়ে মূলত বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাসে উঠেছিলাম এমন সময় একটি ফোন আসে যদিও ফোন নাম্বারটি আমার ফোনে সেভ করা ছিল না। ফোন রিসিভ করি জানতে পারলাম এটি আমার আঙ্কেলের নাম্বার। আম্মুর কাছ থেকে তিনি নাম্বারটি সংগ্রহ করেছেন। কথা বলে জানতে পারলাম তিনি এখন ঢাকার বনানীতে রয়েছেন। অনেক রিকোয়েস্ট করার পরে আমি ভাবলাম আঙ্কেলের সাথে একটু দেখা করেই যাই। তিনি মূলত ঢাকায় এসেছিলেন ওনার একটি কাজের জন্য, তিনি যে কোম্পানিতে কাজ করে সেই কোম্পানির হেড অফিসে এসেছিল।
গতকাল সারাদিনই অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করেছি এবং একদিনে দুইটি পরীক্ষা দেওয়া অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় হয়ে ওঠে আমার জন্য। এছাড়াও খুব বেশি ক্লান্ত ছিলাম তারপরও কেন জানি মনে হল যেহেতু আমার ভার্সিটি থেকে অনেক কাছেই সেহেতু সেখানে যাওয়াই যেতে পারে। যেহেতু যেতেও বেশি একটা সময় লাগবে না তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আঙ্কেলের সাথে দেখা করে যাব। তখনো কিন্তু বাসের মধ্যে অবস্থান করছিলাম। পরবর্তীতে বাস থেকে নেমে একটি রিক্সা নিয়ে সেই অফিসের কাছে চলে গেলাম। তবে একটি বিষয় আপনাদেরকে বলে রাখি ঢাকার গুলশান এবং বনানী এলাকাটা অনেকটাই উন্নত এবং এখানে গেলে মনে হবে আপনি যেন অন্য কোন দেশের ভালো কোন উন্নত শহরে চলে এসেছেন।
বনানীতে এসে আঙ্কেলের সাথে দেখা করি এবং তার সাথে কুশল বিনিময় হয়। পরবর্তী আঙ্কেল আমাকে তার অফিসটি ঘুরিয়ে দেখায়। যেহেতু আঙ্কেলের বাসায় নীলফামারীতেই এবং আমাদের রিলেটিভ হয় তাই সেখানে কোন সমস্যা ছিল না। আঙ্কেল মূলত একটি ফুড সাপ্লিমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করে এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রয়েছে যা মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে সাহায্য করে। আঙ্কেল এর সাথে দেখা করার পরে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলি হঠাৎ করে আঙ্কেলের ফোনে একটি ফোন আসে এবং তাকে হেড অফিসের একটি বসের সাথে দেখা করতে যেতে হতো। তখনই মূলত আঙ্কেল আমাকে রেখে দশ মিনিটের জন্য একটু বাইরে যাই, এই ফাঁকেই আমি গতকালের পোস্টটি লিখে ফেলেছিলাম।
আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে একটি রক্তের টান রয়েছে। আপনি বিদেশে যাওয়ার পরে যদি আশেপাশে কোন বাঙালি দেখেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে ভালো একটি অনুভূতি হয় এবং সেই বিষয়টি আঙ্কেলের কাজ করেছে। তাই জন্যই আমাকে ডেকেছিল দেখা করার জন্য। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা করার পরে আংকেল এর কাছ থেকে বিদায় নিলাম এবং আঙ্কেল বিল্ডিং থেকে নিচে এসে আমাকে বিদায় জানিয়ে দিল।
তবে যাওয়ার আগে আঙ্কেলের কোম্পানির কিছু প্রোডাক্ট আমাকে দিয়ে দিল, সাধারণ ব্যবহারের জন্য। যেমন ফুড সাপ্লিমেন্ট এবং সেই কোম্পানির টুথপেস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। যেহেতু আমার ভার্সিটির গুলশানের উপর দিয়ে যেতে হয় তাই গুলশানে প্রতিনিয়ত আমার যাওয়া আসা লেগেই থাকে। কিন্তু বনানী অঞ্চলে খুব বেশি একটা যাওয়া হয় না। যদিও আমার ভার্সিটি থেকে বনানী খুবই পাশে কিন্তু গতকাল গিয়ে অনেক নতুন কিছু অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছি। যেগুলো আসলে বলাটাও আমার জন্য লজ্জাসকর একটি বিষয়।
হয়তো আপনার অনেকেই বুঝতে পারছেন কোন বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। যাই হোক সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলবা না তবে একটা বিষয় বলা যেতেই পারে। আসলে আমরা সবাই মানুষ এবং আমরা প্রতিনিয়ত উন্নত করছি কিন্তু এই উন্নতির মাত্রা এবং পোশাকের ধরন যাতে এমন উন্নত না হয় যা অন্য মানুষের কাছে দৃষ্টিকটু লাগে।
সেখান থেকে যখন বের হয়েছিলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। আর আমার কাছে বাসে উঠে বাসায় যাওয়ার মতো এনার্জি ও ছিল না। পরবর্তীতে পাঠাও অ্যাপ থেকে পাঠাও রাইডার কে ফোন করলাম এবং তিনি সরাসরি আমার কাছে চলে আসলেন। পরবর্তীতে পাঠাও এ করে আমি আমার বাসায় চলে গেলাম।
আসলে এই পৃথিবীটা হচ্ছে একটি শিক্ষা মঞ্চ এবং সবাই আমরা এই শিক্ষা মঞ্চের ছাত্র। যেখানে সেখানে শিক্ষা এবং জ্ঞান ঘুরে বেড়াচ্ছে, আপনাকে শুধুমাত্র সেই জ্ঞান এবং শিক্ষা গুলো কালেক্ট করতে হবে। কাল অনেক নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আঙ্কেলের কাছ থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যাই হোক আজ বেশি কিছু লিখছি না, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: হঠাৎ করেই বনানীর পথে
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
হঠাৎ করেই বনানীর পথে ভালো লিখেছেন। বনানীতে আপনার আঙ্কেলের সাথে দেখা করে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন,গিফট পেয়েছেন এবং-অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় বাইরে পরিচিত কারো দেখা হলে বেশ ভালো লাগে। আপনি বলেছেন,আসলে এই পৃথিবীটা হচ্ছে একটি শিক্ষা মঞ্চ এবং সবাই আমরা এই শিক্ষা মঞ্চের ছাত্র।একদম যথার্থ বলেছেন। লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
গতকাল আপনার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আপনি বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। ঠিক এমনই সময় আপনার আঙ্কেল আপনাকে ফোন দিয়েছিল এবং আপনি এই নাম্বারটা চিনতে পেরেছিলেন না। পরে কল রিসিভ করে জানতে পারেন এটা আপনার আঙ্কেলের নাম্বার এবং তিনি রয়েছেন বনানীতে।অনেক রিকোয়েস্টের পর আপনি তার সঙ্গে বানীনিতে দেখা করতে যান।এজন্য আপনাকে হঠাৎ করেই বনানীতে যেতে হয়।
ভাই, আমার পোস্টের কথাই কপি করে একটু এডিট করে কমেন্ট করেছেন!! এটা কি ঠিক?
ভাই কমেন্ট কিন্তুু আমি আমার নিজের মতো করে লিখেছি। আমি আপনার কোনটাই কপি বা এডিট করিনি ভাই। এটা আপনাকে আমি আশ্বস্ত করতে পারি। এডিট কপি কোনটাই আমি করি নাই।
তাইতো বলে জ্ঞান অর্জনের জন্য হলেও তুমি সুদূর চিনে যাও। এই কথাটা সত্য ভাইয়া আমরা বাঙালিরা যেখানে যাই না কেন নিজের এলাকার কোন লোক দেখলে কেমন যেন একটা সাহস পাই। আঙ্কেল তো দেখি আপনাকে অনেক কিছু দিয়ে দিয়েছে। হ্যাঁ ঢাকা শহরের গুলশান এবং বনানী একটু অন্য ধরনের এরিয়া। এখানে গেলে মনে হয় লন্ডনে বসবাস করছি। বেশ সুন্দর করে আজকের পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইল।
এটা খুব খাঁটি কথাই বলেছেন, যেখানে সেখানে জ্ঞান আর শিক্ষা ঘুরে বেড়াচ্ছে।আমাদের শুধু লুফে নিতে জানতে হবে।আর একটা কথা কিন্তু সবাই বলে, আপনি কি গুলশান, বনানীতে থাকেন নাকি?? এ কথাটা এজন্য বলে এই দুজায়গা একটু বেশিই উন্নত।যাক আমরা ভালো কিছু গ্রহন করি খারাপ কিছুকে বর্জন করে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
গুলশান, বনানী পুরো বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত জায়গা। ঠিক বলেছেন ভাই, বাহিরের দেশে গিয়েও আমরা বাঙালি খুঁজি। এমনটা আমার সাথে অসংখ্য বার হয়েছিল। যাইহোক আঙ্কেল এর সাথে দেখা করে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। এমন ভিন্ন ধরনের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি জানি বাবা সেদিন ছিল শুক্রবার। তোমার দুইটা পরীক্ষা ছিল।অনেক বেশি ধকল গিয়েছে তোমার।তারপরেও এত কষ্ট করে আঙ্কেলের সাথে দেখা করতে যাওয়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।তবে হঠাৎ করে বনানীর পথে যাওয়ার অনুভূতি বেশ ভালো লাগলো।♥♥