ঢাকা টু নীলফামারী || ফিরে আসা প্রাণের শহরে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়লার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছি। বর্তমানে জ্বর এবং ঠান্ডা রয়েছে সেই সাথে কাশি এবং শরীর দুর্বলতা ও বেশি বেশি কাজ করছে। এ মত অবস্থায় ঢাকায় একা থাকা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তাই গতকাল রাতেই আমি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
গত চারদিন আগে ঢাকা থেকে প্রায় সবাই বাসায় চলে এসেছিল। শুধুমাত্র একাই আমি ঢাকায় অবস্থান করছিলাম এবং আমার কিছু পেন্ডিং কাজ ছিল সেসব কাজগুলো করেছিলাম। যেটা আসলে খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয় ছিল। এছাড়াও আমার ভার্সিটি ছিল শুক্রবার গতকাল ভার্সিটি করেই সরাসরি আমি টিকিট কাউন্টারে টিকিট নিতে চলে যাই। সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেই সেখানে বাসে উঠে আজ নীলফামার দিয়ে চলে আসি। তবে শারীরিক অবস্থা কোনভাবেই ভালো ঠেকছে না।
শুক্রবারে ঘুম থেকে উঠেছি প্রায় ভোর ছয়টার দিকে। এরপরে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তবে যেহেতু একেবারেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম তাই আগেভাগেই আমার কাপড়ের ব্যাগগুলো গুছিয়ে রেখেছিলাম। সেই সাথে ভার্সিটির ব্যাগও ছিল। সবগুলো গুছিয়ে একেবারেই দুটো ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম ভোর ছয়টার দিকেই। বাসা থেকে বের হয়ে আগে ভার্সিটি গিয়েছিলাম ভার্সিটিতে ক্লাস করেছিলাম। এই দিকে আমার ভার্সিটির পাশেই এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। যেহেতু আমার ভার্সিটির অনেক পাশেই ছিল তাই চিন্তা করেছি তার সাথেও আরেকবার দেখা করে আসি। গত কিছুদিন আগে অবশ্য তার সাথে দেখা করে এসেছিলাম এবং তিনি মোটামুটি এখন একটু সুস্থ আছে। তবে ডাক্তার বলে দিয়েছেন তিনি আর বেশি দিন বাঁচবেন না।
তাই আমার শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো না থাকা সত্ত্বেও তার সাথে গিয়ে দেখা করি। তার ছোট ছোট দুটো বাচ্চা ছিল উনাদের সাথে একটু দেখা করি এবং একটু সময় কাটাই। পরবর্তীতে সেখান থেকে চলে যাই গাবতলীতে। সেখানে বেশ কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করার পরে দশটার দিকে আমার বাস আছে। যে বাসে করে আমি নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেব। ঠিক সময় বাস ছেড়ে যায় তবে ঢাকা শহর থেকে বেরোতে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়, এতটা বেশি জ্যাম ছিল। বাসে উঠে যেই বসেছি এরপর থেকে আর কোন হুশ নেই। এরপরে মাঝখানে বগুড়ার দিকে হয়তো বাস দাঁড়িয়েছিল কিন্তু আমি উঠে ওয়াশরুম পর্যন্ত যেতে পারিনি। এতটাই বেশি খারাপ লাগছিল। পরবর্তীতে বাসায় আসতে আসতেই আজকে সাড়ে সাতটার উপরে বেজে যায়। যেখানে আমাকে নামিয়ে দেওয়ার কথা ছিল ভোর পাঁচটায়।
গতকাল নিজস্ব পোস্টও করতে পারেনি এসব কিছুর কারণে, এতটাই ব্যস্ত ছিলাম। এর পাশাপাশি যখন আমার লাঞ্চ বিরতি ছিল তখন অবশ্য কমিউনিটির সকল আমার দায়িত্বগুলো আমি পালন করেছি। কিন্তু নিজের পোস্টটা করে উঠতে পারেনি। বর্তমানে নীলফামারীতেই অবস্থান করছি এবং নিজের বাসায় এসে আলাদা এক ধরনের শান্তি কাজ করছে। আশা করা যায় খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাব। আপনারা সকলেই আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন কারণ পরিবারের সকলেই প্রায় বর্তমানে অসুস্থ রয়েছে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ঢাকা টু নীলফামারী || ফিরে আসা প্রাণের শহরে
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
প্রথম আমি ভাবতাম সিরাজগঞ্জের পরে বা বগুড়ার আশে পাশে নীলফামারী। পরে গুগলে সার্চ করে দেখি অনেক দুর। রংপুর পার হয়ে। অনেক বড় জার্নি করেন আপনি।
অসুস্থ শরীর নিয়ে লং জার্নি করাটা খুবই কঠিন। তবে বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিলো। আশা করি ভাবীর সেবা পেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই।