ছোটবেলার একটি ভৌতিক ঘটনা

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা অনেক ভালো আছেন। ছোটবেলায় বিভিন্ন ধরনের ভৌতিক ঘটনা সম্মুখীন হয়েছিলাম যদিও তখনকার ব্যাখ্যাগুলো ঠিক বুঝতে পারতাম না। আসলে ছোটবেলায় বুঝতে পারতাম না সেগুলো কি আসলেই ভুত নাকি আমার মনের ভুল ধারণা। তাই যেমনই হোক না কেন ছোটবেলার অভিজ্ঞতা বলে কথা ভূত ভেবে সেই অভিজ্ঞতাগুলো গ্রহণ করেছিলাম এবং সেই বিষয়গুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে চলুন শুরু করি।।

বর্তমানে আমাদের বাসা যে এলাকায় সেই এলাকায় কিন্তু আগে এত বাসা ছিল না। হাতে গোনা চার-পাঁচটা বাসা ছিল এবং আমাদের বাসার সামনে বড় একটা মাঠ ছিল। যার দরুণ সেখানে রাত বেলায় অনেক ভয়ানক একটি পরিবেশে সৃষ্টি হয়। মানে অনেকটাই অন্ধকার থাকতো আর কি। আবার আমাদের এলাকায় কিছু পরিত্যক্ত ভাঙ্গা বাড়ি ছিল। যেগুলোকে আমরা ভাঙ্গা বাড়ি হিসেবেই চিনতাম এবং সেগুলোকে আমরা মনে করতাম ভূতের বাড়ি। যেখানে ভূত বসবাস করত। ছোটবেলা যে কত কিছু চিন্তা ভাবনা করতাম হাহাহা। আবার আমাদের বাসার পাশেই ছিল একটি বড় মাঠ এবং বড় মাঠের পিছনেই ছিল একটি বড় পুকুর এবং পুকুরের পাশেই ছিল একটি বিরাট বড় বটগাছ। সবাই বলতো সেই বট গাছে নাকি অনেক ভূত বসবাস করে।

Source

সেই আগের দিনে প্রতিনিয়ত এক ঘন্টা করে লোডশেডিং হতো এবং সেই সময়ে মোবাইল ফোন ছিল না এবং প্রযুক্তি ব্যবহার অনেকটাই কম ছিল। তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাদের পাড়া মহল্লার সকল ছেলেমেয়েরা বের হয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল লুকোচুরি খেলা। আমাদের সেই রাতের খেলার বিভিন্ন ধরনের নিয়ম ছিল। সেই নিয়ম সম্পর্কে একটু কথা বলে নেই। আমরা যখন খেলা শুরু করি তখন বিদ্যুৎ থাকে না এবং যেহেতু এলাকা এমনিই অনেক অন্ধকার তাই লাকানোর অনেক জায়গা থাকে কিন্তু যখনই বিদ্যুৎ চলে আসবে তখন এই খেলা শেষ এবং যে যার বাসায় চলে যাবে।

এমনই একদিন লুকোচুরি খেলতে গিয়ে সেই বট গাছের পাশেই লুকিয়ে ছিলাম। অনেকক্ষণ লুকিয়ে আছি কিন্তু কোথা থেকে কোন সারা শব্দ নেই আর তাছাড়াও আগে লুকোচুরি খেলতে গেলে যে চোর হতো সে কিন্তু জোরে জোরে চিৎকার করত এবং আমাদেরকে ধরার চেষ্টা করত। যাই হোক সেদিন কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না এমন সময় মনে হচ্ছিল আমার পিছন থেকে কেউ নিঃশ্বাস নিচ্ছে। যেন নিঃশ্বাসের হাওয়াটা আমার গায়ে লাগছিল। আমার সেদিন স্পষ্ট মনে ছিল আমি সবে মাত্র ৫ মিনিটের মত সেখানে লুকিয়ে ছিলাম কিন্তু যখন প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই তখন হাত দৌড়ে বাসায় চলে আসি এবং জানতে পারি গত আধা ঘন্টা আগেই বিদ্যুৎ চলে এসেছে এবং খেলা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

Source

সেদিন রাতে জ্বর চলে এসেছিল এতটা ভয় পেয়েছিলাম। এছাড়াও ওখানকার কিছু মানুষদের কাছে শোনা কিছু ঘটনা বলছি সেখান দিয়েই আমাদের বাজারের রাস্তা ছিল অর্থাৎ শর্টকাট ভাবেই বাজারে যাওয়া যেত। এক রাতে সেই বাজার থেকে আসার সময় একটি আঙ্কেলকে নাকি ভুত একটি চড় মেরেছে এবং সেদিন থেকে তার মুখ বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক সেই গাছটির পরবর্তীতে কাটার জন্য অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আসলে এসব বিষয়গুলো অলৌকিক নাকি আমাদের মনের ভুল সেটাই বুঝে উঠতে পারি না।

তবে আমার স্পষ্ট মনে আসে সেদিন হয়তো আমার পিছন থেকে কেউ নিঃশ্বাস নিচ্ছিল এটা আমি শিওর ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারব। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজকের এই ছোট ঘটনা এখানে সমস্ত করলাম।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ছোটবেলার একটি ভৌতিক ঘটনা

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......