অসুস্থতা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আসলে সুস্থতা আমাদের কত বড় নেয়ামত অসুস্থ হলেই কেবলমাত্র আমরা বুঝতে পারি। গত কয়েকদিন ধরেই শরীরটা ভালো লাগছিল না। এছাড়া অফিসের কাজ, পড়াশুনার চাপ সব মিলিয়ে অনেকটাই ব্যস্ততা সময় পার করছি। যার জন্য ঠিকভাবে ঘুমাতে পারছি না। এরপরেও রয়েছে ঘুম হচ্ছে না। দিনের বেলা কিভাবে ঠিক ভাবে ঘুম হবে! এর সাথে সাথে আমার শরীরের অবস্থা ও খারাপ হচ্ছে।
প্রত্যেক শনিবার করে শিফট চেঞ্জ হয়ে থাকে। যার ফলে যারা এ শিফট যারা করে তাদেরকে বি শিফটে করে দেওয়া হয় এবং যারা বি শিফটে ডিউটি করে তাদের সি শিফটে দেওয়া হয়। এভাবে করে রোটেশন ওয়াইজ প্রত্যেককেই নাইট ডিউটি করতে হয়। ইভিনিং ডিউটি করতে হয়। যার ফলে প্রত্যেকেরই সিডিউলের অনেকটাই পরিবর্তন আসে। যেহেতু আগে কখনো এভাবে করে কাজ করা হয়নি এবং শিফটে ডিউটিতে ও কখনো কাজ করা হয়নি যার জন্য আমার শরীরের অবস্থার অবনতি প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। এর কিছুদিন আগেই হাতের একটি সমস্যা হয়েছিল সেটা আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে। তবে ইদানিং অনেকটাই জ্বর এবং কাশির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যা, কোন ভাবেই প্রকাশ করতে পারছি না।
আসলে আমরা প্রত্যেকের শরীরের নিজস্ব অবস্থানগুলো আমরা প্রত্যেকেই বুঝতে পারি। আপনার শরীরে কি কি সমস্যা হচ্ছে সেই বিষয়টি আপনি সবথেকে ভালো জানবেন, অন্য কেউ জানবে না। তাই আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে আমার তেমন কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়তই আমার বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় প্রচন্ড ঘেমে যাচ্ছি এবং সেই ঘামটা আবার শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে করেই মূলত ঠান্ডা লেগেছে এবং প্রচন্ড কাশি হচ্ছে। টানা এক মিনিট কথা বলতে গেলেই হয়তো দুই-তিনবার কাশি চলে আসছে। এতটা ভয়াবহ অবস্থা। দেখি আগামীকাল যদি একটু অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে। তা না হলে এই অবস্থা নিয়ে বেঁচে থাকা অনেকটাই দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।
আজ মূলত এ শিফট ছিল অর্থাৎ সকাল ছয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কিন্তু দুপুর ২ঃ৩০ সময় বের হতে পারিনি। বের হতে হতে প্রায় তিনটা বেজে গেছে। আসার পরে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে ছিলাম কিন্তুমাত্রা অতিরিক্ত মাথা ব্যথায় কাশি এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। যার কারণে ঠিকভাবে দুই ঘন্টাও ঘুমাতে পারেনি। সারাদিন কাজ করে এসে এই গরমে যদি ঘুমাতে না পারি তাহলে শরীর আরো খারাপ হয়ে যায় এটাই স্বাভাবিক।
গত দুদিন থেকেই এই অসুস্থ শরীর নিয়েই ডিউটি করছি। এর মধ্যে আবার গত শুক্রবারেই আমি ক্লাসে গিয়েছিলাম ঢাকা শহরে। যা এখান থেকে প্রায় দুই ঘন্টার দূরত্ব। যাতায়াতেই প্রায় চার ঘন্টা লেগে যায়। ক্লাসে গিয়েছিলাম কিন্তু সবগুলো ক্লাস ঠিকভাবে করে আসতে পারিনি। শরীরটা এতটাই খারাপ লাগছিল তিনটে ক্লাস করেই আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
গত কিছুদিন মা আমার এই বাসায় ছিল যার। কারণে রান্নাবান্না এবং খাওয়া-দাওয়ার কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। কিন্তু মা চলে যাওয়ার পর থেকে রান্নাবান্না একাই করে খেতে হচ্ছে এটা আরো বেশি চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মোটকথা একদিকে অফিস থেকে এসে অফিসের ক্লান্তি ভাব এছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, এর বাহিরেও সামনে আমার সেমিস্টারের এক্সাম রয়েছে।
যার ফলে চাপের পরিমাণটা একটু বৃদ্ধি হয়ে গেছে। কোন কিছুই ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারছি না। যাইহোক দেখি আগামীকাল যদি শরীরের অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে অফিস থেকে ছুটি নিতে হবে। কারণ এই অসুস্থতা নিয়ে এই গরমের মধ্যে কাজ করলে আরো অসুস্থ হয়ে পারবো। যাইহোক আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: অসুস্থতা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
এমনিতেই কাজের প্রেসার তারপরে আবার মৌসুমের পরিবর্তনের কারণে অনেকেই ঠান্ডা ধরে আক্রান্ত হচ্ছে ঠিক একই ভাবে আপনার সেই একই সমস্যা হয়েছে তবে দোয়া করছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
এই বিষয়টির সঙ্গে আমাদের সবারই কখনো না কখনো মানিয়ে নিতে হবে। অফিস পাশাপাশি নিজের লেখাপড়া নিয়ে সত্যি বেশ চাপে আছেন ভাই। তবে আপনার জ্বার এবং কাশির বিষয়টি শুনে বেশ খারাপ লেগেছে। অসুস্থ্য থাকলে সুস্থ্যতার গুরুত্ব বোঝা যায়। আশাকরি আপনি খুব দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা।।
যেই ওয়েদারের অবস্থা তাতে করে কাজ আবার লেখাপড়া দুটোকে সামলে চলা বেশ কঠিন কাজ।আপনি অসুস্থ শুনে খারাপ লাগলো। আশাকরি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।এই ওয়েদারে ঘরে ঘরে অসুস্থ। সাবধানে থেকে কাজ করবেন এমনটাই আশাকরি। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে ভাই অসুস্থ হলেই বুঝা যায় সুস্থতার গুরুত্ব। সুস্থতা অবশ্যই আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। যাইহোক শিফটিং ডিউটি করা খুব কষ্টের। ঘুমের অনেক সমস্যা হয়। আর ঘুম ঠিকমতো না হলে শরীর দিনদিন এমনিতেই খারাপ হতে থাকে। তবে আপনি প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। ক্লাস, অফিস, কমিউনিটির কাজ, বাসার কাজ সবমিলিয়ে বেশ চাপ হয়ে যায়। বর্তমানে জ্বর ঠান্ডায় অনেকেই ভুগছে প্রতিনিয়ত। যাইহোক আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।