আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। গত বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম আম্মুর স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে। মূলত আম্মুর যেসব কোম্পানিতে কাজ করতো সেসব কোম্পানিতে কাজ করার আগে এনার কাছ থেকেই আম্মুর ট্রেনিং নিয়েছিল।
উনার নাম ফরিদ জামান স্যার। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছেন যে প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিদেশী ইউনিভার্সিটি তে ছাত্র-ছাত্রীদের কম খরচে ভর্তি করান এবং ভিসা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় তারা দেখাশোনা করেন। ঢাকায় বেশকিছু কাজ ছিল এবং যেখানে কাজ ছিল তার পাশেই ওনার অফিস ছিল। কোনভাবেই তার সাথে যোগাযোগ হয় এবং তিনি আমাদেরকে তার অফিসে ইনভাইট করেন। পরবর্তীতে আমাদের কাজ শেষ করে সেই অফিসে গেলাম এবং তার সাথে সাক্ষাৎ করলাম।
মানুষ হিসেবে তিনি অনেক চমৎকার এবং সবার সাথেই অনেক চমৎকার ভাবে মিশে কথা বলেন। তার কাছ থেকে শেখার মত অনেক কিছুই রয়েছে এবং তার কথার মধ্যেও রয়েছে অনেকটাই মাধুর্য। যেটা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে। তিনি মাঝে মাঝে অনেক শিক্ষণীয় উপদেশ দেন এটাও আমার কাছে অনেক ভালো লাগেছে। উনার সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছি এবং বেশ কিছু উপদেশও দিয়েছিল এবং তাদের অফিসের বিভিন্ন বিষয়ও আমাদেরকে জানিয়েছিল বিশেষ করে অন্যান্য ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ সুবিধা এবং কত টাকা খরচ হবে এসব বিষয়েও তার সাথে আলোচনা করেছিলাম। এছাড়াও বিএসসি পররে এমএসসির বিষয়টিও তিনি আমাকে এখানে বলেছিল।
তার সাথে আমাদের কোন রক্তের সম্পর্ক নেই তবে যে সম্পর্কগুলো রয়েছে সেটা রক্তের সম্পর্ক চেয়ে অনেক বড় কিছু। কারণ যে মানুষটা আমাদেরকে ভালোবাসে আমাদেরকে স্নেহ শ্রদ্ধা করে তাদের সাথে সবসময় আমাদের কেউ ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে তাইতো উনার সাথে দেখা করেছিলাম। উনার সাথে প্রথম আমার দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালে, এরপরে কয়েকদিন আগেই দেখা করলাম কিন্তু আম্মুর সাথে প্রায় যোগাযোগ হতো।
সেই দিনটি অনেক ভালোই কাটিয়েছিলাম এছাড়াও সেখানে আমাদের সাথে ইব্রাহিম আংকেল ছিল। যার কথা আমি গত পোস্টেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। ঢাকা শহরে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা আমাদেরকে নির্লজ ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এটা শুধুমাত্র টাকার জন্য নয় বরং ভালো ব্যবহার, ভালো অপরচুনিটি, ভালো কিছু উপদেশ দিয়ে আমাদেরকে সবসময় সাহায্য করে গেছেন। এসব মানুষকেই কখনো ভোলার মত নয়।
যেখানে রক্তের সম্পর্ক কাজে আসে না সেখানে এসব মানুষদেরাই আমাদের বিপদের সময় পাশে থাকে তাই তো এসব মানুষদের সাথে সবসময় যোগাযোগ স্থাপন করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে ওঠে। যাইহোক আজকের দিন অনেকটাই ব্যস্ততা রয়েছে তাই বেশি কিছু লিখছি না। আগামীকাল আবার পরীক্ষা রয়েছে। এছাড়াও কমিউনিটির বেশ কিছু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে, এর জন্য বেশি সময় প্রয়োজন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
আমাদের চলার পথে এমন অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয় যারা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও অনেক বেশি আপন হয়ে যায়। আর বিপদে-আপদে পাশে থাকে। সেই মানুষগুলোর কথা হয়তো সারা জীবন আমরা কখনো ভুলতে পারি না। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। দারুন লিখেছেন আপনি।
বর্তমানে রক্তের মানুষ বা অন্যান্য আত্নীয় স্বজনরা আমাদেরকে বেশি কষ্ট দিয়ে থাকে। তাই বলতে গেলে আপনের চেয়ে পর ভালো। তবে যারা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সাপোর্ট দিয়ে থাকেন, তাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ রক্ষা করা উচিত। কারণ তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা না করলে, তারা ভাবে যে শুধুমাত্র বিপদের সময় তাদেরকে স্মরণ করা হয়। আপনার ইব্রাহীম আঙ্কেলের কথা আপনার গত পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই সেদিনর সেই সময়টুকু অত্যন্ত আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল। আর এই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো কখনোই মলিন হয়ে যায় না। রক্তের সম্পর্ক গুলোর মধ্যে নিহিত থাকে স্বার্থ। আর সেই স্বার্থে কারো এতটুকু ব্যাঘাত ঘটলেই সম্পর্কের মাঝে এসে ধাক্কা খায়। এই ধারাটাই যুগ যুগ ধরে চলে এসেছে। খুবই চমৎকার লিখেছো, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।