ব্যস্ততম একটি দিন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। তবে আজকের দিনটা আমার অনেকটাই ব্যস্ততম দিন কেটেছে। সেই বিষয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব। যদিও এ ধরনের পোস্ট কখনোই আপনাদের সাথে শেয়ার করি না। তবে আজকের চিন্তা করলাম যেহেতু নতুন কোন ব্লগের চিন্তাভাবনা মাথায় আসছে না তাই আজকের দিন নিয়েই আপনাদের সাথে একটু আলোচনা করে নেব।
যেখানে আমি জব করছি সেখানে আমাকে রি শিডিউল ডিউটি দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ যেসব অফিসাররা সাপ্তাহিক ছুটি কাটাবে তার জায়গায় আমাকে কাজ করতে হবে। যেই কাজটা প্রথম প্রথম অনেক ভালো লাগলেও এখন বুঝতে পারছি সেই কাজের প্যারা কতখানি বেশি! আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে মূলত তিনটি শিফটে ডিউটি করা হয়। প্রত্যেকটি শিফটের ডিউটি আট ঘন্টা পরে। কিন্তু আমার নির্দিষ্ট কোন টাইম নেই কারণ যেই অফিসারের অফ হয়ে থাকে সেই শিফটে সেই দিনে আমাকে সেখানে গিয়ে তার হয়ে ডিউটি করে দিতে হয়। যার দরুন মাঝে মাঝে এক দিনেই দুটি শিফট পড়ে যায় আবার দুই দিনে তিনটি শিটফ পড়ে যায়। ঠিক এমনটাই ঘটছে আজকে আমার সাথে।
সপ্তাহের প্রথম তিনদিন শনি, রবি, সোম জেনারেল ডিউটি থাকে। সেই সময় কোন সমস্যা থাকে না। সত্যি বলতে সকাল ৯ঃ০০ টার সময় গিয়ে সন্ধ্যা ৬ঃ০০ টার সময় বেরিয়ে আসতে পারি। কিন্তু অন্যান্য দিনগুলোতে আমার একটু সমস্যা হয়ে যায়।
আমার সিনিয়র যে অফিসাররা আছেন তারা মূলত শিফট ইনচার্জ অর্থাৎ সেই শিফটে সম্পূর্ণ স্পিনিং মিলে দায়িত্বে তিনি থাকেন যদিও তিনি যদি ছুটি থাকেন সে ক্ষেত্রে সেই দায়িত্বটা আমাকে পালন করতে হয়। গতকাল রাত দশটার সময় ডিউটিতে গিয়েছিলাম আজ এসেছি ভোর ছয়টার সময়। কিন্তু সেই ঘুমানোর সময় পায়নি আজকে টোটাল ৪ ঘণ্টার মতো ঘুমিয়েছি। পরবর্তীতে দুপুর ২ঃ০০ টার সময় উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে আবার ডিউটিতে জয়েন করেছি এবং সেখান থেকে বেরোলাম রাত সাড়ে দশটায়। সমস্যা এখানেই শেষ নয় একটা দিন এরকম ম্যানেজ করাই যায় কিন্তু পরপর দুইদিন হলে বিষয়টা অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। আজ যদিও আমি সিনিয়র স্যারদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি, উনারা বলেছে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে। জানিনা কি করবে! তবে আগামীকাল আবার ভোর ছয়টার সময় আমাকে অফিসে ঢুকতে হবে, যা দরুন আমার ঘুমের সময়টাই হচ্ছে না।
আজকাল বেশ পরিশ্রম যাচ্ছে মানসিকভাবেও শারীরিকভাবেও। মোট কথা বলতে কোন ভাবে টিকে আছে তবে এসব কিছুর পরেও কেন জানি একটি শান্তি কিংবা প্রশান্তি কাজ করছে মনের ভিতর। কারণ যেসব দায়িত্বগুলো আমাকে দেওয়া হয়েছে সেগুলো আমার যোগ্যতার তুলনায় অনেক বেশি কিন্তু সেই কাজগুলো যখন আমি শিখে ফেলব তখন হয়তো আমাকে শিফটের ইনচার্জ বানিয়ে দেওয়া হবে এবং সেই জন্যই আমি কাজগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোন প্রশ্ন না করেই শিখে যাচ্ছি।
এত ডিউটি করার পরও কমিউনিটির কাজ করতে হচ্ছে এবং নিজের রান্না বান্না নিজেই করতে হচ্ছে। সত্যি বলতে ঘুমানোর সময় টুকু পাচ্ছি না। অনেকটাই দৌড়ের উপর আছি। তবে হয়তো আমার জীবনে একদিন সফল হতে পারব আমি। সেই আশায় এত কষ্ট করে যাচ্ছি। নিজের পরিবারকে সুখে রাখতে পারবো এটা ভেবেই অনেক ভালো লাগে। দিনশেষে প্রিয় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেই মন শান্ত হয়ে যায়। সমস্ত ক্লান্তি যেন নিমিষেই দূর হয়ে যায়। তাছাড়াও আজকে সকাল বেলা আমার এখান থেকে আম্মু ও ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল, গন্তব্য চীন। আজ রাতেই আম্মুর ফ্লাইট রয়েছে, সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন ভালোভাবে গিয়ে আবার সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে। তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে একটা ঘুম দিতে হবে তা না হলে কালকে সকাল বেলার অফিস মিস হয়ে যেতে পারে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ব্যস্ততম একটি দিন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
সবার আগে সাথী আপুর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আশা করি উনি সুস্থভাবেই আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। তবে আপনার কথার সাথে আমিও কিন্তু একমত ভাইয়া অনেক কষ্ট করছি শুধু মাত্র পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। আমিও ভাইয়া ঠিক আপনার মতই ঘুমাতে পারি না। সারাদিন কর্মব্যস্তময় সময় পার করার পর যখন বাসায় ফিরি, ঠিক তখনই সংসারের কাজ আর কমিউনিটির কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবুও আশা করি একদিন সুন্দর দিন আসবে আমাদের জন্য।