---

কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন । সব সময় শুধু বইয়ের পাতায় পড়ে এসেছিলাম" ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত" । কিন্তু কখনও নিজের চোখে সেটা দেখা হয়নি। কয়েকদিন আগে আমার একজন প্রিয় শিক্ষকের সাথে দেখা হয় কয়েক মাস পর । তাই দুজনে মিলে ঠিক করলাম একটু নদীর তীরে যাওয়া যাক। দুজনে মিলে চলে গেলাম কাছাকাছি বুড়িগঙ্গার তীরে। সেখানেই বুড়িগঙ্গার পাশ ধরে হাঁটতে হাঁটতে সে কি এক আড্ডা শুরু হলো । অনেক কথাই হলো, কিন্তু তার মধ্যে একটা বিষয় ছিল বুড়িগঙ্গা নদী নিয়ে।

---

যেমনটা বুড়িগঙ্গা নদী সম্পর্কে পড়েছিলাম, আশানুরূপ সেরকম চিত্র খুঁজে পেলাম না। সে বুড়িগঙ্গা আজ আর নেই। অনেকটাই শুকিয়ে গেছে আগের তুলনায়। বুড়িগঙ্গা আগে মোটেও এমন ছিল না যতদূর শুনেছি। দীর্ঘমেয়াদী বালু উত্তোলনের ফলে পানির স্তর অনেকটা নিচে নেমে গেছে। যার জন্য বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদী এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য বর্ষা আসলে হয়তো কিছুটা পানির স্তর আবার উঠে কিন্তু তার মোটে ও আগের মত নয়।

আর নদীর তীর গুলো ভরে উঠেছে ময়লা আবর্জনা দিয়ে। যা এই নদীর পানি সম্পূর্ণরূপে দূষিত করে ফেলছে। আবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে কিছুকিছু কল কারখানা যেগুলো প্রতিনিয়ত তাদের দূষিত বর্জ্য পদার্থ নদীতে ত্যাগ করছে যার ফলে নদীর পানির খরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বড় বড় সিমেন্ট কারখানাগুলো এখান থেকে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায় ঠিকই কিন্তু বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা মোটেই সচেতন নন। আর এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী সাধারণ জনগণ যারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে এইপানি নিজেদের কাজে ব্যবহার করে থাকেন। দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে বেশিরভাগ মানুষ পানি জনিত রোগে ভুগছেন।

কিন্তু বর্তমানে নদীটি সংস্করণে কাজ করা হচ্ছে। বর্জ্য পদার্থগুলো অনেকটা অপসারণ করা হয়েছে এবং তীর ঘেঁষে একটি লেক তৈরি করা হয়েছে। মানুষ সকালে এবং বিকেল বেলা যাতে এখানে এসে ঘুরাঘুরি করতে পারে। লেক তৈরির কাজটি এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি, আরো কিছুটা বাকি আছে। শেষ হলেই আশা করা যায় এখানকার পরিবেশ কিছুটা উন্নত হয়ে যাবে।

---

ডিভাইস ১	Realme Narzo 20
স্থান	বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে
ছবিগুলো তোলার তারিখ	২৮শে জানুয়ারী, ২০২২

---

ধন্যবাদ