বাবার সাথে পাহাড়ে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প //পর্ব-২
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
বাবার সাথে প্রথমবার পাহাড়ে ভ্রমণ করার মজাটা অন্যরকম ছিল। সেই গল্পই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আসলে আমি যখন বাবার সাথে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম, সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। তো সমুদ্রের পাড়ে ভ্রমণ করার পরে, আমরা সমুদ্রের পাগে অপরূপ সৌন্দর্যময় হিম ছড়ি পাহাড়ে ভ্রমণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। তাই বাবার সাথে সেই হিট ছড়ি পাহাড়ে গিয়েছিলাম আর পাহাড়ে ওঠার স্মৃতিময় গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আসলে প্রথমবার পাহাড় দেখে যেন আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছিলাম। এত বড় পাহাড় আর এত গাছপালা দেখে যেন অবাক লাগতেছিল।
পাহাড়ে ওঠার বাবা সকল ধরনের ব্যবস্থা করলো। টিকিট কেটে নিয়ে আসলো, আর পাহাড়ের যেখান দিয়ে উঠতে হয় সেখানে সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। আসলে সিঁড়ি দিয়ে এই পাহাড়ে উঠতে হয়, অনেক পাহাড় রয়েছে সেখানে সিঁড়ি নেই। পাথরের মধ্যে দিয়ে উঠতে হয়, সেই পাহাড়গুলো ওঠা অনেক কঠিন। তবে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা অনেক সহজ। তাই আমরা সিঁড়ি দিয়ে পাহাড়ে উঠতে লাগলাম। আর পাহাড়ের গায়ে যে সিঁড়িগুলো ছিল এগুলো একদম খাড়া খাড়া অনেক ভয় লাগলো। তারপরে কষ্ট করে আমি উঠতেছিলাম। উঠতে উঠতে যেন আমার পা ব্যথা করলো। আর উঠতে ইচ্ছা করতেছিল না।পাহাড় অনেক উঁচুতে ছিল। যার কারণে উড়তে উড়তে যেন পায়ে ব্যথা হয়ে গেল, তারপরে মাঝ পথে দেখতে পেলাম বসার একটি ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বিশ্রাম নিলাম।
সেখানে বসার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে, সেখান থেকে আমি পাহাড়ের দৃশ্যগুলো দেখতে লাগলাম। যতদূর চোখ যায় শুধু গাছপালা আর গাছপালা এবং মাঝে মাঝে নিচের পানি দেখতে পাচ্ছিলাম, আমি ভেবেছিলাম পাহাড়ে হয়তো পুরোপুরি উঠে গেছি, বাবাকে বললাম বাবা বলল যে এখনো দুই ভাগ বাকি রয়েছে অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগ এসে আমরা পৌঁছেছি। আরো দুইভাগ উঠলে পাহাড়ের চূড়ায় যেতে হবে। এটা শুনতে পেয়ে যেন আমার ভয় লাগলো। আরো উঠবো কিভাবে তারপরে বাবা বলল যে আজকে যেহেতু এসেছো পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে সমুদ্রের দৃশ্য আর এই পাহাড়ের দৃশ্য ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে।
আর একটু পাহাড়ের উঁচুতে উঠেই আমার আম্মা ও ছোট বোন বলল যে আমি আর উঠতে পারবো না। সেখানে বসার ব্যবস্থা রয়েছে বললো এখানেই আমরা বসে থাকি। তুমি তোমার ছেলেকে নিয়ে পাহাড়ে চূড়ায় গিয়ে দৃশ্য দেখি আসো। আসলেই সিঁড়ি গুলো অনেক খাড়া খাড়া ছিল যার কারণে আম্মা এবং ছোট বোন আর উঠতেই চাইলো না। তারপরে বাবা জোর করল কিন্তু আম্মা যেতে চাইলো না। তাই আমি আর বাবা দুজন মিলেই পাহাড়ে চূড়ার দিকে রওনা দিলাম। আমার খুবই ইচ্ছা করতেছিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠে কক্সবাজার সমুদ্র দৃশ্য আর পাহাড়ের দৃশ্য আমি ভালোভাবে উপভোগ করব।
আমার পরিচয়
![]() |
---|
সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি
সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1883151996380942374?t=RV-XZNT8_bhw0_mdma3y3Q&s=19
আপনার বাবার সাথে পাহাড় ঘোরার অনুভূতির প্রথম পর্বটি যদিও বা পড়তে পারিনি তবে দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। প্রথমত পাহাড়ের সিঁড়িগুলো হয় খাড়া খাড়া আর উপরের দিক। এগুলো জায়গা দিয়ে মহিলা মানুষরা বেশি উপরে উঠতে পারে না। সে কারণেই আপনার আম্মু আর ছোট বোনের হয়তো অসুবিধা হয়ে গিয়েছিল। এই পর্বের অনুভূতি ভালই লাগলো পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাই ।
আপনার বাবার সাথে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার দারুন একটি স্মৃতিময় গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার লেখাগুলো পড়ে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে পাহাড়টি অনেক বেশি উঁচু ছিল। যার কারণে এতো উঁচু পাহাড়েও উঠতে গিয়ে আপনার পানি পিপাসা লেগেছিল। যাহোক আপনার এই স্মৃতিময় গল্পের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।