বাঙালি রেসিপি // পুর ভরা কাঁকরোল ভাজা রেসিপি (১০% পে-আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
আসসালামু আলাইকুম, আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি, আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আপনাদের সবাইকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি তে স্বাগতম জানাই। কারণ এখানে আমরা আমাদের নিজের ভাষায় সম্পূর্ণ স্বাধীন চিন্তাধারা গুলোকে তুলে ধরতে পারি এবং সেইসাথে আপনি যদি চান আপনি আপনার প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারেন। তো তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সামনে আবারো আমার নিজের হাতে তৈরি একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমি আজকে যে রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটি হলো "পুর ভরা কাঁকরোল ভাজা রেসিপি।"
কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন 'সি' ও ফলিক এসিড থাকে; তাই এটি নিয়মিত খেলে অ্যানেমিয়ার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। কাঁকরোলে চোখের জন্য উপকারী ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে, যা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে এবং চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
Source
তাহলে চলুন আর দেরী না করে রেসিপিটি আমি কিভাবে তৈরি করেছি তা আপনাদের সামনে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করছি। আমার বিশ্বাস আপনারা যদি এই রেসিপিটি তৈরি করে গরম ভাতের সাথে একবার খেয়ে দেখেন তাহলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
উপকরণ এবং পরিমান
- কাঁকরোল: ৫০০ গ্রাম
- টমেটো🍅: ১ পিচ
- চিংড়ি মাছ🍤 : ১০০ গ্রাম
- পেঁয়াজ কুচি: ১/২ কাপ
- গুড়া মরিচ: ১ চামচ
- হলুদ গুঁড়া: এক চামচ
- আদা বাটা: এক চামচ
- গরম মসলা গুড়া: এক চামচ
- লবণ: পরিমানমত
- কাঁচা মরিচ: ৩/৪টি
- ধনিয়া পাতা: পরিমান মত
- সয়াবিন তৈল: ২৫০ মিলি।
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে আমি কাঁকরোল গুলো ও টমেটোটি নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধৌত করে তারপর একটি ছুরির সাহায্যে কাঁকরোল গুলোকে একটু মোটা করে গোল করে কেটে নিলাম এবং সেইসাথে টমেটোটাকে ও প্রয়োজন মত কেটে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর কাঁকরোল গুলোকে নিয়ে একটি ছুরির সাহায্যে মাঝখানের অংশটি গোল করে কেটে আলাদা করে নিলাম এবং এর ভিতরের অংশগুলোকে পুর হিসেবে ব্যবহারের জন্য ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।
তৃতীয় ধাপঃ
এখন আমি কাঁকরোল এর ভিতরের যে পুরটি দিয়ে রেসিপিটি তৈরি করব সেটি কিভাবে তৈরি করতে হয় তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
আমি প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলোকে পরিষ্কার করে কেটে ধৌত করে নিলাম। তারপর আমি আমার ব্লান্ডারটি নিলাম এবং ব্লেন্ডারের মধ্যে প্রথমে আমি চিংড়ি মাছগুলো ও কেটে নেওয়া টমেটোগুলো দিয়ে দিলাম। তারপর এক এক করে সব মসলা গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর ব্লেন্ডারের মাধ্যমে সবগুলো একসাথে একটি মিশ্রণ তৈরি করলাম। আর এই মিশ্রনগুলো হলো আমার কাঁকরোলের মাঝখানে দেওয়ার পুর।
চতুর্থ ধাপঃ
- এবার আমি কাঁকরোল গুলোতে পরিমাণমতো মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে নিলাম। এরপর একটি পাইপেন চুলায় বসিয়ে পরিমাণমতো তেল নিয়ে কাকরোল গুলোকে ভেজা নিলাম। এখানে অবশ্যই আপনাকে চুলার আগুনের তাপমাত্রা মিডিয়াম তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
পঞ্চম ধাপঃ
- সামান্য কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়ার পর তেলের মধ্যে রাখা অবস্থায় আমি কাঁকরোল গুলার মাঝখানে যে ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখান একটি চামচ দিয়ে পুরগুলোকে দিয়ে ফাঁকা জায়গাটি ভরিয়ে দিলাম। তারপর কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়ার পর ওলট-পালট করে ভাঁজতে থাকলাম।
চূড়ান্ত ধাপঃ
- এরপর আমি পুর ভরা কাঁকরোল ভাজাটা আস্তে আস্তে তেল থেকে তুলে নিলাম । আর এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের পুর ভরা কাঁকরোল ভাজা রেসিপিটি। এবং এটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
আমার এই রেসিপি পোস্টটি দেখা ও পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রেসিপিটি কেমন হয়েছে আপনারা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন এটাই আশা করি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabe
বিভাগ | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০এস |
লোকেশন | গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফার | @alauddinpabel |
পুর ভরা কাকরোল ভাজা নামটি খুবই অসাধারণ। এই প্রথম এমন নাম শুনলাম পুর বরা কাকরোল ভাজা এই রেসিপিটি। আপনি অনেক সুন্দর করে নতুনত্ব নিয়ে এই রেসিপিটি উপহার দিয়েছেন আমাদের। এটাকে ইউনিক রেসিপি বলা যেতে পারে এতে ভুল হবেনা। কারণ আপনি যেভাবে পরিবেশন করছেন আমি মনে করেছি এটা পুর বরা কাকরোল ভাজা নয়, এত যেন কাচ্চি বিরানীর পরিবেশন করছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো মনে হয় খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে কি বলবো আমি নিজেও এই প্রথম রেসিপিটি তৈরি করেছি। তবে আমি যা ভেবেছি তারচেয়ে অনেক অনেক দেশি টেস্ট হয়েছিল। খেতে ভালই লেগেছে। আপনি একবার রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে গরম ভাতের সাথে অনেক দারুন হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
সকালের নাস্তার মেন্যু খুবই ভালো, আর স্বাদটাও খুব ভালো লাগছে
যেভাবে বলছেন মনে হয় আপনি কে দেখেছেন হাহাহাহা.....
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনার জন্যও শুভকামনা
পুর ভরা কাঁকরোল ভাজা রেসিপি আজকে নতুন দেখলাম এবং দেখে খুবই আনন্দিত এটি তৈরী করার চেষ্টা করব আর সবথেকে ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দরভাবে রান্নাটি সম্পন্ন করেছেন। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ভালো লাগলো ভাইয়া। আরো আপনার রান্নার ধরনটা অনেক ভালো এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অবশ্যই একবার চেষ্টা করে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনার জন্য শুভকামনা।
কাকরোল ভাজা দেখেছি কিন্তু আপনার মত পুর ভরা এত সুন্দর দেখতে কাকরোল ভাজা কখনই দেখিনি। শক্তির কাকরোল আমাদের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের ছানি প্রতিরোধ করে। আপনি আমাকে কিন্তু আজকের আপনার রেসিপির প্রতিটা ধাপে এবং ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পুর ভরা কাকরোল রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার খুব সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। তবে হ্যাঁ অবশ্যই রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন কারন এটি খেতে অনেক দারুন হয়।
বাহ অনেক চমৎকার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন, আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে রেসিপির প্রক্রিয়াটি। এই ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি এবং দেখাও হয়নি, খুবই ভালো লাগলো আপনার এই রেসিপিটি দেখে, মনে হচ্ছে গরম ভাতের সাথে খেতে এটি খুবই সুস্বাদু হবে।
ঠিকই বলেছেন আপু গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক দারুন লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা।
join #club5050 tag and receive extra vote from steemcurator01, steemcurator02 ' @steemcurator07.
Your post up-vote from country representatives Bangladesh @sm-shagor..
Always follow @steemitblog.
বাহ! খুব চমৎকার আর স্বাস্থ্যসম্মত একটি রেসিপি
এটা চাইলে আমরা স্ন্যাক্স বা ভাত দিয়েও খেতে পারি
দেখেই লোভনীয় লাগছে
নতুন রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম
ঠিকই বলেছেন একটি স্বাস্থ্যসম্মত রেসিপি যা স্নাক্স ও গরম ভাত দিয়ে খাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। খুব শীঘ্রই পরবর্তী রেসিপি পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই রেসিপিটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আমি গত কালকেই এই রেসিপি দিয়ে খাবার খেয়েছি। কাঁকরোল ভাজা আমার অনেক পছন্দ। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখে আপনার এই রেসিপিটি আমি খুবই সুন্দর ভাবে শিখতে পেরেছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাহ! ভালই তো বলেছেন আপনি গতকালকে খেয়েছেন আমার বিশ্বাস রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু কি বলেন ঠিক না। আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেনতো ভাইয়া ।কাকরোল আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না বিচিগুলো খাওয়ার সময় কটকট করে কেমন যেন অসহ্য লাগে। কিন্তু আপনি যে পদ্ধতিতে পুর ভরা কাঁকরোলের রেসিপি তৈরি করলেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আনকমন একটি রেসিপি লেগেছে ।খেতে মনে হচ্ছে অনেক মজা লাগে। আমি অবশ্যই এই রেসিপিটি ট্রাই করবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আনকমন মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপনি একবার বাসায় ট্রাই করে দেখবেন এই রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু, আমার কাছে ভালই লাগে, আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা অবিরাম আপনার জন্য।
কাকরুল ভাজি এতো সুন্দর ও মজাদার করে রান্না করা যায়। আমি যে এতো এতো রান্না শিখছি কি বলব। অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আপনি রেসিপি সমাপ্ত করেছেন ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। তবে অবশ্যই রেসিপিটা বাসায় ট্রাই করে একবার খেয়ে দেখবেন আমার বিশ্বাস ভালো লাগবে।