"ভয়ংকর এক রাত" পর্ব-০৩ | |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভয়ঙ্কর এক রাত গল্পের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি, গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
এরপর রাজু কান্নার আওয়াজ ফলো করে আস্তে আস্তে আবারো সেই স্টোর রুমের দিকে এগিয়ে যায়। এরপর রাজু স্টোর রুম খুলে কাউকে দেখতে পায় না তবে সে লক্ষ্য করে স্টোর রুমের সেই আলমারিটার দরজা খোলা। কিন্তু রাজু মনে করে দেখে যে, সে আলমারিটা চাবি দিয়ে খুব ভালোভাবে লক করেছিল। তবে এটা খুলল কি করে? এসব ভাবতে ভাবতে রাজু ভয়ে ভয়ে আলমারির দিকে এগিয়ে যায় । রাজু আলমারি টি খুলতেই লক্ষ্য করে আলমারির ভেতর দিয়ে একটি গোপন দরজা রয়েছে। এরপর রাজু ভয়ে ভয়ে সে গোপন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। রাজু আলমারির ভেতরের গোপন দরজা দিয়ে সরাসরি একটি বেসমেন্টের কাছে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে রাজু অনেকটা দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং চারিপাশটা তার কাছে খুবই ভয়াবহ লাগে। এরপর সে তার ফোনের ফ্ল্যাশ অন করে চার পাশটা ঘুরে দেখতে থাকে। হঠাৎ সে বেসমেন্টের এক কোণে একটি বড় বাক্স দেখতে পাই। বাক্সের কাছে এগিয়ে যেতেই রাজু আবারও সেই কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই।
এখন রাজু ভয়ে ঘামতে থাকে এবং খুবই ভীতু গলায় বলতে থাকে কে কে ওখানে? আর ঠিক সেই মুহূর্তে কান্নার আওয়াজ থেমে যায়। এরপর রাজু আস্তে আস্তে বাক্সের কাছে গিয়ে বাক্সটি খুলে ফেলে। বাক্সটি খুলতেই রাজু সেই পুতুলটি আবারো দেখতে পায়। এবার রাজু, পুরোপুরিভাবে ভয় পেয়ে যায়। কারণ এই পুতুলটি সে তার ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে থাকা দেখেছিল কিন্তু হঠাৎ করে এই পুতুলটি এই বাক্সে কিভাবে এলো! রাজু এসব দেখে খুবই ভয় পেয়ে বেসমেন্টের ওই রুমটি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। রাজু সেই গোপন আলমারির দরজার কাছে এসে পৌঁছায় তবে সে দেখতে পায় এখানে কোন দরজাই নেই। এবার রাজু আরও ঘাবড়ে যায় এবং রাজুর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। রাজু যে পথ দিয়ে এই বেসমেন্টে প্রবেশ করেছিল সেই পথ হঠাৎ করেই কোথাও যেন গায়েব হয়ে পুরো রুমটাই বদ্ধ দেয়ালের পরিণত হয়।
এরপর মুহুর্তে রাজু নিঃশ্বাস না নিতে পেরে হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর আবারো রাজুর জ্ঞান ফিরে আসে। তখন রাজু নিজেকে স্টোর রুমে আবিষ্কার করে। কিন্তু রাজু তো সেই বেসমেন্টের গোপনপক্ষে আটকা পড়েছিল কিন্তু সে কিভাবে আবারো এই স্টোর রুমে ফিরে আসলো এই কথা ভাবতে ভাবতে রাজু আবারও ভয়ে ভয়ে সেই আলমারির কাছে এগিয়ে যায়। এবার রাজু আলমারির কাছে গিয়ে কোন গোপন দরজায়াই দেখতে পায় না। রাজু অনেকটা অবাক হয়ে ভীত মনে তাড়াতাড়ি স্টোর রুম থেকে বেরিয়ে নিচে চলে আসে। রাজু এখন খেয়াল করে সে যেই পুতুলটি বেসমেন্টে বাক্সে শেষ দেখেছিল সেই পুতুলটি এখন আবারো আগের মতো সোফায় বসে আছে। এখন রাজু এইসব মনের ভুল ভাববে নাকি সত্যি ভাববে সে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। এরপর রাজু ভয়ে ভয়ে সে পুতুলটির কাছে এগিয়ে গিয়ে পুতুলটির দিকে এক নজরে তাকিয়ে থাকে। তার কাছে এক মুহূর্তের জন্য যেন মনে হয় পুতুল টি তাকে কিছু বলতে চাইছে।
তবে এটা কিভাবে সম্ভব? এই ভেবে রাজু পুতুলটি আবারো সোফায় রেখে দিতেই দেখে পুতুলটি যেন তার হাতের সঙ্গে আঠার মতো লেগে রয়েছে। এবার রাজু আরও বেশি ভয় পেয়ে পুতুলটিকে এক ঝটকা মেরে ফেলে সেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর রাজু যার কাছ থেকে এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিল তার বাসায় চলে যায়, তাকে এই ঘটনাগুলো বিশ্বাস করানোর জন্য। তবে সেই মালিক কিছুতেই রাজুর কথা বিশ্বাস না করলে রাজু সেই মালিককে এই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে। এরপর রাজু ওই মালিকটিকে সেই ভৌতিক পুতুলটি দেখিয়ে তার সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।বাড়ির মালিক তখন রহস্যজনক একটা মুখ করে রাজুকে বলে তুমি এই ফ্ল্যাটটি এখনই ছেড়ে দাও। এইখানে থাকলে তোমার অনেক বড় বিপদ হতে পারে। সে ফিরে এসেছে। আবারো ফিরে এসেছে। তুমি এক্ষুনি এখান থেকে পালিয়ে যাও। এই ফ্ল্যাটটি আমার ভাড়া দেওয়াই ভুল হয়েছে। এই পুতুলটি দেখার পর আমি তোমার সমস্ত কথা বিশ্বাস করেছি। তুমি এক্ষুনি পালিয়ে যাও, আমারও এখন যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে।
চলবে.........।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
আমার তো মনে হচ্ছে সেই ফ্ল্যাটে অনেক বড় একটি রহস্য লুকিয়ে আছে যা এখনো সেই ফ্ল্যাটের মালিক রাজুকে জানায়নি। আসলে এরকম একটা ঘটনায় রাজু ভয় পাওয়ার কথা। আমার তো নিজের কাছেও ভীষণ ভয় লাগতেছে শুনে যদি এরকম ঘটনার সম্মুখীন আমি হতাম তাহলে তো মরেই যেতাম। পুতুলটি রাজুকে কিছু একটা বলার চেষ্টা করেছিল আসলে এটা কিভাবে সম্ভব। যাইহোক এখন তো ভাবছি পরের পর্বে কি হবে। অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে পরের পর্বের।