"এসো নিজে করি"মসুরের ডাল দিয়ে পিয়াজু তৈরি | |15% Beneficiary To @shy-fox | |5% Beneficiary To @abb-charity
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মত আজকেও আমি আপনাদের সাথে আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই সুন্দর মুখরোচক জনপ্রিয় রেসিপি শেয়ার করলাম। আমার এই রেসিপি পিয়াজু খেতে খুবই ভালো লাগে। এক কথায় আপনারা বলতে পারেন আমি পিয়াজুর ফ্যান। আর বাহিরের দোকানের পিয়াজু গুলো আমি তৃপ্তি করে খেতে পারিনা। আর বাহিরের পিয়াজু গুলোতে পিয়াজের চেয়ে আটা বেশি পরিমাণে থাকে। পিয়াজু বলতেই পিয়াজের পরিমাণ বেশি থাকা চাই। তাই আমি আজকে আমার পছন্দ মত আমি যেভাবে খেতে ভালোবাসি সে অনুপাতে পিয়াজু রেসিপি তৈরি করে হাপুস হুপুস খেলাম তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে, যদি বিন্দুমাত্র ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিতে ভুলবেন না।
তাহলে চলুন দেরী না করে পিয়াজু তৈরি করা যাক
উপকরন সমুহ:
১. মসুর ডাল - ১ কাপ
২. পেঁয়াজ কুচি - হাফ কাপ
৩. মরিচ কুচি - ৭ টি
৪. আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ
৫. রসুন বাটা - ১ টেবিল চামচ
৬. মরিচ বাটা - ২ টি
৭. ধনিয়ার গুড়া -হাফ চা চামচ
৮. লাল মরিচের গুঁড়া - হাফ চা চামচ
৯. হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ
১০. লবণ - স্বাদমতো
১১. তেল - ভাজার জন্য
ধাপ - ০১
প্রথমে মসুর ডাল গুলোকে ২ ঘন্টার জন্য পানিতে ভিজিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ০২
দুই ঘন্টা পর মসুর ডাল গুলোকে তিন-চারবার করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ০৩
এরপর মসুর ডালগুলোকে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ০৪
এরপর মসুর ডাল গুলোকে আধাবাটা করে পাটায় বেটে নিয়েছি পানি ছাড়া।
ধাপ -০৫
এরপর এর মধ্যে অ্যাড করেছি পেঁয়াজ কুঁচি ও মরিচ কুঁচি।
ধাপ -০৬
এরপর অ্যাড করেছি আদা বাটা, রসুন বাটা ও মরিচ বাটা।
ধাপ - ০৭
এরপর অ্যাড করেছি লাল মরিচের গুঁড়া, ধনিয়ার গুড়া, হলুদ ও স্বাদমতো লবণ।
ধাপ -০৮
এরপর সবগুলো উপকরণ ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ -০৯
এরপর একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল গরম করতে দিয়েছি।
ধাপ -১০
এরপর মসুর ডালের মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে পিয়াজু বড়ার আকৃতি করে তেলে ছেড়ে দিয়েছি।
ধাপ - ১১
এরপর পিঁয়াজুর এক পাশ ভাজা হয়ে গেলে অপর পাশ ভাজার জন্য উল্টে দিয়েছি।
ধাপ -১২
এভাবে এক এক করে সবগুলো পিঁয়াজু ভেজে নিয়েছি।
ধাপ -১৩
এরপর সবগুলো মসুর ডালের পিঁয়াজু ভাজার পর গরম গরম একটি প্লেটে পরিবেশন করেছি।
পরিবেশন:-
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি,,
ধন্যবাদান্তে,
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
যতগুলো তেলে ভাজা খাবার আছে তারমধ্যে মসুর ডালের বড়া আমার সব থেকে বেশি প্রিয়। বাজারে গিয়ে প্রতিদিন 50 থেকে 70 টার মত বড় না খেলে মনের তৃপ্তি মিটে না। বাসা তেলেভাজা কোন খাবার তৈরি করতে বললে কখনই রাজি থাকে না তৈরি করার জন্য তৈরি।
মসুর ডালের বড়া অনেকটা লোভনীয় দেখাচ্ছে। দেখেই মনে হচ্ছে অনেকটা মচমচে এবং সুস্বাদু হয়েছে। হরে সুন্দরভাবে রেসিপির নিয়মগুলো পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।
মসুরের ডাল দিয়ে পিয়াজু বানানো যায় জানা ছিল না তো। দেখে তো মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমিও এবার বাসায় মশুরের ডালের পিয়াজু বানিয়ে দেখবো। আশা করছি আমার কাছে খেতে ভালো লাগবে।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
পিয়াজু আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। সেটা যদি আবার মুসুরির ডাল দিয়ে করা হয় তাহলে এটা আমার আরো বেশি পছন্দের হয়ে যায়। আপনি খুবই সুন্দর এবং মজা করে মসুর ডাল দিয়ে পিয়াজু তৈরি করেছেন খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই সুস্বাদু ও মজাদার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আর আপনার তৈরি করা রেসিপিটি আমার খুব পছন্দের এবং আপনার এটি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি বেশ সুন্দরভাবে প্রতিরোধে উপস্থাপনা করেছেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
ভাই পিয়াজু গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে প্রতিটা ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক ভালোই হয়েছে আপনার মসুর ডালের পিয়াজু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
মুসুরির ডালের পিয়াজু খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে ।এগুলো খুবই মুচমুচে হয় মা যখন মসুর ডালের পিয়াজু বানায় তখন মনে হয় আর কিছু না খেয়ে শুধু পিয়াজু খেয়ে যাই। আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে অনেকেই শিখতে পারবে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মসুরের ডাল দিয়ে পিয়াজু বানানো যায় আমি জানতাম না। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখলাম। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং মচমচে হয়েছে। ধন্যাদ এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার পেঁয়াজু গুলো দেখেই মনে হচ্ছে খুবই মুচমুচে হয়েছে। দেখেই লোভ লাগছে। মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু পিয়াজু তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে দেখিয়েছেন যা দেখে খুব সহজেই আপনার পিয়াজু বানানোর পদ্ধতি বুঝতে পারছি ।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
পেয়াজু খুবই পছন্দের একটি খাবার,একটু একটু গরম গরম হলে বেশ ভালোই লাগে।
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে