জেনারেল রাইটিং- " কীর্তিমানের মৃত্যু নেই "| |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে হাজির হয়েছি। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এই বিষয়টি নিয়ে আমি আমার কিছু মতামত ও ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি, লেখাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
পৃথিবীতে প্রতিটি সৃষ্টির মৃত্যু রয়েছে। একদিন আগে হোক বা একদিন পরে আমাদের সকলকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। এই পৃথিবীতে যেই সৃষ্টির প্রাণ রয়েছে সেই সৃষ্টিকে একদিন মরতেই হবে। আমরা মানুষও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা মৃত্যুর পরও তাদের কাজের দ্বারা অমর হয়ে রয়েছেন।
এই নশ্বর পৃথিবীতে আমরা কেউই সারা জীবন বেঁচে থাকবো না। যেদিন আমাদের সময় ফুরিয়ে যাবে এই পৃথিবীতে সেদিন আমাদের কে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে চিরকালের জন্য পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। তবে মৃত্যু অমোঘ জেনেও এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা মানুষের জন্য, এই পৃথিবীর জন্য অনেক কল্যাণকর কাজ করে গেছেন। আর সেই কাজের দ্বারাই তারা এই পৃথিবীতে আজও অমর হয়ে রয়েছেন। মানব কল্যাণে তারা এমন কিছু কীর্তি রেখে যান যে কাজের দ্বারা তারা মৃত্যুর পরেও মানুষের হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকেন। যখন কোন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয় তখন আমরা সেই মানুষটাকে খুব সহজেই ভুলে যায়। কিন্তু যখন কোন কীর্তিমানের মৃত্যু হয় তখন আমরা তাকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়। তার কাজের দ্বারা তাকে আজীবন আমাদের মনে সম্মানের সাথে স্মরণীয় করে রাখি। তাদের মহৎ কাজ তাদের দেখানো পথ আমাদের মনের মধ্যে একটা আলাদা জায়গা তৈরি করে রাখে। এই পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত এমন অনেক কীর্তিমান মানুষ এসেছেন যারা তাদের কাজের দ্বারা আজও চির স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। যেমন বাংলাদেশের বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনে রফিক, জব্বর, সালাম, বরকত ইত্যাদি মানুষ ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ স্বাধীনতার জন্য তাদের প্রাণ দিয়েছিল। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের জন্য তারা আজীবন আমাদের প্রত্যেকটি বাঙালির মনে চির স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এরপর যুগে যুগে আরো কত কীর্তিমান মানুষ এসেছেন এই পৃথিবীতে যারা তাদের কাজের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
কীর্তিমান মানুষের দেহের মৃত্যু হয় কিন্তু কীর্তিমান মানুষের করে যাওয়া কাজ, তাদের করে যাওয়া কল্যাণ সাধারণ মানুষ সারা জীবন ভোগ করে যায়। যেমন প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীরা আমাদের জন্য নানান ধরনের জিনিসপত্র আবিষ্কার করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানের মাধ্যমে আধুনিক জিনিসপত্র তৈরির মাধ্যমে আমাদের জীবন যাপন আরো অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। তবে আমাদের জীবনযাত্রা এত সুন্দর ও সহজ করার জন্য যে সব বিজ্ঞানীরা কাজ করে চলেছেন তারা কিন্তু আজীবন বেঁচে থাকেনি এবং থাকবেও না। কিন্তু তাদের করে যাওয়া কাজ আমরা সাধারণ মানুষেরা আজীবন ভোগ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও ভোগ করবো। এই পৃথিবীর জীবন দশায় আজ পর্যন্ত যারা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন তাদেরকে শত শত বছর ধরে মানুষ চিরশ্রদ্ধার সঙ্গে তার মনে আজীবন স্মরণীয় করে রেখেছে। তাদেরকে কেউ কখনোই ভুলবেনা। এই পৃথিবীতে মানুষের কর্ম অবিনশ্বর। দেহের মৃত্যু হলেও কর্মের মৃত্যু নেই। আর কীর্তিমান মানুষের অমর অবদানের কথা মানুষ সারা জীবন মনে রেখে দেয়। তাই বলা যায়, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
হ্যাঁ কিছু কিছু মানুষের দেহের মৃত্যু হলেও যেন তাদের কাজগুলো চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। এইজন্যই আমার মতে এমন কাজ করতে হবে যার কারণে মৃত্যুর পরেও আপনাকে সবাই মনে রাখবে।
আসলে আমাদের পৃথিবীতে এখন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু তাদের কর্মের মৃত্যুরও হয়নি। তারা এখনো তাদের সেই কর্মের জন্য অমর হয়ে রয়েছে। আর তাদের সেই প্রত্যেকটা কাজ অনেক বেশি স্মরণীয় আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য। আপনি কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এটি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। আমার কাছে অনেক বছর ভালো লেগেছে আপনার লেখা এই পোস্টটি পড়তে। সুন্দর করে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এটা আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন। আসলে একটা মানুষ তার কাজের মাধ্যমে সারাজীবন বেঁচে থাকে সবার মাঝে। সে মারা গেলেও তার সেই কাজ তাকে বাঁচিয়ে রাখে। হয়তো তার দেহটা মারা গিয়েছে কিন্তু তার সেই কাজের প্রশংসা সবাই মৃত্যুর পরেও করে। এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন না একদিন আমাদের সবাইকে চলে যেতে হবে। কিন্তু আমরা যদি ভালো একটা কাজ করি তাহলে মৃত্যুর পরেও সবাই আমাদেরকে মনে রাখবে।
পৃথিবীতে সকল প্রাণীর মৃত্যু আছে। মৃত্যুর স্বাদ সবাইকে একদিন গ্রহণ করতে হবে।কীর্তিমানের মৃত্যু নেই কথাটি একদম ঠিক বলেছেন। কিছু কিছু মানুষ আছে তাদের কাজের কারণে তাঁরা মরেও মানুষের কাছে বেঁচে থাকে। কারণ তাদের কাজের প্রশংসা পৃথিবীতে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মানুষের দেহের মৃত্যু হয় কিন্তু কীর্তিমানের কাজের মৃত্যু হয় না। খুব সুন্দর শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সত্য কথাগুলোই লিখেছেন ভাইয়া। কুর্তিমানের মৃত্যু নেই। কাজের শুভ সারা জীবনই বয়ে বেড়াতে হয়। যুগে যুগে অনেক এ পৃথিবীতে তাদের কাজের মাধ্যমে আজও পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে আছেন। আর স্মরণীয় হয়ে থাকবেন চিরকাল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।