রঙিন কাগজ দিয়ে হাত পাখা তৈরি| |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য একটি ডাই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। রঙিন কাগজ দিয়ে প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে , আর সেই ধারাবাহিকতায় আমি আজকে একটি কাগজের হাত পাখা তৈরি করেছি। আসলে আজকে আমাদের এলাকায় ৩ ঘন্টার জন্য কোন একটা কারণে বিদ্যুৎ ছিল না। আর বিদ্যুৎ না থাকাই এই গরমের মধ্যে আমাদেরকে বেশ অনেকটাই কষ্ট করতে হয়েছে। এই গরমের মধ্যে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ মাথায় এলো এই গরম থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য রঙিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা বানালে কেমন হয়! তো যেই ভাবনা সেই কাজ, সাথে সাথে রঙিন কাগজগুলোকে নিয়ে বসে পড়লাম হাত পাখা বানাতে। রঙিন কাগজ দিয়ে এই হাত পাখা বানানো খুবই সোজা । আর এই হাত পাখা দিয়ে বেশ ভালোই বাতাস খাওয়া যায় । আশা করি, রঙিন কাগজ দিয়ে হাত পাখা তৈরির আইডিয়াটা আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
উপকরণ সমূহ:
১.রঙিন কাগজ
২.সিজার
৩.আঠা।
ধাপ-০১
হাতপাখা বানানোর জন্য প্রথমে একটি রঙিন কাগজ মাপ মতো কেটে নিয়েছি।
ধাপ-০২
এরপর শাড়িতে কুঁচি দেওয়ার মতো করে কাগজটি ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-০৩
এভাবে সম্পূর্ণ কাগজটি ভাজ করে নিয়েছি।
ধাপ-০৪
এরপর কুচির মতো করে ভাঁজ করা কাগজটিকে মাঝখান থেকে এভাবে ভাঁজ ভেঙ্গে নিয়েছি।
ধাপ-০৫
এরপর কাগজটির মাঝখানে আঠা দিয়ে দুই প্রান্ত জুড়ে দিয়েছি।
ধাপ-০৬
এভাবে মোট তিনটি পাখার অংশ বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-০৭
এরপর পাখার তিনটি অংশ আঠা দিয়ে একসঙ্গে জুড়ে নিয়েছি।
ধাপ-০৮
এরপর পাখার হাতল বানানোর জন্য একটি কাগজ মাপমতো কেটে নিয়েছি।
ধাপ-০৯
এরপর কাগজটি মুড়িয়ে পাখার হাতল বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১০
এরপর পাখার হাতল পাখার সঙ্গে আঠা দিয়ে জুড়ে দিয়েছি।
ফলাফল
এরপর হাতপাখাটি আরও সুন্দর করে তোলার জন্য হাত পাখার মাঝখানের অংশে একটি কাগজের ফুল আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি। এভাবে আমি খুবই সুন্দর দেখতে একটি হাত পাখা তৈরি করে নিয়েছি।
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর হাত পাখা তৈরি করেছেন। আসলে গরমের দিনে বিদ্যুৎ যখন থাকে না তখন হাত পাখার খুবই প্রয়োজন হয়। কাগজের হাত পাখা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে হাত পাখা তৈরি করার প্রক্রিয়া খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত চমৎকার ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অতিরিক্ত গরমে যখন কারেন্ট চলে যায় তখন হাত পাখার বিকল্প নেই। বেশ কিছুদিন আগে প্রচন্ড গরম পড়েছিল তখন কারেন্ট একটু পর পর চলে যেত। আপনি খুবই সুন্দর করে কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি করেছেন। আপনার হাত পাখার কালার কম্বিনেশন টা দারুন লাগছে। সুন্দর একটা হাতপাখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রঙিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে যেকোন জিনিস তৈরি করতে হলে অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। পাখার মাঝখানের ফুলটি তৈরি দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে ধৈর্য সহকারে পাখা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিদ্যুৎ না থাকায়তো সুবিধা হয়েছে ভাইয়া। গরমে বসে থাকতে থাকতে খুব সুন্দর একটি ডাই তৈরি করার আইডিয়া পেয়েছেন। রঙ্গিন কাগজে হাতপাখাটি খুব চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে কালারের কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে। অনেক সময় নিয়ে এটি তৈরি করতে হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সব শেষে দেখতে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক কিছুই তৈরি করা যায়। আর এভাবে অনেক কিছু তৈরি করলে তা দেখতে খুব ভালো লাগে। আমি রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন কিছু তৈরি করতে যেমন পছন্দ করি তেমনি দেখতেও খুব ভালো লাগে। গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য এভাবে যদি হাত পাখা তৈরি করা হয় তখন তো সত্যি খুব ভালো হয়। আগে আমরা স্কুলের ক্লাসরুমে কারেন্ট চলে যাওয়ার পরে গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য এরকম ভাবে হাতপাখা তৈরি করতাম। ফুলটা দেওয়ার কারণে খুব সুন্দর হয়েছে।
রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে সময় লাগলে ও দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি হাত পাখা তৈরি করেছেন। হাত পাখাটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। কাগজের কালার কম্বিনেশন খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এত সুন্দর একটি হাত পাখা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে আপনার কিন্তু বেশ ভালোই একটা কাজ হয়েছে ভাই। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণেই তো আপনি এত সুন্দর একটা পাখা তৈরি করতে পেরেছেন এবং আমাদের মাঝে তা শেয়ার করতে পেরেছেন। আপনি উপস্থাপনার মাধ্যমে এটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যা দেখে খুব সহজেই হাতপাখা তৈরি শিখে নিতে পারলাম। সব মিলিয়ে আমার কাছে পুরোটা কিন্তু অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
কিছুদিন আগে সত্যি অনেক গরম ছিল। তখন হাতপাখা সবার প্রয়োজন পড়েছে। ভাইয়া আপনার তৈরি করা কাগজের হাত পাখাটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। হাত পাখা তৈরি করে আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।