অষ্টগ্রাম ভ্রমণ কাহিনি
দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার!
তিন বন্ধু মিলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এরমাঝে মামুন হঠাৎ বললো অনেকদিন ধরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। চল কোথাও ঘুরে আসি। তারপর আমরা চিন্তা করতে থাকলাম কোথায় যাওয়া যায়, তখন এহছান বলল, চল অষ্টগ্রাম হাওর থেকে ঘুরে আসি। তারপর যেই কথা সেই কাজ।পরদিন শুক্রবার সকাল ৯টায় রওনা হয়ে গেলাম অষ্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। অষ্টগ্রাম পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় দুপুর ১২টা বেজে যায়।
কিন্তু,
দুঃখের বিষয় হলো আমরা সেদিন তেমন কোন কিছু উপভোগ করতে পারিনি। কারন, প্রখর রোদের কারনে আমাদের অবস্থা নাজেহাল। এরমাঝে ঘটে গেলো এক বিপত্তি, পিছন থেকে এহছান বললো তার অনেক খারাপ লাগতেছে, এটা বলতে বলতেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারপর, আমরা তাকে ধরে একটা রেস্তোরাঁতে নিয়ে গেলাম। প্রায় ৪৫ মিনিট পর সে স্বাভাবিক হয়ে উঠে, তখন সময় প্রায় ২:৩০ মিনিট। তখন তার এই অবস্থা দেখে আমরা আর কোথাও যাওয়ার সাহস করলাম না। দুপুরের খাবার খেয়ে রেস্ট নিয়ে বিকেল ৪টার সময় রওনা হলাম বাড়ির পথে। কিন্তু, আমরা কোন নৌকা/ট্রলার পাচ্ছিলাম না। তখন ওখানকার এক স্হানীয় লোকের সাথে কথা বললে উনি বলেন ' বাবা ট্রলার একটু আগেই ছেড়ে গেল, এখন তো আর ট্রলার নেই। তা বাবা তোমরা যাবা কোথায়? আমরা বললাম- কিশোরগঞ্জ সদর যাবো। তখন তিমি বললেন তাহলে তোমরা একটা কাজ কর, এখান থেকে সিএনজি/ ওটু ( অটোরিকশা) নিয়ে মিঠামইন চলে যাও। ওখান থেকে ট্রলার নিয়ে বালিখলা, বালিখলা থেকে সিএনজিতে করে কিশোরগঞ্জ চলে যাবা। তখন চাচাকে সালাম দিয়ে রওনা হয়ে গেলাম মিঠামইনের উদ্দেশ্যে, চাচার কথা মতই মিঠামইন থেকে ট্রলারে করে বালিখলা, তারপর বালিখলা থেকে সিএনজিতে করে চলে আসলাম কিশোরগঞ্জ। এই ছিলো আমাদের ছোট ভ্রমণ কাহিনী।
ধন্যবাদ!